উত্তরের ট্রেনযাত্রার পর দক্ষিণে লঞ্চযাত্রায় যাবে আ.লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী প্রচারণায় দেশের উত্তরাঞ্চলের ট্রেনযাত্রার পর এবার দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চযাত্রায় যাবেন আওয়ামী লীগ। এসময় সরকারের সাম্রগিক উন্নয়নের চিত্র তৃণমূলের জনগণের কাছে তুলে ধরবে তারা। 

আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর  লঞ্চে করে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বরগুনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাদুল কাদের।

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) উত্তরবঙ্গের ট্রেনযাত্রার শুরুতে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলকে আধুনিককায়ণ করতে কর্মসূচি শুরু করছি। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর বরগুনার উদ্দেশ্যে লঞ্চ যাত্রা করব। এর পর পর্যাক্রমে সড়কপথে বন্দর চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জে যাত্রা করব।

   

উপজেলা নির্বাচন

দ্বিতীয় দফায় ভোটার বাড়ার আশা আওয়ামী লীগের



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। প্রথম দফার কম ভোটের রেকর্ডের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক দলটি। সে চেষ্টায় নেতাকর্মীদের আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রের।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম দফায় ১৩৯টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে এখন পর্যন্ত হওয়া ৬টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩৬.১ শতাংশ ভোটার তার ভোট প্রয়োগ করে। ফলে ভোটারদের নির্বাচন বিমুখতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিশ্লেষকরা।

তাই দ্বিতীয় দফায় ১৫৬টি উপজেলায় শুরু হতে যাওয়া আজকের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে আনতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি।

সেই লক্ষে নেতাকর্মীদের প্রতি কেন্দ্রের কড়া নির্দেশনা, ভোটের যেনো সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে। ভোটের মাঠে কেউ যেনো আধিপত্য বিস্তার না করে। অমান্য করলে আছে কঠোর হবার হুমকিও!

বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর অংশ না নেয়া এই নির্বাচন নিয়ে সাধারণ জনগণের আগ্রহ এমনিতেই কম। এর মধ্যে যদি প্রভাবশালীরা আধিপত্য বিস্তার করে তাহলে ভোট দিতে দলের সমর্থকরাও আসবে না। এটা বুঝতে পেরে কাউকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়নি, সেই সাথে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দলটি।

তবে সে নির্দেশনা কতটা মেনে নিয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা সে নিয়েও আছে প্রশ্ন। তথাপি যারা নির্বাচনে আসতে ইচ্ছুক, তার যেন ভোটের অধিকারের প্রয়োগ ঘটাতে পারে সে চেষ্টাই করে যাচ্ছে দলটি। তাই ভোটের মাঠে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে ভোটারদের আকর্ষণ করতে চায় আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা জানান, আমরা আশা করছি এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের নেতাকর্মীরা অনেক জায়গায় আছেন। আবার কোন প্রতীক না থাকায় সবাই প্রার্থী হতে পেরেছেন ইচ্ছে মতো। তাই অধিকাংশ জায়গায় প্রতিযোগিতার পরিবেশও সৃষ্টি হয়েছে। সেখানেও ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করবেন প্রার্থীরা। ফলে বাড়বে ভোটার উপস্থিতি।

এছাড়াও প্রথম দফার নির্বাচনে বৈরি পরিবেশ ও ধান কাটার মৌসুম থাকায় অনেকে ইচ্ছে থাকাও সত্ত্বেও আসতে পারেনি ভোটকেন্দ্রে। এবার আর তেমন বাস্তবতা না থাকায় ভোটাররা ভোট দিতে আসবে। আবার নেতাদের প্রতিও নির্দেশনা ছিলো ভোটার বাড়াতে লিফলেটসহ নানা প্রচারণামূক কাজ করার জন্য। এসব কিছু মিলেই একটি পজিটিভ দিক আমরা দেখতে পাবো আজকের নির্বাচনের ফলাফলে।

ভোটার উপস্থিতি বাড়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা আশা করছি, দ্বিতীয় দফার নির্বাচন যেনো সুষ্ঠু হয়, কোন রকম বিশৃঙ্খলা যেনো না হয়। সেভাবেই দল হিসেবে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনও সে লক্ষে কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিস্থিতি শান্ত ও সুষ্ঠু রাখার জন্য কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি নির্বাচনের দিন একটি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে পারি, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভোটারদের উপহার দিতে পারি তাহলে ভোটাররাও ভোট দিতে কেন্দ্রে আসবে। তাই আমাদের লক্ষ্য, একটা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা। আমরা আশা করি ভোটের দিন সেটা থাকবে।

