পুঁজিবাজারে সুবিধা দিয়ে অর্থবিল পাস



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতায় সংসদে অর্থবিল পাসের প্রস্তাব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ছবি: সংগৃহীত

অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতায় সংসদে অর্থবিল পাসের প্রস্তাব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বহুল আলোচিত সঞ্চয়পত্রের উপর উৎসে কর, বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে টিআইএন বাধ্যতামলূক করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তনে ইঙ্গিত না দিয়েই অর্থবিল-২০১৯ সংসদে পাস হয়েছে। তবে পাস হওয়া অর্থ বিলে পুঁজিবাজারের সুবিধার্থে কয়েকটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়েছে। সংসদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতায় অর্থবিল পাসের প্রস্তাব করেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৯ জুন) রাতে সংসদে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে অর্থবিল-২০১৯ পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও বিলটি জনমত যাচাই ও প্রচারের প্রস্তাব করেন বিরোধীদলীয় কতিপয় সদস্য। তাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, কাজী ফিরোজ রশীদ, রওশন আরা মান্নান, মো. রুস্তম আলী ফরাজী, গণফোরামের মোকাব্বির খান, বিএনপির রুমিন ফারহানা নিজ নিজ সংশোধনী প্রস্তাবের উপর আলোচনা করেন। এছাড়া সরকারি দলের সদস্য আ স ম ফিরোজ, উপাধক্ষ্য আব্দুস শহীদ, শহিদুজ্জামান সরকার, ইসরাফিল আলমও প্রস্তাব দেন।

এর আগে গত ১৩ জুন সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের পর সংসদ সদস্যরা বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর পাঁচ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করায় অর্থমন্ত্রীর ব্যাপক সমালোচনা করেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছিলেন, ‘সঞ্চয়পত্র গ্রামের গরিব দুঃখীদের হক সেখানে আপনি হাত দিলেন কেন? এটা প্রধানমন্ত্রীর স্কিম। এটা সংশোধন করবেন।’

এছাড়া বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, বাজেটে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে গেলে টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটা আসলে পুনঃবিবেচনা করা দরকার। এক্ষেত্রে তিনি প্রস্তাব করেছিলেন ৫০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। এ রকম জনমুখী নানা প্রস্তাবের একটিও গ্রহণ করা হয়নি। তবে এসআরও জারি করে সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে।

কতিপয় সংশোধনী গ্রহণ করে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থ বিল পাসের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দিলে তা সর্বাধিক হ্যাঁ ভোটে পাস হয়। এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটের (অর্থ বিলের) কয়েকটি বিষয়ে ব্যবসায়ী, শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারী সাধারণ মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে কিছু সংশোধনী আনার প্রস্তাব করছি। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি যে পরিমাণ স্টক ডিভিডেন্ট প্রদান করবেন, একই পরিমান নগদ ডিভিডেন্ট দেবেন। এক্ষেত্রে স্টক ডিভিডেন্টের পরিমান নগদ ডিভিডেন্টের চেয়ে বেশি দেয়া হয় সেক্ষেত্রে সকল স্টক ডিভিডেন্টের ওপর ১০ শতাংশ হারে করা প্রদান করতে হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি ১৫ শতাংশ করার হয়েছিল।

এছাড়া পুজিবাজারে কোন কোম্পানির পরবর্তী নিট লাভের ৭০ শতাংশ রিটেইন আর্নিংস, রিজার্ভসহ বিভিন্ন খাাতে স্থানান্তর করতে পারবেন। বাকি ৩০ শতাংশ স্টক, ডিভিডেন্ট ও নগদ লভাংশ দিতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে প্রতিবছর রিটেইন আর্নিংস ও রিজার্ভসহ স্থানান্তর মোট অর্থের উপর ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

শেয়ারবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হোক।

স্থানীয় পর্যায়ে একাধিক মূসক হার প্রচলন করা হচ্ছে। তবে ১৫  শতাংশের নিন্মহার হারগুলোতে উপকরণ কর রেয়াত নেয়ার সুযোগ না থাকায় ব্যবসায়ীরা হ্রাসকৃত হারের পরিবর্তে উপকরণ কর গ্রহন করে ১৫ শতাংশ হারে কর প্রদানে সুযোগ সৃষ্টির জন্য দাবি করেছেন। হ্রাসকৃত হারের  পাশাপাশি কেউ চাইলে যেন ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে রেয়াত পদ্ধতিতে অংশ গ্রহন করতে পারে আইনে সে বিধান আনা হবে।

