বাসাবাড়ির চুলায় না, শিল্পে গ্যাস দেব

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ অধিবেশন এবং ইনসেটে নসরুল হামিদ / ছবি: সংগৃৃহীত

সংসদ অধিবেশন এবং ইনসেটে নসরুল হামিদ / ছবি: সংগৃৃহীত

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সারাদেশের শিল্প কারখানায় প্রাকৃতি গ্যাসের সরবরাহ অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেছেন, আমাদের মহামূল্যবান গ্যাস। সবাই চান এই গ্যাস তার বাসার চুলায় নিতে। আমরা এই বিষয় থেকে বিরতি নিতে চাই।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে একাদশ সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ১৩৭ বিধিতে আনিত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নরুন্নবী চৌধুরী।

গ্যাসের অগ্রাধিকার প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কি আবাসিক খাতে গ্যাস দেব, শিল্পখাতে গ্যাস দেব, কমার্শিয়াল খাতে গ্যাস দেব, সিএনজিতে গ্যাস দেব, নাকি পাওয়ার প্লান্টে গ্যাস দেব। কোনটা আমাদের অগ্রাধিকার? যদি আমরা গ্যাস দিয়ে পাওয়ার বানাই সেখানে যে এনার্জি তৈরি হয় সেটার এফিশিয়েন্সি ৬৫ শতাংশ। চুলাতে যে গ্যাস ব্যবহার করে আমরা রান্না করি তার এফিশিয়েন্সি ৫ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, দুইটি চুলায় এক মাসে যে পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করে, সেই গ্যাস দিয়ে যদি গার্মেন্টসের ব্রয়লার চালানো হয় তাহলে ১০০ লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হয়। কাজেই গুরুত্বটা কোথায়? বুঝতে হবে। অতি মূল্যবান প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করতে ৯ টাকা আর সেই গ্যাস বিক্রি করছি গড়ে ৭ টাকা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের চাহিদা মেটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। গ্যাসের চাহিদার ক্ষেত্রে স্বস্তির লেবেল তৈরি করার জন্য এই ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। যে গ্যাস আমদানি করছি সেখানেও প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। যে পরিমাণ গ্যাস আমাদের শিল্পে ব্যবহার করা হয় সেখানেও যাতে স্বস্তি তৈরি হয়।

তিনি বলেন, মহামূল্যবান গ্যাস সবাই চুলার মধ্যে নিতে চাচ্ছি। এই বিষয় থেকে বিরতি নিতে চাই। গ্যাসের ব্যবহার বিষয়ে ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে ভোলায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র ব্যতীত অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহের প্রয়োজন নাই। সেখানে নির্মিতব্য বিদ্যুৎকেন্দ্র দ্বৈত জ্বালানি ভিত্তির হতে হবে। ডুয়েল ফুয়েল করব। যদি গ্যাসও ফুরায় যায়, যাতে তেল দিয়েও চালাতে পারি।

তিনি বলেন, ভোলা থেকে বরিশাল পর্যন্ত পাইপ লাইনে গ্যাস নেওয়া যায় কি না সেই সমীক্ষা করছি। বরিশালে আমরা শিল্প করতে চাই। আমরা শিল্প এলাকাতে দিতে চাই। বাংলাদেশের যতগুলো শিল্প এলাকা হোক সেখানে আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে।