মুজিব বর্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন যারা

  • শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

উপরের বাঁ দিক থেকে- প্রণব মুখার্জী, লে থু হা, বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রেজওয়ান সিদ্দিকী, অর্জুন নরসিংহ কে সি, ইরিনা বোকোভা, রুশনারা আলী

উপরের বাঁ দিক থেকে- প্রণব মুখার্জী, লে থু হা, বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ রেজওয়ান সিদ্দিকী, অর্জুন নরসিংহ কে সি, ইরিনা বোকোভা, রুশনারা আলী

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা পৃথক পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ২২ ও ২৩ মার্চ দু’দিনব্যাপী বিশেষ অধিবেশন বসবে সংসদে। ওই অধিবেশনে দেশের সকল সংসদ সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আসবেন। সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী, বঙ্গবন্ধুর নাতনি ব্রিটিশ লেবার পার্টির সংসদ সদস্য টিউলিপ রেজওয়ান সিদ্দিকী, ব্রিটিশ লেবার পার্টির সংসদ সদস্য রুশনারা আলী, ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য লে থু হা, নেপালি কংগ্রেসের অর্জুন নরসিংহ কে সি, ইউনেস্কোর সাবেক মহাসচিব ইরিনা বোকোভা। এছাড়াও আমন্ত্রণ পেতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।

বিজ্ঞাপন

তবে এখন পর্যন্ত উল্লেখিত নামের বিপরীতে আমন্ত্রণপত্র করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এসব আমন্ত্রণপত্র সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিকট পাঠানো হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো তালিকা থেকে ওই সকল নাম নিশ্চিত হওয়া যায়।

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সংসদ বছরব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তারমধ্যে বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিন ২২ মার্চ সকল সংসদ সদস্যদের নিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে সংসদের দিকে যাত্রা শুরু হবে। এরপর সংসদে বঙ্গবন্ধুর উপর আলোচনা হবে।

বিজ্ঞাপন

এরইমধ্যে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ অধিবেশনের পর সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন, যারা বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে আলোচনা করবেন এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে স্পিকারের কাছে নাম লিপিবদ্ধ করবেন। এজন্য ভালো করে পড়াশোনা করারও নির্দেশনা দেন সংসদ নেতা। এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথিরাও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করবেন। বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে যারা ভালো জানেন, তাদেরই মূলত আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

এদিকে, বিশেষ অধিবেশনের আগে ১৯ মার্চ সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শিশু মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে সকল সংসদ সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। ওই দিন দক্ষিণ প্লাজায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হবে।

বিশেষ অধিবেশন ছাড়াও মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন: আলোকচিত্র ও প্রামাণ্য দলিল প্রদর্শনী, জুন মাসে সংসদ এলাকায় বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি ও ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস উদযাপন করা হবে। বছর শেষান্তে ১-৫ ডিসেম্বর সংসদ এলাকায় মুজিবমঞ্চ স্থাপন ও বিজয় মেলা করা হবে। এছাড়া থাকবে সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে সাইকেল র‌্যালি, দেশব্যাপী স্বাস্থ্যক্যাম্প, বঙ্গবন্ধুর সংসদে দেওয়া ভাষণ সংবলিত বিশেষ প্রকাশনা, স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ, জাতীয় সংসদের শুভেচ্ছা স্মারক, বিশ্বের বিভিন্ন সংসদের স্পিকারদের বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকারের শুভেচ্ছা স্মারক পাঠানো হবে, জাতীয় বিশেষ দিবসে সংসদ ভবন আলোকসজ্জা ও সংসদ এলাকার সাজসজ্জা করা হবে।

মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সংসদ এলাকায় সাজসজ্জার কাজ শুরু হয়েছে। সংসদের লবি-৩ এর বিভিন্ন জায়গায় নৌকার উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পোট্রেট সম্বলিত প্ল্যাকার্ড স্থাপন করা হয়েছে। সবকিছু নতুনভাবে সজ্জিত করা হচ্ছে।