ওবায়দুল কাদের রাগ করলেও কিছু যায় আসে না: মির্জা কাদের

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আবদুল কাদের মির্জা

আবদুল কাদের মির্জা

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাগ করলেও নিজের কিছু যায় আসে না বলে মন্তব্য করেছেন তারই ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। তিনি আসন্ন নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থী।

তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব আমার ওপর রাগ করলে আমার কিছু আসে যায় না। আমি আর কত সময় ধৈর্য ধরব?’

বিজ্ঞাপন

শনিবার (০৯ জানুয়ারি) বসুরহাট পৌরসভার উপজেলা পরিষদের সামনে নির্বাচনি পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা কাদের বলেন, কোম্পানীগঞ্জে অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে। কবিরহাট ও ফেনীতে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্র আনা হয়েছে। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু নোয়াখালীর প্রশাসন মাসওয়ারা খায়। জেলা প্রশাসকও এমপির নামযুক্ত মাস্ক পরেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আমি অস্ত্রধারীদের এলাকা থেকে বিতাড়িত করার অনুরোধ করছি। আমাদের দলের যারা অস্ত্র এনেছে তাদেরক বিষয়ে ডিসি-এসপিকে জানানো হয়েছে। যদি কোম্পানীগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হয়, রং লাগানো হয়, কোনো মায়ের বুক খালি হয় তাহলে তার সব দায় ডিসি ও এসপিকে নিতে হবে। তাছাড়া ফেনী নোয়াখালীর ১১ জনের নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছেও পাঠিয়েছি। আমার কিছু হলে তারা দায়ী থাকবেন।

ওবায়দুল কাদেরের ভাই আরও বলেন, ‘নোয়াখালীর নেতাদের কারা শেল্টার দেয়? অথচ ঢাকা থেকে নো বললে তারা আর নেই। কিন্তু একজন নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে হত্যা করে পরে পেট্রল দিয়ে তার গাড়িসহ পুড়িয়ে ফেলেছে। কিন্তু তাদের পরিবার আজও বিচার পায়নি। আজ ওই পরিবার যে ঘর থেকে বের হয়ে বিচার চাইবে তারও সুযোগ নেই। তাহলে কি ওই পরিবার বিচার পাবে না?’

তিনি আরও বলেন, প্রতিবাদ করায় আমাকে পাগল-উন্মাদ বলা হয়। এক নেতা বলেছে আমার নাকি দায়িত্বশীলতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আমি প্রশ্ন করি, আপনি কি দায়িত্বশীল ব্যক্তি? আপনার এলাকা কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে। আপনি এগুলো বন্ধ করুন। আমি কাউকে ভয় পাই না, কি করবেন বহিষ্কার করবেন, জেলে দিবেন মেরে ফেলবেন? আমি সাদা কে সাদা, আর কলো কে কালো বলবোই।