রাঙ্গাকে সংসদে এসে ক্ষমা চাইতে হবে



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা, জাতীয় সংসদ ভবন থেকে
সংসদ অধিবেশনের ফাইল ছবি

সংসদ অধিবেশনের ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

শহীদ নূর হোসেন নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সংসদ সদস্যরা। ক্ষমা না চাইলে তাকে কেউ ক্ষমা করবে না বলেও জানান তারা।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে নূর হোসেনকে নিয়ে রাঙ্গার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার বিষয়টি তুলেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী।

এরপর আলোচনায় অংশ নেন, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, নজিবুল বশর মাইজ ভান্ডারী। এসময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে ছিলেন।

এরপর তাদের বক্তব্যের জবাবে জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এটা রাঙ্গার ব্যক্তিগত বক্তব্য। এটা জাতীয় পার্টি ওন করে না।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ান আমির হোসেন আমু প্রবাদ দিয়ে বলেন, বাংলায় একটা কথা আছে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা। মশিউর রহমান রাঙ্গা এরশাদ সাহেবের কুকীর্তি এবং স্বৈরাচারীকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত করে কতগুলো অবান্তর কথার অবতারণা করেছেন। আজকে যারা ফেনসিডিলে আসক্ত তারাই ফেনসিডিলের স্বপ্ন দেখে। নূর হোসেনকে যখন হত্যা করা হয় তখন এই দেশে ফেনসিডিল শব্দটা কেউ জানতো না। নূর হোসেন যখন হত্যা হয় তখন ইয়াবা শব্দটা এই দেশের কেউ জানতো না। আজকে যারা এটার আবিষ্কারক তারাই এটার সঙ্গে একটা মিশ্রণ দেখাবার চিন্তা করছে।

তিনি বলেন, শুধু নূর হোসেন না সেলিম, দেলওয়ারকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এমন পৈশাচিকভাবে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেদিন নূর হোসেন শেখ হাসিনার পায়ে সালাম দিয়ে অল্প কিছু দূর যাওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়। সেই গুলি হয়তো শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিলো। তার কারণ এর একটু পরে যখন শেখ হাসিনার গাড়ি প্রেসক্লাবের সামনে যায় তখন সেই গাড়ি ক্রেন দিয়ে তোলা হয়। তার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়। আজকে যে ভোট ডাকাতির কথা বলা হয়। এই মিডিয়া ক্যুর সৃষ্টিকর্তা এইচ এম এরশাদ। এটা সারা দুনিয়ার মানুষ জানে।

