তামাকজনিত রোগে বছরে মৃত্যু এক লাখ ৬১ হাজার

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদের ভবনের ফাইল ছবি, ইনসেটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক

সংসদের ভবনের ফাইল ছবি, ইনসেটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে প্রতিবছর এক লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আর তামাকজনিত রোগব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয় হয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

সরকারি দলের সদস্য বেগম শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, দেশে বর্তমানে প্রাপ্ত বয়স্ক ১৫ লাখের অধিক নারী ও পুরুষ এবং ৬১ হাজারের বেশি শিশু আত্মঘাতি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। ওই সকল রোগ থেকে রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যানবাহন, রেলস্টেশন ও বিভিন্ন জনসমাবেশস্থলে ও গণ পরিবহণে ধূমপান নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

একই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ঘোষণা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে একটি রোড ম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে একটি নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করেছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরো জানান, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করতে জেলা ও উপজেলায় ৩২১ জন স্যানিটারি ইনস্পেক্টরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে বিভিন্ন জেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইন লংঘন করায় ৮৬৬টি ঘটনায় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

সরকারি দলের আসনের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ২০১৯ সালে মিডফোর্ডসহ সারা দেশে নকল-ভেজাল অসুধ উৎপাদন ও বিক্রির দায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতে ২ হাজার ১৪৫টি মামলা দায়ের করে ১২ কোটি ৪১ লাখ ৬ হাজার ৪৮৪ টাকা জরিমানা, ৩৯জনকে কারাদন্ড, ৪৪টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে।

এছাড়া আনুমানিক ৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা মূল্যের নকল ভেজাল অসুধ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া আদালতের নির্দেশে আনুমানিক ৪৬ কোটি ৬২ লাখ মূল্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়।

তিনি আরো বলেন, গত বছর এ কারণে ৪১টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, ৩টি প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন স্থগিত এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৯টি ওষুধের উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া মানবহির্ভূত হওয়ায় ৯টি ওষুধের নিবন্ধন বাতিল ও ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটি (ডিসিসি) দ্বারা ৯৯টি জেনেরিক ওষুধ বাতিল করা হয়েছে।