নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধন ঝুঁকিতে বিএনপিসহ ২১ দল
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নিবন্ধন ঝুঁকিতে পড়তে পারে বিএনপিসহ ২১টি রাজনৈতিক দল।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ অনুচ্ছেদের এইচ (১) ধারা অনুসারে, পরপর দুটি সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। এ অবস্থায় নিবন্ধন বাঁচাতে হলে বিএনপিসহ ২১টি রাজনৈতিক দলকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে ৩৯টি নিবন্ধিত দল।
এ বিষয়ে সম্প্রতি ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি টানা দু’বার সংসদ নির্বাচনে একটি আসনেও নির্বাচন না করে, তাহলে নিবন্ধন আইন অনুযায়ী তাদের নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। তবে আরও অনেকগুলো ক্রাইটেরিয়া থেকে যায়।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ১২টি দল অংশ নিয়েছিল। বিএনপিসহ ২৮টি দল ওই নির্বাচন বর্জন করে। পরে পাঁচটি দল উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে ঝুঁকি এড়িয়েছে। এরমধ্যে জামায়াতসহ দুইটি দলের নিবন্ধন বাতিল করেছে ইসি। বাকি ২১টি দল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধন ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে ঝুঁকিতে থাকা দলগুলো হলো-বিএনপি, লিবারেল ডেমক্রেটিক পার্টি-(এলডিপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-(বিজেপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, গণফোরাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম এল), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।
দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া দলগুলো হল- আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি-(জেপি), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি-(বিএনএফ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও গণতন্ত্রী পার্টি।
অন্যদিকে উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে ঝুঁকি এড়িয়েছে পাঁচটি দল। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও পরে মৌলভীবাজার-৩ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ উপ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। মাগুরা-১ ও টাঙ্গাইল-৪ উপ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো এনপিপি। ময়মনসিংহ-৩ উপ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল ইসলামী ঐক্যজোট ও বাংলাদেশ ন্যাপ। রংপুর-৩ এর উপ নির্বাচনের অংশ নেয় খেলাফত মজলিস।
২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে ইসি। আদালতের নির্দেশে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের পর সম্প্রতি প্রয়োজনীয় দলিল জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল করেছে ইসি।