ফেঁসে যাচ্ছেন মেয়র জাহাঙ্গীর, শুক্রবার সিদ্ধান্ত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় ফেঁসে যেতে পারেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। দলীয় ও মেয়র পদ হারানোর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা হতে পারে বলে দলীয় সূত্র আভাস দিয়েছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় গাজীপুর সিটি মেয়রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হয়নি বলেই বিষয়টি সভায় উঠছে। মেয়র যেসব কথা বলেছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। তাকে শাস্তি দেওয়া না হলে দলের চেইন অব কমান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ভবিষ্যতে আরও অনেকেই এমন কটূক্তি করার দুঃসাহস দেখাতে পারেন। তাই আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দিকেই অগ্রসর হচ্ছে।

অল্প বয়সে মেয়র হয়ে চমকে দেওয়া জাহাঙ্গীর আলমের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। সেই অডিওতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে নানা রকম মনগড়া তথ্য উত্থাপন করেছেন তিনি। এতে বঙ্গবন্ধুকেও খাটো করা হয়েছে। অডিও ফাঁসের পর ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারা মেয়রের কুশপুত্তলিকা দাহসহ ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

মেয়র জাহাঙ্গীর প্রথম থেকেই অডিওটি এডিটিং করা বলে দাবি করে আসছেন। তার এসব বক্তব্যে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করতে চাইছে না। তাদের বক্তব্য হচ্ছে তাহলে মেয়র নিজেই প্রমাণ করুক বিষয়টি মিথ্যা।

স্থানীয়দের বিক্ষোভের পর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ গত ৩ অক্টোবর শোকজ নোটিশ পাঠায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদককে। ইতিমধ্যেই শোকজের জবাব দিয়েছেন মেয়র জাহাঙ্গীর। তবে, তার সেই জবাব নিয়ে গত ২২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়।

পরদিন (২৩ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অন্যান্য আরও কিছু সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী উপস্থাপনীয় অভিযোগ আগামী ১৯ নভেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় উত্থাপিত হবে।

গাজীপুরে মেয়রের কুশপুত্তলিকা দাহসহ ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন

এবিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ গণমাধ্যমকে বলেছেন, মেয়র জাহাঙ্গীরের যে বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আমাদের আহত করেছে।

তিনি আরও জানান, জাহাঙ্গীরের বক্তব্যের সত্যতা খুঁজে পাওয়া গেছে বলেই তাকে শোকজ করা হয়েছে। ইস্যুটির মীমাংসা করতে কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আহ্বান করা হয়েছে ১৯ নভেম্বর। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। সেই আলোকেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তরুণ এই মেয়রের জীবনটাই রহস্যে ঘেরা। এক যুগ আগেও হারিকেন এলাকায় ফজলুর রহমান মুন্সীর বাসায় ভাড়া থাকতেন। আর এখন তার বিত্তবৈভবের ইয়াত্তা নেই, বিশাল জমির ওপর প্রাসাদতম বাড়ি করেছেন। বাসার গ্যারেজে শোভা পাচ্ছে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। বাসা থেকে বের হন ক্যাডার পরিবেষ্টিত গাড়ির বহর নিয়ে। যদিও উল্লেখ করার মতো দৃশ্যমান কোনো ব্যবসা নেই। স্থানীয়রা দাবি করেছেন তার প্রধান আয়ের পথ হচ্ছে শিল্পনগরী গাজীপুরে চাঁদাবাজি, আর জমির দেন দরবার। তাকে বখরা না দিয়ে ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব বলে জনশ্রুতি রয়েছে। আর নতুন শিল্প করতে গেলে তো কথায় নেই। কৌশলে জমি-জমা নিয়ে জটিলতা বাঁধিয়ে দেওয়া হবে। এরপর সমঝোতার নামে বাসায় ডেকে লাইনে আনা হয়।

আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষনেতার আনুকূল্য পেয়ে অন্যদের থোড়াই কেয়ার করেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তার কাছে কোনই গুরুত্ব নেই, যারাই তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার চেষ্টা করেছে তাদেরকেই নানাভাবে শায়েস্তা করেছেন।

