গুজব-অপপ্রচার রোধে কাজ করছে কমিটি: তথ্যমন্ত্রী
গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে ১৯ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ে ‘গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ’ সম্পর্কিত ১৯ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি রয়েছে। এ কমিটি গুজব সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান এবং কমিটির আওতাভুক্ত দফতরগুলো গুজব প্রতিরোধে স্ব স্ব দফতরের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। গুজবের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে লিংকগুলো বন্ধ ও প্রত্যাহারে বিটিআরসি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, চলমান এ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত গুজব সংশ্লিষ্ট মোট ১৮টি তথ্যবিবরণী জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি গুজব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে রেডিও টেলিভিশনে স্পট এবং টিভিসি নিয়মিত প্রচার করা হচ্ছে। তথ্য মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দফতরগুলো গুজব প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সারাদেশে গুজব ও সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখতে এবং এর বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে টেলিভিশনে জনসচেনতামূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতারের ১৪টি আঞ্চলিক কেন্দ্র ও বিশেষায়িত ইউনিটগুলো থেকে নিয়মিতভাবে গুজব ও সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখতে বিভিন্নভাবে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান ঘোষণা, সাক্ষাৎকার, স্লোগান ইত্যাদি প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব কমিউনিটি রেডিও এবং বাণিজ্যিক এফএম রেডিও থেকেও প্রচারিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী জনগণের চাহিদা মোতাবেক তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে তথ্য কমিশনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিতকরণের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাবের অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরো জানান, তথ্য কমিশনের ভবন নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। ভবন নির্মাণে ডিপিপির প্রাক্কলিত ব্যয় ৭৫ কোটি ৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। তথ্য কমিশনের ভবন নির্মিত হলে জনগণের তথ্য অধিকার বাস্তবায়নে গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং তথ্য কমিশনে অভিযোগ ও রিট সংক্রান্ত কার্যাদি সম্পন্ন করার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তবে প্রস্তাবিত প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়ায় থাকায় বাস্তবায়ন পদ্ধতি রদবদল হতে পারে, বিধায় খাত-ওয়ারি ব্যয়ের তালিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।