দেশীয় শিল্পের রক্ষায় তাঁত শিল্পের ওপর পাঁচ শতাংশ মূসকের পরিবর্তে প্রতি কেজিতে চার টাকা হারে সুনির্দিষ্ট হারে মূসক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশীয় শিল্প রক্ষায় প্রস্তাবিত বাজেটে বেশকিছু শুল্ক হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে দেশের কাগজ ও গ্যাস উৎপাদনকারী শিল্প যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। দেশীয় মুদ্রন শিল্পে প্রণোদনা ও বন্ড ব্যবস্থার অপব্যবহার রোধ করতে দেশে উৎপাদন হয় না এমন পেপারগুলোর শুল্ক হার যৌক্তিক করা হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানিকৃত কতিপয় পণ্যের শুল্ক হার পুনঃনির্ধারন করা হবে।

গত ১৩ জুন সংসদে বাজেট উপস্থাপনের পর থেকে যেসব বিষয়ে বেশি আলোচনা সমালোচনা হয়েছে সেগুলো হলো- বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে টিআইএন নম্বর বাধ্যতামূলক করা এবং সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর হার বৃদ্ধির প্রস্তাব। কিন্তু এ দুটি বিষয়ে কোন সংশোধী আনা হয়নি। প্রস্তাবিত বাজেটের প্রস্তাবই বহাল রাখা হয়েছে পাসকৃত অর্থবিলে।

অর্থবছর ২০১৯-২০ এর জন্য ১৩ জুন পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এরপর সংসদে ২৭০ জন সদস্য এতে আলোচনায় অংশ নেন। অবশেষে সংসদে বিলটি পাস করা হয়েছে। যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। রোববার (৩০ জুন) সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।

   

বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি পেয়েছেন ৫০৪ জন: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশে ৫০৪ জনকে নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযুদ্ধের সহায়তাকারী সব নারীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কার্যক্রম চলমান আছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের আলোকে এরইমধ্যে নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) হিসেবে ৫০৪ জনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা যাদের নাম এমআইএস এবং সমন্বিত তালিকায় রয়েছে, তাদের অনুকূলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক লাখ ৯৩ হাজার ৭৮০টি ডিজিটাল সনদ এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এক লাখ ৮০৫টি স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রবাসে অবস্থানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছেন। তবে এমআইএস ও সমন্বিত তালিকায় যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে, কিন্তু অদ্যাবধি ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড পাননি, তাদের অনুকূলে ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুত ও প্রদানের কার্যক্রম চলমান আছে।

;

‘বিমানের সিট ফাঁকা থাকলেও টিকিট পাওয়া যায় না, অভিযোগ সত্য নয়’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিমানে সিট ফাঁকা থাকলেও টিকিট পাওয়া যায় না, বেশির ভাগ সময় সিট ফাঁকা রেখে উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করে থাকে- এমন অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

বিমানমন্ত্রী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিট যাত্রীরা বিমানের নিজস্ব ওয়েবসাইট, জিডিএস, মোবাইল অ্যাপ, কল সেন্টার এবং বিমানের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র ছাড়াও যে কোনো অনুমোদিত দেশি-বিদেশি ট্র্যাভেল এজেন্ট থেকে ক্রয় করতে পারেন। বিমানের কোনও টিকিট যাত্রীর তথ্য ছাড়া বুকিং করা সম্ভব নয়। ফলে কারোর পক্ষে একসঙ্গে অনেক টিকিট যাত্রীর তথ্য ছাড়া বুকিং করে রাখার কোনও সুযোগ নেই। কোনও এজেন্সি চাইলেই যাত্রীর তথ্য ছাড়া কোনও টিকিট বুকিং করতে পারবে না। সেই সাথে কোন এজেন্সি মিথ্যা বা ভুয়া তথ্য দিয়ে বুকিং করলে সেটি ধরে জরিমানাসহ অন্যান্য পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও প্রতিটি টিকিট বুকিং সময়সীমা দেওয়া থাকে, যার মাঝে টিকিট ক্রয় সম্পন্ন না হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়।

