পুলিশের সমালোচনা ভালো, কিন্তু এমন কিছু না হয় যাতে কাজের উৎসাহ নষ্ট হয়

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সম্প্রতি কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে চারদিকে ব্যাপক সমালোচনা উঠেছে। এমনকি সংসদেও বিরোধী দলীয় উপনেতা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। এর জবাবে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কারা শুরু করেছিল? এটা জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই শুরু। আমাদের বহু নেতা-কর্মীর লাশও পাওয়া যায়নি। এরকম বহু ঘটনা ঘটেছে। তারপরে তো একেবারে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হলো এবং সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি এটাকে কিভাবে মোকাবিলা করা যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সমালোচনা করবো, যাদের দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তবে মানুষ বিপদে পড়লে যাদের ডাকলে আগে আসে সেটা কিন্তু পুলিশ। আমরা এমন কিছু করবো না যেন তারা আবার ভয়ে ভীত হয়ে কাজের উৎসাহ নষ্ট না হয়; সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সংসদ নেতা একথা বলেন। এসময় সংসদে সভাপতিত্বে করছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কারা শুরু করেছিল? এটা জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই শুরু। আমাদের বহু নেতা-কর্মীর লাশও পাওয়া যায়নি। এরকম বহু ঘটনা ঘটেছে। তারপরে তো একেবারে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হলো এবং সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি এটাকে কিভাবে মোকাবিলা করা যায়। পাশাপাশি আমাদের মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা যথাযথ কাজ করে যাচ্ছে এবং তারা যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে। তারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করছে, কিন্তু সেগুলো করতে গিয়ে যদি কিছু দুর্ঘটনা ঘটে, সেটা ঘটা খুব স্বাভাবিক। আমরা কিন্তু কাউকে ছেড়ে দিচ্ছি না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কেউ এটা বলতে পারবেন না যে অন্যায় করলে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি। সেটা কিন্তু দেওয়া হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন