রাজাকারের তালিকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির হারুন
জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: রাজাকারের তালিকা সরকারের বড় ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, ৫০ বছর পর এই তালিকার কি প্রয়োজন ছিল? মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাই এখন পর্যন্ত করতে পারেননি। রাজাকারের তালিকা ৫০ বছর পর করতে যেয়ে এখন বলছেন পাকিস্তান করেছে আবার বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করেছেন। এটা ঠিক না। এটা সরকারের কত বড় ব্যর্থতা?
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে একাদশ সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
হারুনুর রশীদ বলেন, রাজাকারের তালিকা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কি বেদনা, কি বিরূপ প্রতিক্রিয়া। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছেন, দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এটি সৎ উদ্দেশ্যে যদি থাকতো তাহলে ৫০ বছর পর কি প্রয়োজন ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাই এখন পর্যন্ত ঠিক করতে পারিনি।
তিনি বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে। বর্তমান সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যত সময় ঘনিয়ে আসছে সরকারের সন্ত্রাসী তৎপরতা আরও বেড়ে যাচ্ছে। তার প্রমাণ গত পরশুদিন তাবিথের ওপর হামলা। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে জবাবদিহিতামূলক করতে গেলে অবশ্যই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা দিতে হবে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বলেছেন সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এটা ঠিক না। কথাটি সত্য নয়, এটা সত্য নয়। নির্বাচন কমিশন নাকি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করেছে, এটা একেবারেই অসত্য।
রাষ্ট্রপতি ভাষণে ভেদাভেদ ভুলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানের ডাকের বিষয়ে বলেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে ঢুকিয়ে রাখবেন, ওনি মৃত্যুপথযাত্রী, ওনার জামিন দেবেন না । ওনাকে সাজা দিয়ে দিনের পর দিন মাসের পর মাস আটক রাখবেন। বাংলাদেশে বিরোধী দলকে পুলিশ র্যাব দিয়ে পেটাবেন। এটা দিয়ে জাতীয় ঐক্য, শান্তি সমৃদ্ধি এগিয়ে যেতে পারে না।