তিনি আরও বলেন, সেই কথা বলতে গিয়ে রাঙ্গা জাতির জনককে নিয়ে আসা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আসা। এতবড় ধৃষ্টতা তিনি দেখাতে পারেন না। এরশাদের মৃত্যুর পর বলেছিলাম দোষে গুণে মানুষ। আমি নিজে ভুক্তভোগী। শেখ হাসিনাসহ আমাদের ৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। আমাকে টর্চার করা হয়েছিল এই হচ্ছে এরশাদের রাজত্ব। এরকম বহু ঘটনা আছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের গায়ে হাত তোলা থেকে শুরু করে সব কিছু করেছে। তাদেরকে জনগণ আখ্যায়িত করেছে স্বৈরাচার হিসেবে আওয়ামী লীগ নয়, কোনো ব্যক্তি নয়, কোন দল নয় সারা দেশের মানুষ তাদের স্বৈরাচার হিসেবেই আখ্যায়িত করেছে। এধরণের যারা বক্তব্য দেন তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। রাঙ্গার অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, সংসদ সদস্য রাঙ্গা এমন একটা বক্তব্য দিয়েছেন যেটা মানুষের মনে ব্যথা দিয়েছে। যে নূর হোসেন বুকে লেখা ছিল স্বৈরাচার নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তিপাক। তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। আমি তখন কারাগারে বন্দী। সেদিন আমাদের আন্দোলনকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করে এরশাদের শাসনামলের বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়ায়। আমি অবাক হলাম। মশিউর রহমান রাঙ্গা তিনি বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে বলেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বলেছেন। সকলের বিরুদ্ধে তিনি বলেছেন। অথচ রাঙ্গা ভুলে গেছেন তার নেতা এরশাদ নূর হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দু:খ প্রকাশ করেছিলেন ক্ষমা চেয়েছিলেন। তিনি সংসদে বক্তৃতা করে ওই ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেছিলেন। গতকাল নূর হোসেনের মা সংবাদ সম্মেলন করে দু:খ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, তাকে (নূর হোসেনকে) বলেছে নেশাখোর, তাকে বলা হয়েছে ফেনসিডিলখোর, ইয়াবাখোর তাকে বিভিন্নভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে রাঙ্গা বক্তব্য দিয়েছেন। তার এই বক্তৃতার জন্য ঘৃণা প্রকাশ করছি। আসলে মূলত দীর্ঘদিন পর এই বক্তব্য দিয়ে সারাদেশে ব্যাপকভাবে স্বৈরাচার কথাটি ব্যবহৃত হচ্ছে। আমার মনে হয় সংসদে দাঁড়িয়ে রাঙ্গার ক্ষমা চাওয়া উচিত জাতির কাছে। আমার মনে হয় জাতীয় পার্টির অন্যান্যরা বিশ্বাস করেন না। রাজনৈতিক দলের মত পথের ভিন্নতা থাকে। আমরা এটাকে গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করি এবং স্বৈরাচার বিরোধী দিবস হিসেবে পালন করি। তারা তাদের ভাষায় অন্য দিবস পালন করে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, তিনি (রাঙ্গা) আমাদের নির্বাচনী ঐক্য সম্পর্কে বলেছেন। সেই ঐক্যের কারণেই তিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ঐক্য না হলে তিনি বিজয়ী হতেন কি না সেটা বলতে চাই না। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত তার ভাষায় খারাপ কথা বলেছেন। খারাপ বক্তৃতা করেছেন। তার দলের কেউ দাঁড়িয়ে এ বিষয়ে ক্লিয়ার করবেন। একটা কুৎসিত বক্তৃতা দিয়েছেন। একজন সুস্থ মানুষ, তিনি যদি স্বাভাবিক থাকেন স্বাভাবিক অবস্থায় এ ধরণের বক্তৃতা দিতে পারে না। তার এখানে দু:খ প্রকাশ ও জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, আমার মনে হয় কোনো সুস্থ লোক এই ধরণের কথা বলতে পারে না। নূর হোসেন যুবলীগের একজন বলিষ্ঠ কর্মী ছিলেন ত্যাগী কর্মী ছিলেন। আমি তখন যুবলীগের চেয়ারম্যান। সে সময় নিজের বুকে লিখে দিয়েছে স্বৈরাচার নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক। একটা লোক মারা গেছে সে গণতন্ত্রের জন্য মারা গেছে জীবন উৎসর্গ করেছে। কোন বিবেকবান লোক এই ধরনের কথা বলে। শুধু তাকে কথা বলে নাই। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটূক্তি করেছে। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটূক্তি করতে হলে একটু চিন্তা করা দরকার। সংসদ নেত্রী সম্পর্কে কটূক্তি করেছে। বঙ্গবন্ধু নাকি স্বৈরাচার। গণতন্ত্রের জন্য বঙ্গবন্ধু সারাজীবন কষ্ট করেছেন। গণতন্ত্রকে তৃণমূলে পৌছে দেওয়ার জন্য বাকশাল করেছে।

তিনি বলেন, এরশাদ সাহেব তো পাকিস্তান আর্মির সঙ্গে নর্থ বেঙ্গলে বসে ২৫শে মার্চ রাতে তাদের পক্ষে কাজ করেছে। এটা বইতে আছে। এসব কথা বলতে চাই না। অতীত অতীতই থাক। কিন্তু যে কথা বলে জাতিকে, গণতন্ত্রকে, শেখ হাসিনাকে ও নূর হোসেনের বিদেহী আত্মার উপর যে আঘাত করেছে। এজন্য তার ক্ষমা চাইলে হবে না। রাঙ্গা তো ঐক্যজোট সরকারের একজন মন্ত্রীও ছিলেন। সে একথা বলে কিভাবে। ওনি যদি এতই বিল্পবী হয়ে থাকেন তো মন্ত্রীসভা থেকে চলে যেতেন। এসব কথা কোন সুস্থ লোক বলতে পারে না। জাতীয় পার্টি একটা ক্লারিফিকেশন দেবে। এটা সত্যিই দু:খজনক গণতন্ত্রের জন্য, রাজনীতির জন্য । ক্ষমা তার চাইতেই হবে। তা নাহলে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ক্ষত থেকে যাবে।

