বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনতে আশাবাদী মন্ত্রণালয়
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। খুনিদের ফিরিয়ে আনতে মন্ত্রণালয়কে আরো বেশি তৎপর হতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংসদ ভবনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য ও মন্ত্রী এ.কে.আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দঃ প্রিন্স, মো. হাবিবে মিল্লাত, নাহিম রাজ্জাক, কাজী নাবিল আহমেদ এবং নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) অংশগ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ব্যাপারে বৈঠকে জানানো হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। অতিশীঘ্রই খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে কমিটি সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'মন্ত্রণালয় তাদের অগ্রগতি তুলে ধরেছে। তারা বলেছে শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনি না যুদ্ধাপরাধী যারা বাইরে আছে তাদের ব্যাপারে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অগ্রগতি কি? এটা আমাদেরকে জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রে যারা আছে তাদের ব্যাপারে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে'।
তিনি বলেন, 'যুক্তরাজ্যেও তাদের সরকার একটা নতুন আইন বোধহয় পাস করেছে, যে বিদেশি কোনো নাগরিক সে যদি লন্ডনে ‘অ্যাসাইলাম’ (আশ্রয়) নিচ্ছে তাদের যদি এক বছরের ওপরে কোনো সাজা হয় তাহলে তাদের অ্যাসাইলাম রাখা হবে না। এই অগ্রগতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। খুনিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমরা তো অনেক বছর ধরে বলছি। আমরা বলেছি ব্যাপারটা আরো জোরদার করে তাদেরকে দেশে ফিরে এনে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে'।
করোনাভাইরাসের টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'পৃথিবীর প্রায় ৭-৮টা দেশ করোনাভাইরাসের টিকা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে আছে। সুতরাং এই টিকা বের হবার পরপরই যেন আমরা পাই সেজন্য এখনই আলাপ আলোচনা করা হোক। করোনাভাইরাস কতদিন থাকবে কেউ জানে না। কাজেই করোনাভাইরাসের টিকা কবে আসবে এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশে আমাদের যে সমস্ত মিশন আছে সেখানে কার্যক্রমগুলো যেন বন্ধ বা শ্লথ না হয়। প্রবাসী বাঙালিদের কার্যক্রম যেনো চলমান থাকে সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে'।
সংসদ সচিবালয়য় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ধু প্রতিম যে সকল দেশ কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে ও সফলভাবে পরীক্ষা চালিয়েছে, সে সকল দেশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। বাজারে আসার সাথে সাথেই আমাদের দেশ পেয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহ আশ্বস্ত করেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহে বাংলাদেশি মিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। এছাড়া, আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত ঔষধ প্রস্তুতকারী ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও পরীক্ষা চালিয়ে সফলতা অর্জন করে, তবে তাদের থেকেও সংগ্রহ করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করে।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।