প্রথম দফার চেয়ে এবার ভোটার উপস্থিতি বাড়ার আশা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের সবসময় চেষ্টা থাকে যেনো ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। প্রথমবারের চেয়ে এবার ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

;

আওয়ামী লীগের ‘গোপন শাস্তি’তে নির্বিকার নেতারা



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে চলছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। চার ধাপের এই নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন মঙ্গলবার (২১ মে)। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ভোটার টানতে বাদ দিয়েছে নিজেদের প্রতীক নৌকা। মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের ওপরও আসে নিষেধাজ্ঞা, নির্দেশ না মানলে দেওয়া হয় শাস্তির হুমকি! তবে সব কিছুকে উপেক্ষা করে নির্বাচন থেকে সরেননি মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা।

দলীয় প্রধান ও কেন্দ্রের কড়া নির্দেশনা উপেক্ষার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, নেতাদের প্রকাশ্য শাস্তি না দেওয়া, লঘু শাস্তি এবং শাস্তি দিয়ে সেটা আবার ক্ষমা করে দেওয়ার মতো ঘটনা কাজ করছে নির্দেশ অমান্যের পিছনে।

অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে, কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনায় দেয়া হউক, যদি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসা যায় তাহলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না। আবার যেসব নেতাদের জনপ্রিয়তা আছে, জনভিত্তি আছে তারা মনে করছেন, শাস্তি দিলেও সেটা টিকবে না বেশি দিন। লঘু কোন শাস্তি দিলেও দল তার নিজের প্রয়োজনেই ক্ষমা করে সুযোগ করে দিবে আবার।

এদিকে প্রকাশ্যে শাস্তির কথা বললেও সেটার বাস্তবায়ন দেখতে না পাওয়ায় উৎসাহিত করছে দলের নির্দেশ অমান্যের বিষয়ে।

বার বার শাস্তি দেওয়া ও ক্ষমা করার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রথমবারের মতো দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে বহিষ্কার হন তিনি। প্রায় এক বছর পর ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ক্ষমা করে দলটি।

তবে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ থেমে থাকেননি গাজীপুরের প্রভাবশালী এ নেতা। গত বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন গাজীপুর আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আজমত উল্লাহ খান। সে নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে গিয়ে, আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্য করে প্রার্থিতা জমা দেন নিজের ও মা জায়েদা খাতুনের। এর জেরে আবারও দল থেকে বহিষ্কার করা হয় জাহাঙ্গীর আলমকে। তবে সে বহিষ্কারাদেরশও টেকেনি বেশিদিন। বরং দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের বিশাল কর্মী বাহিনী কাজে লাগানোর জন্য মাত্র পাঁচ মাস পর প্রত্যাহার করে নেয় বহিষ্কারাদেশও।

দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা ও আদর্শিক স্থান ধরে রাখার স্বার্থে গঠনতন্ত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা থাকলেও তা পালনে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে বরাবরই ঢিলেঢালা নীতি অনুসরণ করতে দেখা যায়। কখনো ব্যবস্থা নিলে সেটাও প্রত্যাহার করা হয় দ্রুতগতিতে। এর মধ্যে আছেন, চার জেলা ও উপজেলা চেয়ারম্যান, সাবেক এমপি, দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাসহ অনেকেই।

যদিও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বলছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের কাউকে কখনো ছাড় দেওয়া হয় না। অনেক সময় কৌশলগত কারণে প্রকাশ্য শাস্তি না দিলেও পরে বড় ধরনের শাস্তিতে পড়তে হয় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের।

এনিয়ে দলটির ভাষ্য, দলীয় নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাসময়ে ব্যবস্থা নেন দলীয় প্রধান। প্রকাশ্যে কোন শাস্তি দিতে দেখা না গেলেও অনেক ক্ষেত্রেই দেওয়া হয় অপ্রকাশ্য শাস্তি। যা প্রকাশ্য শাস্তির চেয়েও বড় হয়। বাদ দেওয়া হয় দলীয় পদ-পদবি থেকেও। দেয়া হয় না মনোনয়ন। বাদ পড়তে হয় মন্ত্রিসভা থেকেও।