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, আমারও দুর্ভাগ্য-সৌভাগ্য হোক সেদিন নূর হোসেন যে মিছিলে জীবন দিয়েছিল। স্বৈরাচার নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক। আত্মহুতি দেওয়া। গুলি করার পর নূর হোসেন আজকের সংসদ নেতার সাথে কথাও বলেছিলেন। একটা কথা আছে রতনে রতন চেনে বাকিটা বললাম না। রতনে রতন চেনে..রাঙ্গা সাহেব ঠিকই শহীদ নূর হোসেনকে যে নূর হোসেনকে সামনে নিয়ে আন্দোলন করেছিলাম। শত শত মুজিব প্রেমিকের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আজকের এই সংসদ হয়েছে। আমি মনে করি রাঙ্গা সাহেব সংসদকেই অবমাননা করেছেন। স্বৈরাচারের পতন না হলে আজকে রাঙ্গা সাহেবও এখানে এসে বসতে পারত না। মশিউর রহমান রাঙ্গা যে বক্তব্য দিয়েছেন সংসদ নেত্রী, বঙ্গবন্ধু এবং নূর হোসেন সম্পর্কে এই কথাগুলো বলে স্বৈরাচারের যে চরিত্র পরিবর্তন হয় না। রাঙ্গা সাহেব তাই কিন্তু প্রমাণ করেছেন তিনি সত্যিকারের স্বৈরাচারীর অনুসারী ছিলেন। গণবিরোধী ছিলেন গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিলেন। একটি সুবিধাবাদী চরিত্র নিয়ে রাজনীতির নামে বিরাজনীতি চালানোর প্রচেষ্টা চলছে সেটাকে তিনি সমর্থন সহযোগিতা করেছেন। এই সংসদে দাঁড়িয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডরী বলেন, রাঙ্গা সাহেব যে কথাগুলো বলেছেন। এটা ‍নূর হোসেনের বিরুদ্ধে নয়, স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরুদ্ধে এই সংসদের বিরুদ্ধে এবং গণতান্ত্রিক সকল ধারার বিরুদ্ধে। তিনি অবস্থান নিয়েছেন। শুনেছি এই বক্তব্য প্রত্যাহার করেছেন, প্রত্যাহার করে লাভ নেই, ওনার ক্ষমা চাইতে হবে। নইলে আমরা অপমানবোধ করছি, না হলে আমরা ক্ষমা করব না। এটা একটা খারাপ নজির। জাতীয় পার্টি যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেন তাহলে আস্থা কুড়ে নিক্ষেপ হবেন।

এরপর তাদের বক্তব্যের জবাবে জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এটা রাঙ্গার ব্যক্তিগত বক্তব্য। এটা জাতীয় পার্টি ওন করে না।’

তিনি বলেন, আমার নেতা এইচ এম এরশাদ। মশিউর রহমান রাঙ্গা তিনি তার বক্তব্য দিয়েছেন এই বক্তব্যটা জাতীয় পার্টি দলীয়ভাবে ওন করে না। এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত একটা বক্তব্য। এই বক্তব্য তিনি কেন দিয়েছেন। আজকে মশিউর রহমান রাঙ্গা সংসদের সদস্য তিনি সংসদে এসে ক্লিয়ার করবেন। শহীদ নূর হোসেন সম্পর্কে জাতীয় পার্টির দৃষ্টিভঙ্গি এরশাদ ব্যক্তিগতভাবে বাড়িতে গিয়ে তার বাবা মার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি নিজে দু:খপ্রকাশ করেছেন। এটাই ছিল আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এর বাইরে আমাদের দলের কেউ যদি কিছু বলেন তাহলে এটা তার ব্যক্তিগত।

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;