‘বিচার বিভাগ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে এবং প্রভাবমুক্ত থেকে বিচারকার্য পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে বিচার বিভাগ জনগণের মাঝে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। আমরা জনগণের মাঝে এই বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি।

লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ইতালি সফরে থাকায় তার প্রশ্নোত্তরটি টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের টেবিলে উত্থাপিত তারকা চিহ্নত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, অপরাধীর কোন দল নেই তার পরিচয় কেবলই অপরাধী এবং অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক না কেন তার বিচার হবেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রকৃত আসামিরা যাতে সাজা পায় এবং নিরপরাধীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সজাগ রয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধী চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমরা বিচার বিভাগে নানামুখী সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছি।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৪০ হাজার ৬৩৯ (২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) যার বিপরীতে কর্মরত বিচারকের সংখ্যা অপ্রতুল। ইতিমধ্যে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৬ জন, হাইকোর্ট বিভাগে ৩৭ বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অধস্তন আদালতে ৭৬৮ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১৩তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে ১০০ জন সহকারী জজ নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ১৪তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে আরও ১০০ জন সহকারী জজ নিয়োগ এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে ৮৮৬টি পদ সৃজনের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দ্রুত নিষ্পত্তিতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।

সংসদ নেতা আরও বলেন, এজলাস স্বল্পতা দূর করে সর্বোচ্চ কর্মঘণ্টা ব্যবহার করে বিচার কাজে গতিশীলতা আনায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অধস্তন আদালতের জন্য ৪২টি জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি জেলায় সম্পূর্ণ ভবন নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং ১৪টি জেলায় ভবন নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ নতুন ১২তলা ভবন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ডিজিটাইজেশন করার লক্ষ্যে আমরা ই-জুডিশিয়ারি শীর্ষক একটি প্রকল্প নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ৪ বছর মেয়াদি প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ২ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আদালতে মামলার বিচার নিষ্পত্তির পাশাপাশি নতুন মামলা দায়েরের হার কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। এই পদ্ধতিকে ফলপ্রসূ করতে সারাদেশে জেলা জজ আদালতে একজন করে সরকারি সিনিয়র/ সহকারী জজ পর্যায়ের বিচারককে লিগ্যাল এইড অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে সারাদেশে ২৮ হাজার ৯৫৫ টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। প্রচলিত ব্যবস্থার বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি করার জন্য জাপানের সঙ্গে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া অসহায় ও দুস্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে ইতিমধ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৪ জনকে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা করে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং জঙ্গিবাদকে উসকে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল। হলি আর্টিজান মামলার আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করে বিচার নিষ্পত্তির মাধ্যমে এই চক্রান্ত রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলা ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া রিশা হত্যা মামলা, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দিয়া খানম ও আব্দুল করিম রাজীবের মামলা, গাইবান্ধা সংসদ সদস্য হত্যাসহ বহুল আলোচিত মামলার নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার বিচার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে এবং বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ গঠন করেছে।

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;