শেখ হাসিনার নামের আগে ‘হজরত’ যুক্ত করতে চাইলেন হুইপ স্বপন

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের ইতিহাসে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণের নির্দেশনার মধ্য দিয়ে এক মহৎ কাজ করেছেন। যা এর আগে কোনো ইসলামী রাষ্ট্রনায়ক করতে পারেন নাই। তিনি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ইসলামের ইতিহাসে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছেন। তাই শেখ হাসিনার নাম উচ্চারণ করার পূর্বে তার প্রতি সম্মানসূচক একটি শব্দ উচ্চারণ করতে চাই, ‘হজরত শেখ হাসিনা’ তোমাকে অভিবাদন।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

স্বপন বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক মুসলিম শাসক ও রাষ্ট্রপ্রধান মহৎ কর্ম করে তার নিজের দেশে এবং বিশ্ব ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। এসময় তিনি খলিফা হজরত ওমর ফারুক (রা.) ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৫৪৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই এক দশক শাসনামলে পৃথিবীর ইতিহাসে কল্যাণের ইতিহাসে এক ম্যাগনাকার্টার কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, এখনও ওমরের শাসনামলকে পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সুন্দর শাসন আমল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ছদ্মবেশে প্রজাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রজাদের দুঃখ কষ্ট লাঘব করতেন। তিনিই সর্বপ্রথম মুসলমান-অমুসলমান সকল প্রজাদের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে পেনশন সুবিধা চালু করেছিলেন। এরপর খলিফা হজরত ওসমান (রা.) ৬৪৪-৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত খিলাফতের সময় মসজিদে নববীর পুনঃনির্মাণ কাবাগৃহের উন্নতি, গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ, রাস্তা, সেতু ও বাঁধ নির্মাণ করে এক অসাধারণ জনকল্যাণ করেছেন। ইসলামের আরও অনেক শাসক অনেক মহৎ কর্ম করে গেছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ওমর (রা.) মতো শেখ হাসিনা রাতের অন্ধকারে মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরতে পারেন না। তখন জনসংখ্যা ছিল কম। এখন ১৭ কোটি মানুষের গৃহে যদি যেতে চান তার এক জনমে পৌঁছাতে পারবেন না। এ কারণে তিনি সারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে হজরত ওমর ও ওসমানের অনুসরণ করে মানবতার কল্যাণ করছেন। তিনিই প্রথম ইসলামের ইতিহাসে এমন একজন বিখ্যাত নেতৃত্ব যিনি দুঃস্থ মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের কল্যাণ ভাতা চালু করেছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। কওমি, ইবতেদায়ী মাদরাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আলেমদের জাতীয় জীবনে অবদান রাখার সুযোগ দিয়েছেন।