আগুন সন্ত্রাসের ঘূর্ণিপাকে বিএনপি



আকরাম হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয় কয়েকটি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন। উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও মাঠের রাজনীতিতে এখনো ফেরেনি প্রাণ। ঘরোয়া ও ভার্চুয়াল রাজনীতি থেকে বের হয়ে মাঠের রাজনীতিতে ধীরে ধীরে তৎপর হওয়ার চেষ্টা করছে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সেই ধারাবাহিকতায় ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ও ঢাকা-১৮ আসনের উপ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিত দেখাতে সক্ষম হয় দলটি। তবে ভোটের দিন ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছাড়া কোনো ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি দলটি। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনতেও সফল হয়নি তারা। ফলে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

এদিকে, ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন আলোচনার কেন্দ্রে আসে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায়। ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে যখন ভোট গ্রহণ চলছে তখন রাজধানীর কয়েকটি স্থানে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। হঠাৎ বাসে অগ্নিসংযোগের ফলে রাজনীতিতে আবারো উত্তাপ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেমন উদ্বেগ উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে তেমন সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। চলছে নানা বিশ্লেষণ।

অগ্নিসংযোগের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ধরপাকড়। ওইদিন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুকসহ মোট ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৪ মামলায় বিএনপির প্রায় ৪০০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩২ জনকে। এদের মধ্যে ২৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। বাসে অগ্নিসংযোগের পিছনে বিএনপির ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে এই মুহূর্তে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামের শক্তি নেই বিএনপির। বিএনপিকে চাপে রাখার কৌশল এটি। আবার বহির্বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা বলে মনে করছেন কেউ।

বাংলাদেশের আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসে বাসে অগ্নিসংযোগ নতুন ঘটনা নয়। এর আগে জামায়াতসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এটি। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ও পরে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা চরমে পৌঁছায়। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি ও বিএনপি সমর্থিত জোট। দিনের পর দিন হরতাল-অবরোধ চলছে। একের পর এক বাসে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, পেট্রোলবোমা, ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে চারিদিক। এসময় এর দায় পড়ে বিএনপির ওপর।

দলটি এসব অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে আসছে। বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বানচাল করতে অন্য মহল থেকে এ অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে দাবি করে তারা। বিভিন্ন সময়ে বিএনপির আন্দোলনে বাসে অগ্নিসংযোগের চেষ্টায় বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। পেট্রোল বোমাসহ বিএনপি-শিবির কর্মীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কর্মীও ধরা পড়ে এসময়। বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করে বিএনপি। সে দাবি আর আলোর মুখ দেখেনি।

পরবর্তীতে এসব ঘটনা ধামাচাপা পরে যায়। বেশ কয়েক বছর ধরে দেশের রাজনীতিতে পেট্রোল বোমা, ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে অগ্নিসংযোগ দেখা যায়নি। গত ১২ নভেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ১০টি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। যার ফলে পুরোনো হিসেব নতুন করে সামনে চলে আসে। এবারও অভিযোগের আঙুল বিএনপির দিকে। আগুন সন্ত্রাসের ঘূর্ণিপাকে আবারও হাবুডুবু খাচ্ছে দলটি।

সম্প্রতি রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগ প্রসঙ্গে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এটাকে অ্যাটেনশন ডাইভারসন টেকনিক বলে। আমি আগেই বলেছি, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে আমেরিকার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের বোঝানোর চেষ্টা যে, দেশে সন্ত্রাসী আছে, আমরা (আওয়ামী লীগ) ছাড়া কোনো উপায় নেই। ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় বাসে যে অগ্নিসংযোগ হয়, তা বিএনপি যেমন করেছে তেমনি সরকারও অর্ধেক করেছে।

রাজনৈতিক দায় চাপানো আওয়ামী লীগের বহু পুরানো অভ্যাস বলে মনে করেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী লীগের দায় চাপানো শুরু হয়েছে। এখন অবধি চলছে। আওয়ামী লীগের মূল প্রতিপক্ষ বিএনপি হওয়ায় এ দায় বিএনপির ওপরে চাপাচ্ছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ভিডিও ফুটেজ দেখে দেখে ব্যবস্থা নিবে। আবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন এটা বিএনপির কাজ। এখানে তো সরকারের মধ্যেই দুইটা অংশ হয়ে গেল। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে যখন আন্দোলন হয়েছে তখন আমরা গাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখেছি। সেখানে একটি ইন্টারেস্টিং অধ্যায় আলোচনার বাইরে থেকে গেছে। আমাদের মনে আছে, গাড়িগুলো আসতো পুলিশ-বিজিবি র‌্যাবের টহলে। তারা টহল দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩০-৩৫টা গাড়িবহর ঢাকা নিয়ে আসতো। সেখানে আগুন জ্বলেছে, তাহলে কি সেই আগুন বিএনপি দিয়েছে?

তিনি বলেন, দায় চাপানো তো খুব সহজ। তদন্তের আগেই যদি দায় চাপিয়ে দেওয়া হয় সেটা তো মিডিয়া ট্রায়াল হয়ে গেল। সেটা তো আসল বিচার হলো না। তারা ভিডিও ফুটেজ দেখে বের করুক। সেটা তো আমরাও চাচ্ছি।

‘আগুন সন্ত্রাসের দায় সব সময় বিএনপির ওপরে পড়ছে’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখান থেকে বের হওয়ার দায় বিএনপির নেই। আগুন সন্ত্রাসের দায় থেকে বিএনপি বের হতে পারছে কিনা সেটা আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করলো কি না, মিডিয়া বিশ্বাস করলো কি না, সেজন্য আমাদের কোনো যন্ত্রণা নেই। এটা পরীক্ষা করার একমাত্র উপায় হল একটা নিরপেক্ষ সরকার, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন। মতামত প্রকাশের একটা সুযোগ দিক, তাহলে প্রমাণ হয়ে যাবে জনগণ কি বিএনপিকে আগুন সন্ত্রাসী হিসেবে প্রত্যাখ্যান করে নাকি বিএনপির ওপর অহেতুক দায় চাপানো হচ্ছে । এছাড়া প্রমাণের আর কোনও জায়গা নেই।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, বিএনপি কোনো সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। বিএনপি গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে। বিএনপি সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চায়, এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে বিএনপি কখনোই জড়িত নয়। বিএনপি ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে নয়, বরং জনগণের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে রাজনীতি করে। বিএনপিকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে সরকার দলটির ওপর দায় চাপায়।

   

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। বহিষ্কৃতরা হলেণ, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম ও ফলসী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম রহমান।

শনিবার (৪ মে) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দলটি সূত্রে জানা যায়, গত ২ মে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে আমিরুল ইসলাম ও গোলাম রহমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে তাদের প্রচার চালাচ্ছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত (খুলনা বিভাগ) সহসাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। এছাড়াও ঝিনাইদহ বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে কারণ দর্শানোর নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার উত্তর দিতে বলা হয়েছিল।

;

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৪ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃবৃন্দের অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে। জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না।

জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়। সে কারণে তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে। বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

;

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংহতি ছাত্রলীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরে করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বিবৃতে দলটি জানায়, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।

এতে আরও বলা হয়, নিরীহ-নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সাথে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাঁধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলো। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিলো।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। তাঁদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি-

আগামী সোমবার (৬ মে) সকাল এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে দলটি।

একইসাথে, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসাথে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

;