সংসদেও সিটি নির্বাচনের উত্তাপ, বিএনপির ওয়াক আউট



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: চলমান ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা নিয়ে পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য সংসদেও। নির্বাচন পরিচালনায় সংসদ সদস্যদের সমন্বয়কারী থাকা এবং প্রচারণায় অংশ নেওয়া নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলেও সরকারি দলের সিনিয়র পার্লামেন্টারিয়ানরা বললেন এটা তাদের রাজনৈতিক অভ্যাস। পৃথিবীর কোনো দেশে আছে নির্বাচনের পর বিরোধী দল বলছে ভোট অবাধ নিরপেক্ষ হয়েছে, আমরাও বলিনি, স্বীকার করছি। দুই পক্ষের পাল্টা-পাল্টি বক্তব্যের পর বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা দিনের কার্যসূচি থেকে বর্জন (ওয়াক আউট) করেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিয়ে উত্তাপ ছড়ান বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ও দলের যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ। তিনি সিটি নির্বাচনে অবাধ নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টির দাবি করেন।

জবাব দিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ওনার (হারুনের) কথাই চট্টগ্রামে ২২ শতাংশ ভোট কাস্টিং যদিও ২৪ শতাংশ। নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু হয়েছে, কারণ যদি সেখানে আওয়ামী লীগ প্রভাব খাটাতো তাহলে ৫০ শতাংশের বেশি ভোটে আমাদের প্রার্থী বিজয়ী হতো। তা তো করেনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেছেন ৯০ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থাশীল। হারুন প্রশ্ন রেখেছেন ওনার কাছে কি জনমত মাপার যন্ত্র আছে? এর জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, মাপার যন্ত্র আছে হারুনুর রশীদের দলের চেয়ারপারসনের কাছে । কারণ তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরে বলেছিলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টার বেশি আসন পাবে না। তাহলে ওনার কাছে মাপার যন্ত্র আছে। এই সেই আওয়ামী লীগ যার অধীনে ৫টি সিটিতে বিএনপি বিজয়ী হয়েছিল।

তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত গাজীপুরে বিএনপি বিজয়ী না হয়েছে, ততক্ষণ অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না বলে দাবি করেছিল, এই স্লোগান বিএনপি’র মুখে মুখে ছিল। কিন্তু দেখা গেল আমরা ১ লাখ ভোটের ব্যবধানে হেরেছি। আমরা ক্ষমতাসীন দল। গাজীপুর নির্বাচনের পর খালেদা জিয়া বলেছিলেন যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হত আওয়ামী লীগের জামানত বাজেয়াপ্ত হত। আপনার নেত্রীর কাছে ভোট গণনার মেশিন আছে। যার জন্য তিনি বলতে পেরেছেন আওয়ামী লীগের জামানত বাজেয়াপ্ত হত।

তোফায়েল আহমেদ বলেন,  এই নির্বাচন শুরুর আগ থেকে বিএনপি বলছে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। এটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ওনি বললেন ঢাকার সব জায়গায় গোলমাল হচ্ছে, কোথায়?

এমপিদের প্রচারণা নিয়ে তোফায়েল বলেন, আমি নিজে ইসিতে গিয়েছিলাম, তাদের সঙ্গে পরামর্শ করতে। তারা স্বীকার করেছে এটা আইন না। আইন হলে সংসদে পাস করতে হয়। এটা হল একটা বিধি। সেই বিধিতে লেখা আছে সুবিধাভোগী এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। কিন্তু সংজ্ঞায় এমপির নাম আছে এটা ঠিক। আপনি বলেন, আপনি (হারুন) আমি কি সুবিধাভোগী?

সুবিধাভোগীর সংজ্ঞা কী? আমি মন্ত্রী ছিলাম, এমপি ছিলাম, এখনও আছি এটা আমার অপরাধ। আর মওদুদ আহমদ উত্তরের সমন্বয়ক। তিনি কি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন, তিনি এমপি নন, বিএনপির আমলে মন্ত্রী ছিলেন, এরশাদের আমলে উপ প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। মওদুদ সাহেব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি না, গুরুত্বপূর্ণ হলাম আমরা। আমরা বলেছি আপনাদের কাছে পরিবর্তন করতে আসি নাই। আমরা ক্ষমতাসীন দল আমরা যদি পরিবর্তন করি তাহলে আমাদের ওপর বিরূপ ধারণা হবে, পরে বলবে আমরা নির্বাচনে জেতার জন্য পরিবর্তন করেছি। ওনারা চেষ্টা করেছিলেন এটাকে সংশোধন করতে, পারেন নাই। আমরাও মেনে নিয়েছি।

আমরা বলেছি মুজিব বর্ষ শুরু হয়ে গেছে, আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সভা করব, ভোট চাইব না। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন দেশ আছে নির্বাচনের পরে বলে নাই যে নির্বাচন অবাধ এবং নিরপেক্ষ হয়েছে। এটা আমরাও বলেছি। অস্বীকার করব না। আমরাও বলেছি। এটা সঠিক নয়। আমরা বলেছি অবাধ নিরপক্ষে গ্রহণযোগ্য সত্য নির্বাচন হবে।

আমির হোসেন আমু বলেন, সব সময় বিএনপির রাজনীতি নেগেটিভ। ১৯৮৬ সালে তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে নাই। তারা ক্ষমতা গ্রহণের অন্য পথ অবলম্বন করার চেষ্টা করেছিল। পরবর্তীকালে তারা নির্বাচন বিমুখতা প্রমাণ করেছে। ৫টি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরেও যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না তাদের চিন্তা চেতনা কোথায় ছিল। তারা নির্বাচন বিমুখতা সব সময় থাকে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হচ্ছে রাজনীতি বিরোধী। মানুষের কাছে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে। যতই তারা মানুষ দ্বারা পরিত্যক্ত হয় ততই ওনারা কারচুপির কথা বলেন।

বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, নির্বাচন কি আসলে হবে, নাকি প্রহসন চলবে? সারাদেশে নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার বার বার বলছেন যে আপানার নির্বাচনে আসেন শেষ পর্যন্ত থাকেন। আমরা শেষ পর্যন্ত থাকব আমাদের মিছিল থেকে লোক ধরে নিয়ে বলবেন ছিনতাইকারী, পকেটমার। মিছিল থেকে ধরে নিয়ে গায়েবি মামলা দেবেন। এটা কত দিন চলবে।

তিনি বলেন, দেশে কি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারবো না। আমরা কি দেশে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারবো না। এটি সৎ ইচ্ছার ব্যাপার। তার প্রমাণ আমার এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়েছে একেবারে শান্তিপূর্ণ, সেখানে কোন ধরনের সহিংসতা হয়নি। মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছে। এটা সৎ ইচ্ছার ব্যাপার। চট্টগ্রামে ২২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়। কাজেই সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে বির্তক তৈরি হয়েছে মন্ত্রী, এমপিদের অংশগ্রহণে কোনো ঘরোয়া সভার করার সুযোগ নাই। আপনার আইন পাস করেছেন আইন করে আবার আপনারাই দাবি জানাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। পুলিশের ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে সিনিয়র এমপি-মন্ত্রীরা যদি পুলিশকে বলে এটা কর তার বাইরে পুলিশ কোনো কাজ করতে পারে?

তিনি বলেন, জনপ্রিয়তা যাচাই করতে হলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করুন। পরে তারা সংসদ থেকে ওয়াক আউট করেন।

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;