ইশরাক হোসেনের বাসায় হামলা: বিএনপি নেতাদের ক্ষোভ
প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও অবিভক্ত ঢাকা সিটির মেয়ের সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। কিছুদিন আগেও সাধারণ মানুষের কাছে ছিলেন অপরিচিত মুখ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন পান। এরপর থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সংক্রিয় হন তিনি। শুধু রাজনৈতিক মঞ্চে বড় বড় কথা বলেন না। তৃণমূলে নিহত নেতাকর্মীদের বাসায় নিয়মিত খোঁজ খবর রাখেন, তাদের আর্থিক সহযোগিতা পর্যন্ত করেন।
বলা হচ্ছে গত এক দশকে বিএনপির রাজনীতির সেরা আবিষ্কার ইশরাক হোসেন। আগামী দিনে ঢাকায় বিএনপির রাজনীতিতে তুরুপের তাস তিনি। গত ১৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গোপীবাগের বাসভবনে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে বিএনপির হাইকমান্ড থেকে শুরু করে তৃণমূলের সবাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন একজন তরুণ বিএনপি নেতা ও সমাজসেবক। তার সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা গতরাতে তার বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। এ ধরণের হামলায় নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আসলে আওয়ামী লীগের কোন চেতনাই নেই, তাদের একটিই চেতনা, আর সেটি হলো ক্ষমতাভোগের চেতনা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেন, নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, যারা ক্ষমতার প্রশ্রয়ে অন্যের বাড়িতে হামলা চালায় তাদেরকে কাপুরুষ ছাড়া আর কিছুই বলা যায়না। তবে, এরইমধ্যে ইশরাক এই সরকারের আতংকে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজের বের করারও দাবি জানান তিনি।
ইশরাকের বাসায় হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির আরেক যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল এবং ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার।
তারা বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের মাধ্যমে দেশকে এক ভয়াবহ ও গভীর সংকটে নিয়ে গেছে। প্রতিদিন বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারসহ, মিথ্যা মামলা ও ব্যাপকভাবে ভাঙচুর, তছনছ এবং দখলদারিত্বের রাজত্ব কায়েম করছে বর্তমান আওয়ামী সরকার। এরকম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি ও অবর্ণনীয় দুঃশাসন থেকে বাঁচতে হলে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানো ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।