গণঅভ্যুত্থানের ডাক বিএনপির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শপথ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে গণঅভ্যুত্থানের ডাক দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক ও সমাবেশের সভাপতি আমানউল্লাহ আমান। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকৎসার দাবিতে বিভাগীয় এই সমাবেশ হয়।

আমানউল্লাহ আমান বলেন, আজকে এটি ছিল সমাবেশ। কিন্তু আপনারা দেখেন, ঐদিকে মতিঝিল শাপলা চত্বর, এদিকে কাকরাইল, নটরডেম কলেজ, ফকিরাপুল, মালিবাগ, নাইটিংগেল মোড় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ঢল। এই সমাবেশ মহাসমাবেশে পরিণত হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে মহাসচিবের ঘোষিত সমাবেশ হয়ে গেল মহাসমাবেশ।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য আল্লাহর রহমতে এই ঢাকায় মানুষের ঢল নেমেছে। এই যে আল্লাহর রহমত, হাসিনা তুমি এসে দেখে যাও। কর্মসূচি ঘোষণা করল মহাসচিব সমাবেশ। আর সেই সমাবেশ আজ মহাসমাবেশে রূপ নিয়েছে। হাসিনার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। অবিলম্বে আমাদের নেত্রীকে মুক্তি দিন। অবিলম্বে তাকে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। আর না হয় আপনাকে টেনে হিঁচড়ে গদি থেকে নামানো হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ১৮ এর নির্বাচনের মতো শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আসতে দিবেন? না দিলে, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত আছেন? কি করতে হবে তার জন্য জানেন? ওই যে ছাত্ররা বলেছেন আমরা রাষ্ট্রের মেরামত চাই। এই রাষ্ট্র মেরামত করতে হলে আগে হাসিনাকে সরাতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে হাসিনাকে সরতেই হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে হাসিনাকে সরতে হবে। আপনারা প্রস্তুত আছেন?

তিনি বলেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের সময় যেমন রক্ত দিয়েছিলাম। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে রক্ত দিয়েছিলাম। ৭১ এ মহান স্বাধীনতা আর ৯০ এ রক্তের বিনিময়ে আবার গণতন্ত্র পেয়েছিলাম। এই ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে আরেকটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আবার একটি গণতন্ত্র আদায় করতে হবে।

ডাকসুর এই সাবেক ভিপি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপনাদের উদ্দেশ্যে একটি বাণী দিয়েছেন, যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ। সেই শহীদ জিয়ার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য, তারেক রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য, দেশনেত্রীর গণতান্ত্রিক দেশ ফিরিয়ে পাবার জন্য রাজপথে আরও একটি যুদ্ধ। আরও একটি মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আছেন? দুই হাত তুলেন। দুই হাত তুলেন। দুই হাত তুলে আমরা এই শপথ গ্রহণ করি।

এ সময় সকল নেতাকর্মী ও মঞ্চে থাকা নেতাকর্মীরা দুই হাত তুলে স্লোগান ধরেন, মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তারেক রহমান বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে।

আমান বলেন, আসুন আমরা এক দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকার পতনের শপথ নিই। আগামী কর্মসূচিকে সফল করি।

আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন প্রমুখ।

   

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংহতি ছাত্রলীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরে করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বিবৃতে দলটি জানায়, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।

এতে আরও বলা হয়, নিরীহ-নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সাথে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাঁধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলো। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিলো।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। তাঁদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি-

আগামী সোমবার (৬ মে) সকাল এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে দলটি।

একইসাথে, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসাথে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

;

সরকার উৎখাতের দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না: মির্জা আব্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে , তখন এই সরকারকে লাথি দিয়ে ফেলে দিবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্রেফতার করে পৃথিবীর কোন আন্দোলন, কোন স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না এমন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই জনরোষের মুখে। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

তিনি বলেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সে নির্বাচন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। এখন একটি কাজ করতে পারেন রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন। নির্বাচনের কথা আপনাদের (সরকার) মুখে মানায় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কাদের সাহেব বললেন, জেলে কোন রাজবন্দী নেই। কি সুন্দর কথা বললেন কাদের সাহেব, আমার খুব হাসি পায়। কাদের সাহেব আপনি যখন ওয়ান-ইলেভেনে জেলে ছিলেন। আপনি কি চোর হয়ে সেদিন জেলে গিয়েছিলেন? না, রাজবন্দী হয়ে জেলে গিয়েছিলেন, আমি জানতে চাই। এক - এগারোর সময় আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী উনিও জেলে গিয়েছিলেন। উনি কি হয়ে জেলে গিয়েছিলেন? আমি জানতে চাই।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।

;

প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গণতন্ত্র, সুশাসনের আবহাওয়া তৈরি করতে সর্বশেষ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করে বিএন‌পির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করবো। কিন্তু আমাদের গায়ে যদি লাঠির আঘাত আসে তাহলে কতদিন শান্তিপূর্ণ থাকবো। প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে। না হলে আরও অনেককে কারাগার যেতে হবে।

তিনি বলেন, হাইকোর্ট আওয়ামী লীগ, পুলিশ আওয়ামী লীগ, প্রশাসনের ডিসি এসপিরা ছাত্রলীগ। এরকম একটা পরিবেশে মানুষের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোন ন্যায় বিচার নেই। মানুষ আদালতে যায় প্রতিকার পাওয়ার জন্য সেটাও নেই।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুদিন ধরেই বলছেন তাকে নাকি কিছু রাজনৈতিক দল উৎখাতের চেষ্টা করছে। আমার কথা হচ্ছে রাজনৈতিক দল উৎখাতে চেষ্টা করবে কেন? আপনি (শেখ হাসিনা) আপনার সরকার উৎখাত হোক এটা তো জনগণ চাচ্ছে। আর ক্ষমতায় আসা না আসা এটা কোন রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে জনগণের ওপর। আপনি জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছেন, ভোটার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছেন। আপনার ক্ষমতা চলে যাক এটা জনগণ চায়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ১৯৭৮, ৭৯ সাল থেকে গণতন্ত্র নাকি ধ্বংস করা হয়েছে। ওনি নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমরা গণতন্ত্র, রাষ্ট্র, সরকারের আভিধানিক অর্থ জানি। কিন্তু শেখ হাসিনার যে কথাবার্তা চিন্তা ধারা সেটা জানতে হলে আলাদা একটা ডিকশনারি খুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা উন্নয়নের কথা বলে। একটা প্রবাদ আছে অন্ধের হাতি দর্শন শেখ হাসিনার উন্নয়ন। মানুষ অভুক্ত, খেতে পারছে না তারপরও শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলতে হবে। আলু, পেঁয়াজ, বোরো চাষ করার জন্য কৃষকরা ৫০০০ টাকা ঋণ নেয়, সেই ঋণ শোধ করতে না পারলে কৃষকদেরকে জেলে যেতে হয়। আর হাজার হাজার কোটি টাকা যারা ঋণ নিয়েছে তারা হচ্ছে ক্ষমতার ঘনিষ্ঠ। তারা প্রকাশ্য আলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা শেখ হাসিনার সুশাসনের নমুনা।

;