‘আমি সারা বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংসদ অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল | ফাইল ছবি

সংসদ অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল | ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সংসদে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের সমালোচনার মুখে ‘বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অর্থমন্ত্রী’ খেতাব পাওয়ার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমি সারা বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী। পারসোনাল লেভেলে কথা বলবেন, এটা ঠিক নয়।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইনানশিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রের কোষাগারে নিতে আইন করার প্রস্তাব বিরোধী দলের তীব্র বিরোধিতার মধ্যে পাস হয়।

ব্যাংক খাত ঋণ কেলেঙ্কারিতে ধুঁকতে থাকার মধ্যে আইনটি পাস হলে তা ‘কালো আইন’ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। পুঁজিবাজারে ধস, অর্থপাচার ও ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ কেন নেওয়া হচ্ছে প্রশ্ন তুলে লে অর্থমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন তারা।

জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ী হলে যা হয় তাই হয়েছে। বাজেট করার সময় চিন্তা করে নাই? রাজস্ব ঘাটতি সম্পর্কে চিন্তা করে নাই? ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি। আগের বছরের চেয়ে ৪৫ ভাগ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছিল। করেছে মাত্র ৭ শতাংশ। এনবিআরের ব্যর্থতার কারণে এই বিল সমর্থন করতে পারছি না। প্রত্যাহার করার দাবি করছি।

তিনি আরও বলেন, “উনি (অর্থমন্ত্রী) চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট। কিন্তু ওনার মূল পরিচয় একজন ব্যবসায়ী। এটাতে আহত হওয়ার কারণ নেই। আমরা আশা করেছিলাম, সাকসেসফুল বিজনেসম্যান, অর্থনীতিতে ভালো করবেন। কত দূর ভালো করেছেন উনি চিন্তা করবেন। ব্যাংকের মালিক ডিরেক্টররা ঋণ নিয়ে বসে আছেন। এটা কি দেশ? টাকা পাচার হয়, উনি ব্যবস্থা নেন না। বিভিন্ন সংস্থার টাকা খরচ করছেন। আাগমী বছর ট্যাক্স না পেলে কী করবেন?”

জবাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, “একবার চিন্তা করে দেখেন। সাইফুর রহমান চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট ছিলেন। আমিও তাই। আমি সারা বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী। পারসোনাল লেভেলে কথা বলবেন, এটা ঠিক নয়। আমিও অনেক কিছু বলতে পারি। সবার বিষয়েই আমি জানি।”

অর্থমন্ত্রী বলেন, “দেশে যত বেশি প্রবৃদ্ধি ঘটবে সেটার প্রতিফলন হবে পুঁজিবাজারে। অর্থনীতির মূলভিত্তি পুঁজিবাজার। উন্নত দেশে তাই হয়। কিন্তু আমাদের দেশে অর্থনীতি একরকম, পুঁজিবাজার আরেকরকম। মনে হয় পুঁজিবাজার ভিন্ন দ্বীপের।”

উত্থাপিত বিলে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সদস্যদের বিরোধিতার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য পিছিয়ে পড়ে থাকা মানুষকে মূল স্রোতে নিয়ে আসা। যত বড় ব্যবসায়ী তত বেশি ট্যাক্স দিচ্ছে। আইন সেভাবেই সাজানো। এ ধরনের আইন নতুন নয়। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন দশম সংসদে পাস হয়েছে। সেখানে এ ধরনের কথা বলা হয়েছে। একাদশ সংসদে উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ আইনে একই ধরনের কথা বলা হয়েছে। সরকারি কোষাগারে যদি কোন অর্থ জমা না হয় অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা কেমন করে আসবে?”

মুস্তফা কামাল বলেন, “বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে তবে যেভাবে সুনির্দিষ্ট করে সংখ্যা বলা হচ্ছে সেটা মোটেও ঠিক নয়। টাকা পাচারের সংখ্যা আমরা জানি কিভাবে? তার মানে আমি কি পার্টনার? তাহলে তো হয় অভিযোগ করতে হবে না হলে আদালতে সাক্ষ্য দিতে হবে। ২০১০ সালের পর থেকে পুঁজিবাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। পুঁজিবাজার আরও ভালো করা উচিত। যে জায়গায় থাকা উচিত সেখানে নেই।”

অর্থমন্ত্রী বলেন, “অর্থনীতির শৃঙ্খলা একদিনে আসবে না। আজকের এই অবস্থার জন্য সবারই কম বেশি দায়বদ্ধতা আছে। যখন প্রাইভেট ব্যাংক ব্যবস্থা শুরু হয়েছে তখন থেকে এই অবক্ষয় শুরু। এগুলো শোধরানোর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

তিনি বলেন, “বলা হচ্ছে সমানে অর্থপাচার হচ্ছে। টাকার অংক দিয়ে বলে দেয় এই টাকা পাচার হচ্ছে। আমার কাছে কোন নম্বর নাই। আমার কাছে (ধারণা, অনুমান) তবে সাধারণভাবে বুঝি যদি আংশিকও পাচার হয় তবুও দেশ থেকে পাচার হচ্ছে।”

যারা সংখ্যা উল্লেখ করে অর্থপাচারের কথা বলছেন তাদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, “টাকার নম্বর উল্লেখ করা হচ্ছে, তাহলে আমি কি সাক্ষী? নাকি যিনি পাচার করছেন তার পার্টনার? তাহলে কিভাবে বলতে পারি, যদি বলতে পারতাম তাহলে কোর্টে গিয়ে মামলা করা উচিত।”

অর্থমন্ত্রী বলেন, “পুঁজিবাজারে সে ধরনের উত্থান দেখিনি, সেভাবে পড়ে যাওয়াও দেখিনি। এটা মোটামুটি স্ট্যাবলিটির মধ্যে আছে। দেশের সমৃদ্ধির প্রথম শর্ত পুজিবাজার। দেশ যত বেশি উন্নতি করবে, যে দেশে যত বেশি প্রবৃদ্ধি ঘটবে সেটার প্রতিফলন হবে পুঁজিবাজারে। কিন্তু আমাদের দেশের অর্থনীতি একরকম পুঁজিবাজার আরেকরকম। মনে হচ্ছে পুঁজিবাজার ভিন্ন দ্বীপের। আমার শুনতে ভালো লাগে না। পুঁজিবাজার আরও ভালো করা উচিত। যে জায়গায় আসা উচিত সেই জায়গায় নেই।”

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;