এরশাদের ক্ষমতা হস্তান্তরের পর গণতন্ত্র নিপাত যেতে শুরু করেছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও আমাদের বলতে হচ্ছে, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক, এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর হতে পারে না।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) জাপার বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। এসময় ময়মসসিংহের কৃতি সন্তান বিশ্বব্যাংকের সাবেক কনসাল্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মনির আহমেদ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন।

জিএম কাদের আরও বলেন, এখন রাস্তায় নেমেই কেউ শ্লোগান দিতে পারে না স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। এ থেকেই বোঝা যায় দেশের মানুষ কতটা গণতন্ত্র ভোগ করছে। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সাংবিধানিকভাবেই রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তর করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকেই স্বৈরাচারের উত্থান আর গণতন্ত্র নিপাত যেতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন ১৯৮২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। আবার ১৯৯০ সালে সংবিধান সমুন্নত রেখে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সংবিধানিক নিয়ম নীতি মেনেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন।

তিনি বলেন, দেশে সাংবিধানিকভাবেই একনায়কতন্ত্র চলছে। একটি দলের প্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দেশের নির্বাহী বিভাগের প্রধান হন তিনি। আবার সরকার প্রধানের সিদ্ধান্তের বাইরে দলীয় সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারেনা, তাই সরকার প্রধান যা বলেন তার বাইরে কিছুই হতে পারে না। এতে আইন সভাও সরকার প্রধানের অধিনে। অপর দিকে বিচার বিভাগ রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে শতকরা ৯৫ ভাগই সরকার প্রধানের অধিনে। তাই রাষ্ট্রে প্রধান তিনটি বিভাগ এক ব্যক্তির অধিনে থাকায় এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, যাকে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র বলা যায়।

তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রবেশদ্বার। তাই সঠিকভাবে নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না। এ কারনেই, জাতীয় পার্টি সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আইন প্রনয়নের দাবি করে আসছে। জনগণের কাছে সরকারের সার্বক্ষণিক জবাবদিহিতায়ই হচ্ছে গণতন্ত্রের চর্চা। কিছু মানুষ অন্যায়ভাবে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে স্বৈরাচার বলেন। কিন্তু কেনো স্বৈরাচার বলে তার উত্তর দিতে পারেন না। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের চেয়ে ছোট স্বৈরাচার কে? 

তিনি বলেন,আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা হচ্ছে বৈসম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণ। ধনী গরীবের মধ্যে বৈষম্য বাড়িয়ে দিয়েছে, ধনীদের জন্য এক আইন আর গরীবদের জন্য অন্য আইন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের মানুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধে মূল চেতনা ধংস করে দিয়েছে। এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে গণতন্ত্রের পতন হয়েছে। দেশের মানুষের জন্য মঙ্গলময় রাজনীতির পতন শুরু হয়েছে। আর উত্থান হয়েছে স্বৈরতন্ত্রের।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের ৯০ ভাগ মানুষের প্রত্যাশা পূরণের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ঘোষণা করেছে। যতদিন বাংলাদেশে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব থাকবে ততদিন কেউ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করতে পারবে না। জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করতে আওয়ামী লীগ বিএনপি এক হয়ে অপচেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হয়নি। আওয়ামী লীগ ২১ বছর ক্ষমতায় না থেকেই নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। আবার মাত্র ১৩ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থেকে বিএনপি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু, জাতীয় পার্টি ৩১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থেকেও অত্যন্ত সুসংহত রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে মাঠে আছে। কারণ, জাতীয় পার্টি হচ্ছে দেশের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার রাজনৈতিক প্লাটফর্ম।

   

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ। 

শনিবার (১১ মে) বিকাল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১০ মে) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় তিনি এ কথা জানান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোন সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। 

;

হায়দার আকবর খান ছিলেন খাঁটি দেশপ্রেমিক: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনো’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

শনিবার (১১ মে) এক শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।

শোকবার্তায় বলেন, হায়দার আকবর খান রনো ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক। গণমানুষের দাবি আদায়ে সোচ্চার ছিলেন আজীবন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহসাই পূরণ হওয়ার নয়।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনো’র মৃত্যুতে একইভাবে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

;

আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই কারাগারে থাকতে হচ্ছে: শামীম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই কারাগারে থাকতে হচ্ছে: শামীম

আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই কারাগারে থাকতে হচ্ছে: শামীম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম বলেছেন, আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। জনগণের শক্তির কাছে অচিরেই এই সরকারকে মাথানত করতে হবে।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি বারৈয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন

এসময় শামীম বলেন, দেশের ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিএনপির বলিষ্ঠ নেতাকর্মীদের টার্গেট করে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছিল আওয়ামী লীগ। তার অন্যতম শিকার হচ্ছে বারৈয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী। তিনি মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন করতে গিয়ে আজকে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি। এই অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অসংখ্য গণতন্ত্রকামী মানুষকে গ্রেফতার করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে জনগণকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। সারাদেশকে বদ্ধ কারাগারে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা দেশের জন্য যে আত্মত্যাগ করে গেছেন, তা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। রাজনীতি করলে গ্রেফতার হবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু নির্যাতন ও অত্যাচার যেভাবে সীমা ছাড়িয়ে গেছে এটা সহ্য করা যায় না। তারপরও আমাদের নেতাকর্মীদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে, আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে।

তিনি অবিলম্বে বিএনপি নেতা দিদারুল আলম মিয়াজীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

এর আগে, বিএনপি নেতা মিয়াজীর বাস ভবনে গিয়ে তার স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে দেখা করে তাদের সার্বিক খোঁজ খবর নেন। মামলা পরিচালনার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, কাজী সালাউদ্দিনসহ বিএনপি নেতারা।

;

জনগণকে নয় প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছল করছেন: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে চলছে তামাশা। চারদিকে চলছে লুটপাটের সংস্কৃতি। এই দুঃশাসন জনগণ বেশি দিন মানবে না। তিনি বলেন গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি দেশের জনগণকে স্বচ্ছল করছেন আসলে তিনি জনগণকে নয় তাঁর ঘনিষ্ট আত্মীয় স্বজন ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছল করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন এখন বৈশ্বিক ধনীদের তালিকায় রয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মে) বিকাল ৪টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ডামি সরকার বাংলাদেশের প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছে না, ভারতের ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছে। এক আদানি গ্রুপকে বিদ্যুৎ খাতকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ লোকজনকে লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। তারা আগে ছিল সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী এখন তারা বৈশিক ধনীদের তালিকায় রয়েছেন। তিনি ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর ডামি উপজেলা ভোট বর্জন করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি বর্তমান ভয়াবহ দুঃশাসনের চিত্রও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন ‌এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সকল রাজবন্দীর দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারসহ সকল বন্দীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সমাবেশ শেষে নয়াপল্টন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ফকিরাপুল ঘুরে মিছিলটি আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

;