গত বছরের মে মাসে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৪) নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। রহস্যবৃত্ত ওই হত্যাকাণ্ড নিয়েও নানা রকম জনশ্রুতি রয়েছে। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে প্রকৌশলী দেলোয়ার তার (নুরুন নবীর) ছেলেকে বলেছিলেন, সে আর চাকরি করবে না। এতো চাপ সহ্য হয় না। অনেক সময় তাকে মোবাইলে ফোন করে চাপ প্রয়োগ করা হতো।

মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাহাড় পরিমাণ। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প গৃহায়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, ভূমিখোরদের সাথে আতাত, অধিগ্রহণকৃত ভূমির মূল্যপরিশোধে টালবাহানা, অবৈধ দখলদারদের সাথে সখ্য, সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স নবায়নে অনীহা, দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতায় সিটির বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমতউল্লাহ খান গণমাধ্যমকে জানান, দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃতি এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, দলীয় হাই-কমান্ড দলের গঠনতন্ত্র এবং আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আওয়ামী লীগ কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ, ভাবমূর্তি নষ্টকারী, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃতিকারী কারও ঠাঁই আওয়ামী লীগে হবে না।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মামুন মন্ডল বলেন, গাজীপুর মহানগরের হাজার হাজার ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শত শত পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে রাস্তায় বসবাস করছে। জমি দখল ও ঘরবাড়ি ভেঙে রাস্তা নির্মাণ করার নামে বহু পরিবার তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে সময় মতো সিটি করপোরেশনের মাসিক সভা না করেই এককভাবে অনেক নীতি বর্হিভূত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টেন্ডার না দিয়েই অনেক কাজ করিয়েছেন। যা নিয়ে কাউন্সিলরদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মেয়র জাহাঙ্গীরকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে এসএমএস দিলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

   

ডামি প্রতারণার নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি প্রতারণার নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই। আওয়ামী নেতাদের কথায় জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। আগামীকাল যে ১৪১টি উপজেলায় জালিয়াতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, জনগণ সেই নির্বাচনে যাবে না।

মঙ্গলবার (৬ মে) তিনি বনানী এলাকায় মহিলা দলের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের পক্ষে লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে জনগণের সম্পদ লুটপাট করতেই বার বার ডামি ও প্রহসনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে সরকার। আজকেও গণমাধ্যমে দেখলাম ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার কথা। এক একজন উপজেলা চেয়ারম্যান শত বিঘা সম্পদের মালিক। তাদের আয় বেড়েছে ১২শ থেকে ১৮শ গুণ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ, বিএনপির সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সদস্য রেহানা সুলতানা আরজু, পান্না ইয়াসমিন, জান্নাত চৌধুরী, পাপিয়া সরদার, সুমি আক্তার প্রমুখ।

;

বিএনপির স্থগিত সমাবেশের তারিখ ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহের কারণে স্থগিত সমাবেশের তারিখ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।  শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে স্থগিত সমাবেশ আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

সোমবার (৬ মে) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ মে নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনায় থাকবেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

;

সিলেটে দলীয় সিদ্ধান্তকে পাত্তা দিচ্ছেন না বিএনপি নেতাকর্মীরা



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় কঠোর সতর্কবার্তা ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্বাচনে লড়তে অনড় রয়েছেন সিলেটের বিএনপির নেতারা। নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেওয়া সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার ২৪ জন প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় এমন গণবহিষ্কার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে কতটা সফল হবে এ নিয়ে চলছে আলোচনা।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না দল। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বারবার নেতাকর্মীদের কঠোর সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। যারা তাদের দলীয় নিয়ম-নীতি মানবেন না তাদের তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা।

কিন্তু দলের হাইকমান্ডের এমন নির্দেশনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি-দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে কর্মী-সমর্থকদের চাপে পড়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। দলের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান জানান।

জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেটের চারটি উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, গোলাপগঞ্জ ও বিশ্বনাথ। মৌলভীবাজারের তিনটি; সুনামগঞ্জের দুটি; হবিগঞ্জের দুটি উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও জেলাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় সবকটি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতারা। তবে কোনো প্রতীক না থাকায় সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে বিএনপির নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ২৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