গত ১৭ মে বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। যারা ডিসিপ্লিন ভঙ্গ করবে অবশ্যই তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। শেখ হাসিনার শাস্তি দেওয়ার কায়দা একটু ভিন্ন রকম। যারা বুঝেছেন, পেয়েছেন তারা ঠিকই বুঝেন। আর যারা পাননি তাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, ‘তার (দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা) নির্দেশনার বাইরে কেউ যেন আমরা কোনো অপকর্ম না করি। অপকর্ম যারা করেন শুদ্ধ হয়ে যান। মনে করছেন চুপচাপ আছে? কেউ শাস্তি পাচ্ছে না কেন? পাবে! শাস্তি পাবে। গত নির্বাচনে ৭৫ জন এমপি নমিনেশন পায়নি। এটিও শাস্তি। কাজেই এখানেই সব শেষ নয়। শাস্তি দেওয়ার অনেক সময় আছে। সময়মতো হিসাব হবে। কেউ রেহাই পাবে না।’

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, প্রকাশ্য শাস্তি যেহেতু দেখা যায়, তাই তার প্রতিক্রিয়াটাও হয় সরাসরি। সেক্ষেত্রে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গে নেতাকর্মীরা নিরুৎসাহিত হয়। আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় থাকায় নানা উপকারভোগী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। ফলে সবসময় চাইলেই সাথে সাথে শাস্তি দেওয়া যায় না। আবার অনেক সময় দলের প্রয়োজনে দ্রুত সময়ে ক্ষমাও করে দিতে হয়। প্রকাশ্যে শাস্তি না পেলেও দলীয় প্রধান কাউকে ছেড়ে দেন না। তিনি সময় মতো ঠিকই ব্যবস্থা নেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই নেতারা বলেন, অপ্রকাশ্য শাস্তি দেওয়া হয়, সেটার প্রতিক্রয়া তৃণমূলে পৌঁছায় না। যার ফলাফল আমরা দেখতে পাচ্ছি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। দল থেকে বার বার কড়া নির্দেশনার পরও তৃণমূলে গিয়ে ঠিক সেভাবে পালন হয়নি। এমপি-মন্ত্রীর স্বজনেরা সরে দাঁড়ায়নি নির্বাচন থেকে। তবে রাজনীতি করতে গেলে সকল বাস্তবতা মেনেই করতে হবে। আমরা সে লক্ষেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। যতটা পারা যায় যেনো দলীয় শৃঙ্খলা অক্ষুন্ন রাখা যায়।

প্রার্থীদের প্রকাশ্য শাস্তি না দেওয়ায় কেন্দ্রের নির্দেশ মানার ব্যাপারে প্রার্থীদের অনীহা আসছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা চাচ্ছি নির্বাচনটা যেনো প্রভাবমুক্ত থাকে। আমরা সে লক্ষেই কাজ করছি। নির্বাচন কমিশন তাদের নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। তাই আমরা মনে করি এতে কোন সমস্যা হবে না।

;

নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে বহিষ্কার বিএনপির ৩ নেতা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে বহিষ্কার বিএনপির ৩ নেতা

নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে বহিষ্কার বিএনপির ৩ নেতা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দলের নির্দেশনা না মেনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এসএম রাশেদুল আলমের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করার অভিযোগে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান দৌলতের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দল থেকে বহিষ্কৃতরা হলেন- তালুকদার হাটহাজারী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও একই ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সচিব ফখরুল ইসলাম এবং সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শরিফ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপি চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ভোটাধিকার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে। হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আপনারা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মোটরসাইকেল প্রতীক প্রার্থী এসএম রাশেদুল আলমের পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণ করেছেন। যার ছবিসহ তথ্য প্রমাণ দফতরে সংরক্ষিত আছে।

এবিষয়ে হাটহাজারী পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মান্নান দৌলত জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

;

রাইসি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রেখেছেন: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

সোমবার (২০ মে) এক শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলী খামেনির প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

শোকবার্তায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্টসহ প্রয়াত শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুতে শোক এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানান। ইরান সরকার ও সেদেশের জনসাধারণের প্রতি সহমর্মিতা ও সংহতি প্রকাশ করেছেন তিনি।

শোকবার্তায় বলেন, ইব্রাহিম রাইসি’র মৃত্যু সংবাদে আমরা স্তম্ভিত ও শোকাভিভূত। এমন হৃদয়বিদারক সংবাদ মেনে নেওয়া সহজ নয়। ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করেছেন। ইব্রাহিম রাইসি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসাম্যান্য অবদান রেখেছেন।

তার কর্মের মাঝেই অমর হয়ে থাকবেন ইব্রাহিম রাইসি। শুধু ইরান নয়, মধ্যপ্রাচ্যের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় ইব্রাহিম রাইসি অক্ষয় হয়ে থাকবেন। ইব্রাহিম রাইসি’র মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা সহসাই পূরণ হবার নয়।

বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করে বলেন, ইরান সরকার ও সেদেশের জনগণ অবশ্যই এই শোক কাটিয়ে ইরানকে আরও এগিয়ে নেবেন।

;