বিএনপি’র নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশ আরো এগিয়ে যেত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘দেশ অনেক এগিয়ে গেছে এবং বিএনপি’র দলাদলি-নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যেত’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (৩ মার্চ) রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে সংগঠনের প্রয়াত সহ-সভাপতি বরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে স্মরণ সভায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সূত্র ধরে তিনি একথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কাগজে দেখলাম মির্জা ফখরুল সাহেব সম্প্রতি বলেছেন, ৫০ বছরে আমরা শুধু দলাদলি করেছি, দেশ আগায়নি। আমি তাকে বলবো, ‘আপনি ঢাকা কলেজে পড়াতেন, আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ, যদিওবা অহরহ বিএনপির পক্ষে কথা বলতে গিয়ে প্রচণ্ড অসত্য কথা বলতে হয়, কিন্তু আপনি একজন মার্জিত মানুষও বটে। আজকে যে দেশ এতদূর এগিয়ে গেছে, ভারত-পাকিস্তানসহ সারাবিশ্ব সেটি অনুধারণ করেছে আর আপনি সেটি অনুধাবন করতে পারলেন না! জাতিসংঘ সার্টিফিকেট দিয়েছে যে দেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে, খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ হয়েছে, ২০০৮ সালের ৬০০ ডলার মাথাপিছু আয় এখন ২০৬৯ ডলারে উন্নীত, যা ভারত এবং পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় থেকে অনেক বেশি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার যা পাকিস্তানের তিনগুণ, এই তথ্যগুলো আপনাদের কাছে নেই দেখে আমি খুব অবাক হচ্ছি।’

‘আসলে বিষয়টা হচ্ছে, বিএনপি যদি দলাদলি আর নেতিবাচক রাজনীতি না করতো, বাংলাদেশ যে আজকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে, তার চেয়েও অনেক বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারতো’ উল্লেখ করে ড. হাছান।

মুশতাক আহমেদের মৃত্যু নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কারাগারে কোনো মৃত্যু অবশ্যই অনভিপ্রেত, অনাকাক্সিক্ষত, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুটাও অনভিপ্রেত এবং আমি নিজেও ব্যথিত। কিন্তু এটি নিয়ে যেভাবে মাঠ গরম করার অপচেষ্টা হচ্ছে, সেটি আরো অনভিপ্রেত।’

এ ঘটনা নিয়ে যেভাবে নানা কথা বলা হচ্ছে, পানি ঘোলা করার এ ধরণের চেষ্টায় কোনো লাভ হবে না জানিয়ে ড. হাছানা বলেন, ‘এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে, কমিটির রিপোর্টে বেরিয়ে আসবে তার মৃত্যু কি স্বাভাবিক ছিল না কি কারা কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা ছিল, বা অন্য কোনো কারণ ছিল কি না। সেগুলো বেরিয়ে এলে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।’

কিন্তু এ নিয়ে যেভাবে কেউ কেউ ঐ আইন বাতিল করতে হবে বলছেন, তা অমূলক কারণ আইন সবার জন্য, বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সমগ্র মানুষের নিরাপত্তার জন্য। সাংবাদিক, গৃহিনী, কৃষক, চাকুরিজীবীসহ সকলকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। যে কারো চরিত্রহরণ করা হলে তাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এই আইন। অবশ্যই এই আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয়, সেজন্য আমরা সতর্ক আছি এবং অপব্যবহার হওয়া কাম্য নয়।’

সদ্য প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কখনো ভাবিনি, এই বরেণ্য অভিনয়শিল্পী এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন। তিনি ইতিপূর্বেও বহুবার অসুস্থ হয়েছেন আবার সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এবার তার মৃত্যু সংবাদ আমার কাছে বজ্রপাতের মতোই মনে হয়েছিল।

পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ২০১৯ সালে চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত এটিএম শামসুজ্জামানের অভিনয় শৈলীকে অসাধারণ বর্ণনা করে ড. হাছান বলেন, ‘এমন শিল্পী বাংলাদেশে খুব একটা জন্ম হয়নি। তিনি আজীবন বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে বুকে ধারণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটে ছিলেন এবং দু:সময়ে তিনি রাজপথে থেকেছেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের এ স্মরণসভার উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতি জোটের উপদেষ্টা চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায় জোটের সহ-সভাপতি স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামীলীগ নেতা এম. এ করিম, সংগঠনের সদস্য অভিনেত্রী তারিন, শাহনুর, কণ্ঠশিল্পী এসডি রুবেল, অভিনেতা শাকিল খান, এটিএম শামসুজ্জামানের কন্যা কোয়েল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, সাংবাদিক সুজন হালদার, মানিক লাল ঘোষ, হুমায়ুন কবির মিজি, সমিরন রায়, শাহাদাত হোসেন টয়েলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

   

সাকিব নিয়ে মতলবি নিউজ আমাকে বিব্রত করেছে: মেজর হাফিজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর হাফিজ বলেছেন, বিএনএমের (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন) সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তাই, বিএনএম’কে জড়িয়ে সাবিক আল হাসানকে নিয়ে মতলবি নিউজ আমাকে বিব্রত করেছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানী ঢাকার বনানীর নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মেজর হাফিজ বলেন, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে আমাকে নানাভাবে মানুষজন বিএনএমে যুক্ত হওয়ার কথা আমার কাছে জানান। আমি সেটি প্রত্যাখ্যান করেছি এবং তা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনের দুই মাস আগেই জানিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, আমি এক সময় ক্রীড়াবিদ ছিলাম। পাকিস্তান আমলে একমাত্র বাঙালি খেলোয়াড় ছিলাম। ১শ থেকে ২শ মিটার দৌড়ে দ্রুততম ব্যক্তি ছিলাম। সাবেক ক্রীড়াবিদ হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সাকিব আমার কাছে এসেছিল পরামর্শ নিতে। আমি তাকে নিরুৎসাহিত করেছি।

বিএনএম সৃষ্টির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মেজর হাফিজ বলেন, বিএনএম কয়েকজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার সৃষ্টি। তারা আমার পূর্ব পরিচিত। আমার দলের (বিএনপি) বিভিন্ন বিষয়ে আমার দ্বিমত ছিল। এটাতে অনেকেই ভেবেছেন, আমি দল ত্যাগ করবো। সেজন্য তারা আমাকে ‘অফার’ (প্রস্তাব) করে বিএনএমে যোগ দিতে। আমি তা প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছি।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখানে সরকার নিজের ফায়দা লুটতে আমাকে নিয়ে সাকিব আল হাসানকে জড়িয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে স্বার্থ হাসিলের জন্য অথবা যে সব পত্রিকা এসব লিখছে, তারা সরকারের মদতপুষ্ট হয়ে এসব করছে।

মেজর হাফিজ বলেন, দেশে অরাজকতা চলছে। দেশ দুর্নীতির স্বর্গ হয়েছে। ব্যাংকিংখাতে দুর্নীতি হয়েছে। এসব তো কোনো পত্রিকায় দেখি না। যারা আমেরিকা, কানাডায় বিলাসবহুল বাড়ি বানিয়েছেন, সেসব খবর তো পত্রিকায় আসে না। আমাকে হেয় করতে দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে হেয় করতে, এসব সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি, ৩২ বছর বিএনপির রাজনীতি করেছি। ছয়বার এমপি হয়েছি। দুইবার মন্ত্রী ছিলাম। আর কী প্রয়োজন আমার! আমি মানুষের সেবা করেছি। পথে-ঘাটে মানুষের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করেছি। আমার আর চাওয়ার কিছু নেই।

আক্ষেপ করে মেজর হাফিজ বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ৮০ বছর বয়সে এসে আমাকে মিথ্যা মামলায় জেলে দেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র নতুন দলে যোগ দেইনি বলে। এসব তো আগেই ‘ক্লিয়ার’ (পরিষ্কার) করেছি। এখন নতুন করে বলার কিছু নেই। আমি খুব মর্মাহত সাকিবকে নিয়ে আমার নামে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, তা নিয়ে!