সিলেট জেলায় বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেবুল মিয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রব, বিশ্বনাথ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ কাওছার খান, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক স্বপ্না বেগম, সিলেট জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম স্বপন, সিলেট জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পলিনা রহমান ও ফতেহপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ছাদ উদ্দিন সাদ্দাম।

সুনামগঞ্জে বহিষ্কৃতরা হলেন, দিরাই উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি গণেন্দ্র চন্দ্র দাস, সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি ও দিরাই উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছবি চৌধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য হারুনুর রমিদ দুলাল, বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহন মিয়া বাচ্চু, সুনামগঞ্জ মহিলা দলের সাবেক আহ্বায়ক মদিনা আক্তার, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নূরুল হক আফিন্দি ও জামালগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মৌলভীবাজরে বহিষ্কৃতরা হলেন, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হেকিম, মৌলভীবাজার মহিলা দলের সহ-সভাপতি মোসা.ডলি বেগম, বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রাহেলা বেগম।

হবিগঞ্জে বহিষ্কৃতরা হলেন, বাহুবল উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মোসা. আলফা বেগম, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান সেফু ও নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আলিম ইয়াছিন।

বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গৌছ খান বলেন, কর্মী সমর্থক ও স্থানীয় মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। দল আমাকে বহিষ্কার করেছে এই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাই। তবে আশা করি নির্বাচন পরবর্তীতে আমাদের উপর থেকে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হবে।

মৌলভীবাজার জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হেকিম (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) বলেন, ঘরে বসে গণন্ত্র হয় না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা গণতন্ত্রের অধিকার। আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে। তারা আমাকে বলেছিলেন যে যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন তাদের বেলায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। কিন্তু ছোটখাটো পদধারীদের বাধা হবে না। তাদের আশ্বাস প্রার্থী হয়েছি।

তিনি বলেন, প্রার্থী হওয়ার ফলে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিয়মের সুযোগ হয়েছে। যদি নির্বাচনে অংশ না গ্রহণ করতাম তাহলে এই সুযোগটাও পেতাম না। আশা করি নির্বাচন পরবর্তীতে দল আবারো আমাদেরকে তাদের কাছে ফিরিয়ে নেবে। যদি নাও নেয় বিএনপি আমার হৃদয়ে থাকবে।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, কঠোর সতর্কবার্তা ও বারবার নিষেধজ্ঞার পরও দলের সিদ্ধান্ত না মেনে যারাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাদের বহিষ্কার করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত দলের নেতা–কর্মীদের বলা হয়েছিল যাতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন তাদের সঙ্গে আর দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি বলেন, শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে যে তা কিন্তু নয়। যারা তাদের পক্ষে মাঠে কাজ করবেন অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামীতে আর যারাই প্রার্থী হবেন তাদের বেলায়ও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

আ. লীগের হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাবে বিএনপি: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি (হীরক জয়ন্তী) অনুষ্ঠানে প্রধান বিরোধীদল বিএনপিকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

হীরক জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের গত জাতীয় সম্মেলনসহ সব অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আমন্ত্রণপত্র বিএনপি পাবে। এটা আমি বলতে পারি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলও পাবে।

উপজেলা নির্বাচনে অনেক সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারাই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তাদের সময়মতো কোন না কোনভাবে শাস্তি পেতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনে দলের নির্দেশনা অনেক নেতাই মানছেন না। নির্বাচন প্রায় কাছাকাছি চলে আসলেও অনেক এমপি-মন্ত্রীর স্বজন এখনো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়নি। এক্ষেত্রে আপনারা কি সাংগঠনিকভাবে কোন ব্যবস্থা নিবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সাংগঠনিকভাবে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।

বিএনপি নেতা মঈন খান বলেছেন আওয়ামী লীগ সারাদিন স্বাধীনতার কথা বললেও তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে এর জবাবে তিনি বলেন, ৭৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রহসনের নির্বাচন, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার। জিয়াউর রহমানের সময় হ্যাঁ-না ভোটে ১১৪ শতাংশ হ্যাঁ ভোট এসব কিন্তু তাদেরই সৃষ্টি। নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অধিনে ছিলো। কিন্তু শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, সংস্কৃতিক বিষয়ক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মর্তুজা, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;