সব জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার নির্দেশনা প্রদান করেছেন বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

তিনি বলেছেন, বর্তমানে দেশে ৪৪টি জেলায় রেলপথ রয়েছে। অবিশিষ্ট জেলায় রেলপথ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব আবদুল মান্নানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে রেলপথ মন্ত্রী জানান, অতিসম্প্রতি কয়েকটি কারণে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- জনবল সঙ্কটের কারণে ট্র্যাক, কোচ, ব্রিজ ইত্যাদি মেইনটেন্যান্সের অভাব, অবৈধ লেভেল ক্রসিং গেইট দিয়ে অনিয়ন্ত্রিত সড়কযান পারাপার, লাইনে বসানো রেল ভাঙ্গা পাওয়া, লাইন চ্যুতি, অত্যাধিক বন্যার কারণে ট্রেন চলাচল বিচ্ছিন্ন হওয়া, দুই ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ইত্যাদি দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তিনি জানান, ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে ট্রেন ব্যবস্থাপনাকে ডিজিলাইজেশন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। দুর্ঘটনা রোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীদের আরও সচেতনভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য বিভিন্ন মোটিভেশনাল কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন আরও জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি সেবামূলক সংস্থা। দেশের আপামর জনসাধারণকে স্বল্প খরচে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবহন সেবা প্রদানের উদ্দেশ নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়েকে প্রকৃত গণপরিবহন মাধ্যম হিসেবে ঢেলে সাজাতে এবং একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েকে গড়ে তুলতে গত এক দশকে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি জানান, রেলওয়েতে লোকোমেটিভ ও যাত্রীবাহী কোচের তীব্র সঙ্কট ছিল। দীর্ঘ সময় রেলওয়েতে চাহিদা মোতাবেক লোকোমেটিভ, কোচ ও ওয়াগন সংগ্রহ না করার ফলে ট্রেন পরিচালনা হুমকির সন্মুখীন হয়। গত এক দশকে দেশীয় ও বৈদেশিক অর্থায়নে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় লোকোমেটিভ, কোচ ও ওয়াগন সংগ্রহ করা হয়েছে। যার ফলে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোট ১৩৫টি নতুন ট্রেন চালু ও ৪০টি বিদ্যমান ট্রেনের সার্ভিস বর্ধিত করা সম্ভব হয়েছে।