তথাকথিত আলেমদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সম্প্রতি ইসলাম বিরোধী যেসকল অপপ্রচার করা হচ্ছে সেজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আরো সচেতন থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, সত্যিকারভাবে যারা এগুলো করছে তাদের তালিকা তৈরি করে সেই সমস্ত তথা কথিত আলেমধারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনানুগ ব্যবস্থা হওয়া বাঞ্চনীয়।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী জামাতের এই দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। যদিও জামাতকে দল হিসেবে এখনো নিষিদ্ধ করতে পারি নাই। এটা স্বীকার করতেই হবে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, জামাতকে নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে বলেন, দেশের বর্শিয়ান রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন গত পরশু দিন যে কথা বলেছেন সারা জাতির সঙ্গে আমিও হতবাক হয়েছি, আশ্চর্য হয়েছি। অনেকে বলেন সংবিধান প্রণেতা, বাস্তবে যাই হোক। তিনি আইনমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে সংবিধান প্রণয়ন হয়েছিল। সেই কৃতিত্বের অধিকারী হতেই পারেন। তবে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অবস্থান রহস্যজনক ছিল। 

বিজ্ঞাপন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে একটা আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রচলন করার দাবি জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, যেমনিভাবে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়, তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার এই বছর থেকেই চালু করার জন্য সরকারের প্রতি প্রস্তাব রাখছি। এছাড়া ইউনেস্ক থেকে যে আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেওয়া হয় সেখানে যেন বঙ্গবন্ধু নামে একটা পুরস্কার প্রচলন করা হয়। এজন্য তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

লুই আই কান এর নকশা বাস্তবায়নে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মন্ত্রী বলেন, লুই আই কানের নকশা আনার পর ভাবছিলাম নকশা অনুযায়ী সবকিছু হবে। আপনি (স্পিকার) বিষয়টি দেখবেন যেন লুই আই কানের নকশা বর্হিভুত যেসকল কবর ও স্থাপনা রয়েছে সেগুলো যেন অপসারণ করা হয়।