‘চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠাতে একমত ছিলেন না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেডিকেল বোর্ডের কোনো চিকিৎসক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে একমত ছিলেন না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জুনিয়র একজন ডাক্তারকে চাপ দিয়ে দুপুর ১টার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র নেয়।’

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. সাইফুল ইসলাম এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দিয়েই কারাগারে স্থানান্তরের প্রতিবাদে ও সুচিকিৎসার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।

ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গেল এক মাসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে বলে জানাননি। শুধু তাই নয় উন্নতির ইঙ্গিত পর্যন্ত দেয়নি। সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের উন্নতির কোনো প্রমাণ নিশ্চিত করতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় মেডিক্যাল বোর্ডের ডা. আব্দুল জলিল চৌধুরী বর্তমানে দেশে নেই। এছাড়া ডা. বদরুন্নেসাও দেশে নাই। দেশে থাকা মেডিকেড বোর্ডের অন্য ডাক্তারগণ তাঁকে (খালেদা জিয়া) হাসপাতাল ত্যাগের বিষয়ে কোন আভাস দেয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মিত চিকিৎসক নয়, এমন একজন কনিষ্ঠ চিকিৎসক, যিনি বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে অবগত ছিলেন না, এমন ডাক্তারকে চাপ দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র নেয়। কোনো জ্যেষ্ঠ ডাক্তার বেগম খালেদা জিয়াকে সরাসরি বিষয়টি অবগত করেননি।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যে হুইল চেয়ারে কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, সেই হুইল চেয়ারে পুনরায় তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ থেকে প্রমানিত হয় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, ডা. এ কে এম আমিনুল হক, ডা. সিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।

   

মামলা হলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বেনজীরকে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত করছে। আরও তদন্ত হবে। মামলা হলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কোনো অপরাধী শাস্তি ছাড়া পার পাবে না। অনেকে ভাবছে, বেনজীর আহমেদের বাড়িতো টুঙ্গিপাড়া, সে ক্ষমা পেতে পারে। অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে। 
তিনি বলেন, এদেশের হত্যার রাজনীতি, গুমের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হাতে। ৩ হাজার নেতাকর্মীকে গুম ও হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদক স্বাধীনভাবে তদন্ত করে বের করেছে, দুদককে এই স্বাধীনতা শেখ হাসিনা সরকার দিয়েছে। যিনি সেনা বাহিনীর প্রধান ছিলেন, তিনিও যদি অপরাধী হন, তার বিরুদ্ধেও দুদক তদন্ত করতে পারে। অপরাধী হলে শাস্তি পেতে হবে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেদের অপরাধ ডাকার জন্য আজকে অপপ্রচার করছে। বর্তমান সরকার দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো ট্রলারেন্স। দুর্নীতির ব্যাপারে শেখ হাসিনা আপসহীন। 

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম ও উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ। 

;

আজিজ-বেনজীর সরকারেরই সৃষ্টি: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সরকারেরই সৃষ্টি বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা এরা লুটপাট করেছে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায়।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, শাসকগোষ্ঠীর চামড়া মোটা হয়ে গিয়েছে। তাদের যতই কথা বলুন কিছু যায় আসে না, কর্ণপাত করে না। তাদের লক্ষ্য একটাই, সেটি হলো লুটপাট করা।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারের চতুর্দিকে শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি। আপনারা অনেক ঘুরাঘুরি করেছেন। আপনাদের এখন যাওয়ার সময় হয়েছে। আর ঘুরাঘুরি করে লাভ নাই। মানুষ যেন মনে রাখে নিজেদের দাফন কাফন যেন সুন্দর হয় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে আমরা ঘরে থাকতে পারিনি। সকলে রাস্তায় নেমে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। তিনি ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি অভূতপূর্ব উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আমাদেরকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। মৃতপ্রায় জাতিকে তিনি স্বপ্ন দেখিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তিনি সততার পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন। তিনি সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুরি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান সাহেব আমাদেরকে একটি নতুন ভূখণ্ড এবং নতুন একটি জাতিসত্তা দিয়েছেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্থপতি।