এসময় মির্জা ফখরুল ও তারেক রহমানের সঙ্গে সব বিষয় নিয়ে আগেই কথা হয়েছে এবং নিজের অবস্থান দলের কাছে ‘ক্লিয়ার’ (পরিষ্কার) করেছেন বলেও জানান তিনি।

 

;

মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি গঠনে ওয়ার্কিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সহযোগী সংগঠনগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি গঠনের বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে কমিটিগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, সেগুলোতে আমরা সম্মেলনের চিন্তা করবো। তবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত মালিক হচ্ছে ওয়ার্কিং কমিটি। ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া রিপোর্টের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদেরটাও তো একটা দেশ। গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদেরও একটা মানদণ্ড আছে। আমাদের গণতন্ত্র যে 'পারফেক্ট' (পরিপূর্ণ)..., 'পারফেক্ট' (পরিপূর্ণ) কেউ না পৃথিবীতে। আমরাও 'পারফেক্ট' (পরিপূর্ণ) এই দাবি আমরা করি না। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে নিশ্চিতপ্রায় রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তিনি তো বলেছেন, আমি ইলেক্টেড না হলে রক্ত বন্যা বয়ে যাবে। এইটা কোন নির্বাচন!

তিনি বলেন, জো বাইডেনের নির্বাচিত হওয়া নির্বাচনকে সত্যিকারের নির্বাচন হয়নি বলা হয়েছে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত মেনে নেননি। কাজেই মানদণ্ড কোথায় কী, সেটা বোঝা হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর 'ডিক্টেটরশিপ' (স্বৈরতন্ত্র) এবং তাদের 'সিবলিংস' (স্বজন) এরাই বাংলাদেশে কর্তৃত্ব করেছে। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর ২১ বছর ধরে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন এবং সেই সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হয়েছি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ। 

;

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রেশনিং চালু, টিসিবির পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি, সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা কর্মীরা।

এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি বলেন, সরকার সিন্ডিকেটকে লালন করছে। চাহিদা, জোগান, সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম বাড়ার কোন কারণ নাই। বাণিজ্য মন্ত্রী ১ লাখ মানুষকে কার্ড দিচ্ছেন কিন্তু টিসিবির ট্রাকে কিছু জনকে দেওয়ার পর মাল শেষ হয়ে যায় মানুষ গুলো দাঁড়িয়ে থাকে।

তিনি বলেন, সরকার ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। বাজারে দাম বৃদ্ধি করে জনগণের টাকা হাতিয়ে তাদের থলে ভরছে। সরকার নিজেরাই তো সিন্ডিকেট। জনগণকে এই স্বৈরচারী সরকার এর কাছ থেকে মুক্ত করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রতিবাদ চলবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রশিদ মান্না। তিনি সরকারকে ডামি সরকার উল্লেখ করে বলেন, বিনা ভোটে গঠন করা সরকার জনগণের জন্য কোনো কাজ করবে না।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সেক্রেটারি মোশারফ হোসেন, ড.আবু ইউসুফ সেলিম, বাচ্চু ভুইয়াসহ আরও অনেকে।

;

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সততা না মেনে তাঁর সৈনিক হওয়া যায় না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সততা মানেন না, জীবন থেকে শিক্ষা নেন না, আর আপনি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক এ দাবি কেন করেন, নেতাকর্মীদের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবাষির্কী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সততা মানেন না, জীবন থেকে শিক্ষা নেন না, আর আপনি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক এ দাবি কেন করেন! বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী শেখ হাসিনা। রাত দুটোয় ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়। এটি অবাক করার মতো বিষয়! তিনি মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমান। বাকি সময় দেশ নিয়ে ভাবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে বঙ্গবন্ধু পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ। বঙ্গবন্ধু পরিবারের চরিত্র হননের অপচেষ্টা জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে অনেকেই করে গেছেন।

'বঙ্গবন্ধু'র নাম এ বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই জানিয়ে তিনি বলেন, উত্তাল সমুদ্রে, অমানিশায় তিনি আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর! এই বাতিঘর চিরদিন আমাদের চলার পথ দেখাবে! বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সোনার বাংলা গড়ার লড়াই চলছে, সে লড়াইকে আমরা নিয়ে যাবো বিজয়ের সোনালি বন্দরে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার লিগ্যাসি ও অর্থনৈতিক মুক্তির লিগাসির মৃত্যু হবে না। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে নীরবে আসেন, নিঃশব্দে চলে যান। তার নেতৃত্বেই দেশে আইসিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে।

;