মন্ত্রী জানান, যেকোনো এয়ারলাইন্স ব্যবসায় ভরা মৌসুম ও মন্দা মৌসুম থাকে। যখন ফ্লাইটে চাপ কম থাকবে, তখন কিছু সিট খালি থাকতে পারে যা সারা বছরের চিত্র নয়। আসন খালি থাকা সত্ত্বেও টিকিট কিনতে গেলে বলে টিকিট নেই, এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটা ঢালাও অভিযোগ। এছাড়াও যাত্রীরা কনফার্ম টিকিট করেও যথাসময়ে এয়ারপোর্টে উপস্থিত হতে না পারা, যাত্রীদের অনেকের ভুয়া ভিসা এবং ডকুমেন্টস থাকায় এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইনি জটিলতার কারণেও অনেক সময় আসন ফাঁকা থাকে।

প্রসঙ্গত. কিছু রুটে লোড পেনাল্টি থাকায় কিছু সংখ্যক সিট অবিক্রিত রাখা হয় বিধায় সিট ফাঁকা থাকে। সুতরাং সিট ফাঁকা থাকলেও বিমানের টিকিট পাওয়া যায় না; বেশির ভাগ সময় সিট ফাঁকা রেখে উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করে থাকে’ উক্ত কথাটি সত্য নয় মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে।

এমপি এ বি এম আনিছুজ্জামানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রুট বা গন্তব্য ভেদে টিকিট মূল্য বিভিন্ন হয় থাকে। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সসমূহ তাদের বিদ্যমান যোগান ও চাহিদা, প্রতিযোগিতামূলক বাজার, ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ নীতি, পরিষেবা প্রদান প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে টিকিট মূল্য নির্ধারণ করে থাকে।

এমপি মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশের আকাশপথ ব্যবহারকারী বিভিন্ন দেশের উড়োজাহাজগুলো বাংলাদেশকে সঠিক পরিমাণ রাজস্ব প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের আকাশ পথ ব্যবহাকারী বিভিন্ন দেশের উড়োজাহাজ বিমানবন্দরের এরিয়া কন্ট্রোল সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশের আকাশসীমা অতিক্রম করে থাকে। ফলে এরিয়া কন্ট্রোল সেন্টার হতে দাবিকৃত বিল অনুসারে সব এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়ে থাকে।

;

দেশে আবাদযোগ্য জমি প্রায় ৮৮ লাখ হেক্টর: কৃষিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে মোট আবাদযোগ্য জমি ৮৮ লাখ ১৭ হাজার ৯৩৫ হেক্টর আছে বলে সংসদে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী এই তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

কৃষিমন্ত্রী জানান, অকৃষি কাজে কৃষি জমির ব্যবহার সীমিত রাখা এবং যত্রতত্র স্থাপনা না করার বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখপূর্বক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, ভূমি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়কে পত্র দেওয়া হয়েছে । কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণকে বিষয়টি নিশ্চিতকরণের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

কৃষি জমি রক্ষার্থে 'কৃষি জমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন' নামে একটি আইন পাসের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

এমপি আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আব্দুস শহীদ বলেন, জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে মাটি পরীক্ষা করে সার প্রদান করা হয়। সুষম মাত্রায় রসায়নিক সার ব্যবহারের জন্য পরামর্শ প্রদান এবং জৈব সার হিসেবে কম্পোস্ট, ভার্মি কম্পোস্ট, সবুজ সার, খামারজাত সার উৎপাদন ও ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করা হয়। সেই সাথে প্রয়োজনীয় সেচের ব্যবস্থা।

;

কারাগারে ৩৬৩ বিদেশি, বেশি ভারতের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন অপরাধে বাংলাদেশের কারাগারে ৩৬৩ জন বিদেশি নাগরিক আটক আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বুধবার (১২ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেগম ফরিদা ইয়াসমিন লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই তথ্য জানান। সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আটকের তালিকায় রয়েছে ভারতের ২১২ নাগরিক, মিয়ানমারের ১১৪ নাগরিক, পাকিস্তানের রয়েছে ৭ জন, নাইজেরিয়ার ৬ জন, মালশিয়ার ৬ জন এবং আমেরিকার একজন ও চীনের ৪ জন।

চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্যের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার এলাকায় জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী হত্যা ও অস্ত্র মামলায় ৯৯৪ জন মিয়ানমারের নাগরিক (রোহিঙ্গা) গ্রেফতার করা হয়েছে। সেইসাথে ক্যাম্প এলাকায় জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে নজরদারি করা হচ্ছে এবং সন্ত্রাসীদের দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

;