প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষককের পদ শূন্য
জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সারাদেশে বর্তমানে (ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭ হাজার ১৮টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া ২১ হাজার ৮১৪টি সহকারি শিক্ষককের পদ শূন্য ছিল তারমধ্যে হতে ১৮ হাজার ১৪৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের চূড়ান্ত নির্বাচিত করা হয়েছে। হিসেব মতে, প্রধান শিক্ষক ৭ হাজার ১৮টি এবং সহকারী শিক্ষকের পদ ৩ হাজার ৬৬৭টি পদ শূন্য রয়েছে। সব মিলিয়ে ১০ হাজার ৬৮৫টি পদ শূন্য রয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে টেবিলে মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
সংসদে দেওয়া তথ্যানুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি পদ শূন্য রয়েছে। জেলাটিতে ১৩২৫টি পদ শূন্য। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে সিরাজগঞ্জ এই জেলায় ৮৬২টি পদ শূন্য, তৃতীয় অবস্থানে কুমিল্লা। জেলাটিতে শূন্য পদ ৮৩২টি, এরপর নোয়াখালীতে সেখানে ৬৩৯টি এবং সুনামগঞ্জে ৬১৬টি পদ শূন্য রয়েছে। এভাবে প্রতিটি জেলাতেই কম বেশি সহকারি শিক্ষকদের পদ শূন্য রয়েছে।
প্রধান শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের ব্যাখায় প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৩৫ শতাংশ শূন্যপদে ৩৭ তম বিসিএস হতে পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য ২০১৯ সালের ২৬ জুন ১৯নং স্মারকে প্রয়োজনীয় তথ্য পিএসসির নির্ধারিত ফরমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সহকারি শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরির) শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা ২০১৩ ও নন ক্যাডার কর্মকর্তা/কর্মচারী জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা ২০১১ নীতিমালা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়। তবে আদালতে মামলা (মামলা নং-১৫২৩১/২০১৮, পিরোজপুর, মামলা নং-২৮৬/২০১৮ দিনাজপুর) থাকায় প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে জ্যেষ্ঠতা ভিত্তিতে সরকারি শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব অব্যাহত রয়েছে।