সংসদে এমপি মোজাম্মেল হোসেনের শোক প্রস্তাব গ্রহণ
জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: একাদশ জাতীয় সংসদের বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনের নামে সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। সংসদে তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনা করেন তার সহকর্মীরা।
তিনি একজন মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন। চিকিৎসক হিসেবে ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। গ্রামে গ্রামে অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন প্রয়াত এই সংসদ সদস্য।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে কথাগুলো বলেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্যরা। আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ডা. আ. ফ ম রুহুল হক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শাজাহান খান, আ স ম ফিরোজ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান প্রমুখ।
বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি মোজাম্মেল হক গত ১০ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পরে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘তিনি অমায়িক লোক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কলকাতায় শরণার্থীদের ক্যাম্পে ডাক্তার হিসেবে দুঃখী মানুষের সেবা করতেন। তিনি প্রতিমন্ত্রী হয়ে বিধবা ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছেন। রাজনৈতিক কারণে অনেক বার বাগেরহাটে গেছি তখন দেখেছি তার অমার্জিত অমায়িক ব্যবহার। তার চলে যাওয়া আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি চলে গেলেও তিনি যে অবদান রেখে গেছেন আমাদের ভবিষ্যৎ পথ চলতে অনুপ্রেরণা দেবেন।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেন, ‘তিনি এক জন ভালো বক্তা ছিলেন। রাজনীতি, চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি তিনি সামাজিক উন্নয়নে, দুঃখী মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, তিনি একজন গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করতেন, একজন উচ্চবিত্তের সঙ্গেও সেভাবে আচরণ করতেন, কথা বলতেন।’
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘তিনি একজন আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ ছিলেন।’
শেখ ফজুলুল করিম সেলিম বলেন, মানুষের সঙ্গে তার ব্যবহার ছিল অমায়িক। তিনি মানুষের সেবা করে গেছেন। তিনি সমাজের জন্য কাজ করেছেন।’
পরে শোক প্রস্তাবটি সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়।