অর্থমন্ত্রীকে তুলোধুনো করলেন বিরোধী দলীয় এমপিরা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা, জাতীয় সংসদ ভবন থেকে
সংসদ অধিবেশন, ছবি: সংগৃহীত

সংসদ অধিবেশন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদে বিল পাস নিয়ে পুঁজিবাজার, ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা ও বিদেশে অর্থপাচার ইস্যুতে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) তোপের মুখে পড়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় অধিবেশনের শুরুতেই স্বায়ত্তশাসিত, সরকারি কর্তৃপক্ষ ও স্ব-শাসিত সংস্থার যে বিপুল পরিমাণ উদ্বৃত্ত অর্থ ব্যাংকে রয়েছে, তা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার বিধান রাখতে বিল পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

এর বিরোধিতা করে অর্থমন্ত্রীকে তুলোধুনো করেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা। প্রথমে তারা বিলটি প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান এবং ওই বিলকে কালো আইন বলে আখ্যা দেন। অনেকে বলেন, এটি ডিজগাস্টিং বিল, এটি প্রত্যাহার করুন।

বিলটির জনমত যাচাই-বাছাইয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিলের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, একটি কালো আইন তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে ৬১টি প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শিক্ষা, বাণিজ্যিক ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানও আছে। বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত নির্দিষ্ট আইনের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সেই আইন পরিবর্তন না করে সরাসরি আরেকটি আইন তৈরি করে সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা প্রত্যাহার করে নেবেন। এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য বিলটি কমিটিতে আলোচনার সময় অর্থসচিব ছিলেন, তিনি বলেছেন, সরকারের অর্থের দরকার।

তিনি বলেন, উন্নয়নের দরকার আছে, অর্থের দরকার আছে, কিন্তু সক্ষমতা কতটুকু? আমার অর্থের প্রয়োজন কতটুকু? সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়ে অর্থ প্রত্যাহার করবেন, এটা হতে পারে না। এ টাকা ব্যাংকে জমা আছে। তাই প্রথমে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যাংকগুলো। অর্থসচিবই কমিটিতে বলেছেন, ২ লাখ ৩৫ হাজার কোটি জমা আছে। এ টাকা তুলে আনলে ব্যাংকগুলো অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

রুমিন ফারহানা বলেন, এ বিল সরকারের ধারাবাহিক লুটপাটের প্রতীক। পুরো বিলটি চ্যালেঞ্জ করছি। টাকা পাচার, মন্দ ঋণের কারণে ব্যাংকে চলছে তারল্য সংকট। শেয়ার মার্কেট ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, তিনি সাধারণ অবস্থা থেকে অত্যন্ত বড় শিল্পপতি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। বছরে ৭৬ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়। অর্থমন্ত্রী অসাধারণ মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সাধারণ অবস্থা থেকে ব্যবসায়ী হয়েছেন। তিনি অর্থনীতি বোঝেন না, এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? তার সদিচ্ছার অভাব। এতো মেধাবী তিনি, কিন্তু শেয়ার বাজার, খেলাপি ঋণ নিয়ে কিছু করলেন না। কেন মেধাবী অর্থমন্ত্রী এদিকে নজর দিচ্ছেন না? তিনি ধনী সমাজের জন্য অর্থমন্ত্রী হন নাই। কেন খেটে খাওয়া মানুষের দিকে তার নজর নেই?

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, অর্থমন্ত্রী শিক্ষিত লোক। চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। ওনার সময়ে পুঁজিবাজারে ১০ হাজার ইনডেক্স উঠেছিল। যখন তিনি পরিকল্পনামন্ত্রী। তখনই তিনি বলেছিলেন, ৪ হাজার হওয়ার কথা, কীভাবে ১০ হাজার হলো? তিনি জানতেন না। ব্যাংকের মালিক সমিতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রী বসেন। কীভাবে হয় এটা? নিরঙ্কুশ সংখ্যগরিষ্ঠের ক্ষমতা দেখাবেন না। পৃথিবীতে অনেক দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে। কদিন পরে আমার একাউন্টের টাকা নিয়ে নেবে কিনা সেই ভয়ে আছি। টাকা এখন ব্যাংক থেকে বাসায় নিয়ে যাব কিনা ভাবছি।

জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বিলটি পাস হলে অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে যাবে। রাজস্ব বোর্ড অটোমেশন করতে দিচ্ছে না। টাকা চুরি করছে। ট্যাক্স নিচ্ছেন না, নিচ্ছেন ঘুষ। এটাকে সহজ করছেন না। টাকার মালিক জনগণ। জনগণের গচ্ছিত টাকা। পাচার হওয়া টাকা উদ্ধার করেন। জনগণের পকেটে হাত দিয়ে ফেলেছেন। ব্যাংকিং খাত ভেঙে পড়েছে। সেদিকে নজর দিন। টাকা পাচার বন্ধ করুন। মানুষ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। ধনী আরও ধনী হচ্ছে। গরীব আরও গরীব হচ্ছে।

তিনি বলেন, টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এর জন্য ব্যাংক দায়ী। ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন এখানে বই দেয়, ওখানে কম্বল দেয়। অন্তত ১০০ ছবি দেয়। অর্থমন্ত্রীর ছবি ছাপা হয়। টাকা কি ওনার? এটা জনগণের টাকা। এ টাকা কেন অ্যালাউ করেন? টাকা যদি বেশি হয়ে থাকে, জনগণের খেদমতে দিয়ে দেন। বিলটা পাস করবেন না।

জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ী হলে যা হয়, তাই হয়েছে। বাজেট করার সময় চিন্তা করেন নাই? রাজস্ব ঘাটতি সম্পর্কে চিন্তা করেন নাই? ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি। আগের বছরের চেয়ে ৪৫ ভাগ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হলেও আদায় করা হয়েছে মাত্র ৭ শতাংশ। এনবিআরের ব্যর্থতার কারণে এ বিল সমর্থন করতে পারছি না।

তিনি বলেন, আমি একজন অ্যাডভোকেট। এটা বললে কী অপরাধ হবে? অর্থমন্ত্রী চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। কিন্তু ওনার মূল পরিচয় একজন ব্যবসায়ী। এটাতে আহত হওয়ার কিছু নেই। আমরা আশা করেছিলাম, সাকসেসফুল বিজনেস ম্যান, অর্থনীতিতে ভালো করবেন। কতদূর ভালো করেছেন, উনি চিন্তা করবেন। ব্যাংকের মালিক ডিরেক্টররা ঋণ নিয়ে বসে আছেন। এটা কী দেশ? টাকা পাচার হয়, উনি ব্যবস্থা নেন না। বিভিন্ন সংস্থার টাকা খরচ করছেন। আগামী বছর ট্যাক্স না পেলে কী করবেন? ২০১৭ সালে আমাকে বেস্ট লেবার মিনিস্টারের অ্যাওয়ার্ড দিয়েছিল। কেন যে দিয়েছিল, তা আমি জানি না।

জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী এ বিলটিকে জনবিরোধী আইন, ডিজগাস্টিং আইন আখ্যা দিয়ে বলেন, আইনটি পাস হলে সংসদের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটবে। ব্যাংক থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। দেখা যাবে, সামনের বছর ১ লাখ কোটি টাকা নেবে। এর কোনো শেষ নেই। ডিজগাস্টিং আইনটার প্রত্যাহার চাই। জাতির পতনের প্রথম ধাপে যাচ্ছি। ওনারা দায় স্বীকার করে নিক।

পাটোয়ারী বলেন, স্বাধীন দেশে এ ধরনের আইন হতে পারে না। মেগা প্রজেক্ট বাদ দিলে কী হবে? কিছুই হবে না। একটি আইন সিস্টেমকে কলাপস করে দেবে। একটি আইন অর্থনীতিতে কি লোটাস বা পদ্মফুল এনে দেবে? এতই ন্যাক্কারজনক আইন যে সংশোধনযোগ্যও নয়।

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;