এ সময় ঘূর্ণিঝড় রিমালে নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানন। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাফা সীমান্তে ইসরাইলের বর্বর হামলায় নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আব্দুস সালাম, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

;

দেশ বাঁচাতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে: দুদু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশ বাঁচাতে হলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তাকে যদি আমরা কারাগার থেকে মুক্ত করতে না পারি, তাহলে আমরা দেশকে মুক্ত করতে পারবো না।

মঙ্গলবার (২৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ভূমিকা ও তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তার অনন্য অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দুদু বলেন, আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। এই জালিমের বিরুদ্ধে, এই জুলুমের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছাড়া কোনো দ্বিতীয় পথ আছে বলে আমি মনে করি না।

ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এরা কোনো এমপি নয়। এরা হচ্ছে, ডাকাত! এরা কেউ ভোটে এমপি হয়নি! এরা চোরাকারবারি! এরা লুণ্ঠনকারী! এরা স্বর্ণ চোরাকারবারকারি! এদেরকে এমপি বললে ভোটে নির্বাচিত এমপিদেরকে ছোট করা হবে, সংবিধানকে ছোট করা হবে।

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে, তখনই এদেশের গণতন্ত্রকে তছনছ করে দিয়েছে। তারা যখনই ক্ষমতায় গেছে, লুটপাট করেছে। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই মানুষ আতঙ্কিত হয়েছে। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, এদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়েছে।

বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কেউ ভালো হতে চাইলে জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করতে হবে। জিয়াকে বাদ দিয়ে এদেশের ইতিহাস লেখা যাবে না শিক্ষার ক্ষেত্রে, শিল্পের ক্ষেত্রে, সব ক্ষেত্রে।

তিনি বলেন, এখন তাকে অনেক নিচু করা হয়, যা ভাবা যায় না। সেজন্য জিয়াকে যারা সমলোচনা করেন, তাদেরকে আমাদের করুণা ছাড়া করার কিছু নেই। বাংলাদেশের মানুষ বুকে ধারণ করেছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের আপনজন হিসেবে গ্রহণ করেছিল জিয়াউর রহমানকে।

আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সরোয়ার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

;

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ফখরুলের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অবিলম্বে উপকূলীয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জোর আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৮ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই আহ্বান জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের উপকুলীয় এলাকার বিভিন্ন জেলায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর আঘাতে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে ১৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু,
প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, এক লাখ ৫০ হাজারের অধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, গবাদি পশুসহ অসংখ্য গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি এবং দুর্গত এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের ছোবলে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক, দুঃখ ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে দেশের উপকুলীয় এলাকায় অসংখ্য ঘরবাড়ি ধ্বংস, বিপুল সংখ্যক মানুষ আহত, নিখোঁজ এবং গবাদি পশু, ফসলি জমি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর আঘাতে এ পর্যন্ত ১৬ জনের প্রাণহানির খবরে দেশবাসীর ন্যায় আমিও গভীরভাবে শোকার্ত ও মর্মাহত হয়েছি। এমন মর্মান্তিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও হৃদয়বিদারক ঘটনায় দুঃখ প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। এদেশের মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে লড়াই করেই টিকে থাকে। যুগযুগ ধরে এদেশের কষ্টসহিষ্ণু মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে নতুনভাবে সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। আমি বিশ্বাস করি, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দুর্যোগ কবলিত মানুষ ব্যথা—বেদনা ও ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে নব উদ্যমে আবার সবকিছু গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। আমি মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা করছি—তিনি যেন ঘূর্ণিঝড় কবলিত সহায়—সম্বলহীন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদেরকে কষ্ট সইবার ক্ষমতা দান করেন।

বিএনপি মহাসচিব ঘূর্ণিঝড়ে ১৬ জন মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন। তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।

তিনি উপকুলীয় উপদ্রুত অঞ্চলে মানুষের সুচিকিৎসা এবং ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ লাখ মানুষকে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি নির্মাণসহ দুর্গত মানুষদের সহায়তা দিতে দেশের বিত্তবানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।

;