জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি



আকরাম হোসেন, স্টাফ করসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সরকারের দমন-পীড়ন, হামলা-মামলায় নাজেহাল দলটির নেতাকর্মী। দলীয় দাবি-দাওয়া নিয়ে নিয়মিত কর্মসূচি দিলেও জনগণের দাবি দাওয়া নিয়ে তেমন একটা সবর দেখা যায়নি। জনসম্পৃক্ত ইস্যূতে শুধু সংবাদ বিবৃতি, মানববন্ধন, আলোচনা সভায় সীমাবদ্ধ থেকেছে। জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি নিয়ে জোড়ালোভাবে রাজপথে দেখা যায়নি। পুরোনো কৌশল পাল্টেছে, এবার জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে দলটি। কর্মসূচিতে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ত করতে চায়। কর্মসূচিতে এসেছে ভিন্নতা। জেলা-উপজেলায় সমাবেশের পাশাপাশি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে হাট-বাজারে হাটসভা, পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করবে দলটি।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং উপজেলা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে পর্যাপ্ত দ্রব্যসামগ্রির বিক্রির দাবিতে সারাদেশে টানা ১১ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামীকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এসব কর্মসূচি। শেষ হবে আগামী ১৫ মার্চ। শুরুর প্রথম দিনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ। ২৮ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় সদর/মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ। ২ মার্চ সারা দেশে জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ। ৫ মার্চ সারা দেশে উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ। ৬ মার্চ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের উদ্যোগে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।

এছাড়া ৮ মার্চ জাতীয়তাবাদী যুব দলের উদ্যোগে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ। ৯ মার্চ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ। ১০ মার্চ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ। ১২ মার্চ বিএনপি'র উদ্যোগে সারা দেশে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে হাট-বাজারে হাটসভা, পথসভা ও লিফলেট বিতরণ। ১৪ মার্চ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ১৫ মার্চ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে সারা বিক্ষোভ সমাবেশ। গতকাল (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

হাট-বাজারে পথসভা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সময়ের জন্য এই কর্মসূচি নতুন ধরনের। আগে আমরা করেছি। পাকিন্তান আমলে, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন হাট-বাজারের হাটসভা করতাম। হাটের দিন চোঙ্গা দিয়ে হাটসভা করা হত। এখন হ্যান্ডমাইক দিয়ে করা যাবে।

কর্মসূচি সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। প্রথম জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি নিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় যেতে চায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কর্মসূচি দিলে ধাপে ধাপে কর্মসূচি বাড়িয়ে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে করতে চায় দলটি।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কষাঘাতে সাধারণ মানুষ জর্জরিত। এই পরিস্থিতে জনগণের দল হিসেবে বিএনপির অবশ্যই কিছু করার আছে। প্রথমে সরকারকে বলেছি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। সরকার এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়নি, বরং উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে জনগণের দুর্ভোগকে উপহাস করেছে। আমাদের এই কর্মসূচিতে জনগণকে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। বিএনপি জনগণের দল, জনগণের ইস্যূ নিয়ে বিএনপি কথা বলে। এর আগেও জনগণের ইস্যূ নিয়ে আন্দোলন করেছি, কথা বলেছি কর্মসূচি দিয়েছি। সেইসব কর্মসূচি পালনে সরকার বাধা দিয়েছে। হামলে পড়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়েছে, গ্রেফতার করেছে। এইসব বাধাবিঘ্ন উপেক্ষা করে আমাদের কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে গেছি। এবারেও যত বাধাবিঘ্ন আসুক আমরা  কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাব। আমাদের সংগঠনিক, রাজনৈতিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এই কর্মসূচি অবশ্যই চূড়ান্ত আন্দোলনের ওয়ার্কআপ। আন্দোলন তো ধাপে ধাপে আগায়। এই আন্দোলনই সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হবে।

বিএনপির আন্দোলন সফল করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, আমরা খুব শিগগিরই রাজপথে আন্দোলনে নামব। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই লড়াইয়ে সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সকল দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্ব স্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে আসুন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে এসব কর্মসূচি নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে সম্পৃক্ত করতে যাচ্ছি। দেশবাসীকে আহবান জানাচ্ছি তাদের প্রয়োজনে এসব কর্মসূচি যোগ দিন।

   

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংহতি ছাত্রলীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরে করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বিবৃতে দলটি জানায়, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।

এতে আরও বলা হয়, নিরীহ-নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সাথে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাঁধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলো। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিলো।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। তাঁদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি-

আগামী সোমবার (৬ মে) সকাল এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে দলটি।

একইসাথে, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসাথে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

;

সরকার উৎখাতের দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না: মির্জা আব্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে , তখন এই সরকারকে লাথি দিয়ে ফেলে দিবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্রেফতার করে পৃথিবীর কোন আন্দোলন, কোন স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না এমন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই জনরোষের মুখে। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

তিনি বলেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সে নির্বাচন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। এখন একটি কাজ করতে পারেন রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন। নির্বাচনের কথা আপনাদের (সরকার) মুখে মানায় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কাদের সাহেব বললেন, জেলে কোন রাজবন্দী নেই। কি সুন্দর কথা বললেন কাদের সাহেব, আমার খুব হাসি পায়। কাদের সাহেব আপনি যখন ওয়ান-ইলেভেনে জেলে ছিলেন। আপনি কি চোর হয়ে সেদিন জেলে গিয়েছিলেন? না, রাজবন্দী হয়ে জেলে গিয়েছিলেন, আমি জানতে চাই। এক - এগারোর সময় আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী উনিও জেলে গিয়েছিলেন। উনি কি হয়ে জেলে গিয়েছিলেন? আমি জানতে চাই।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।

;

প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গণতন্ত্র, সুশাসনের আবহাওয়া তৈরি করতে সর্বশেষ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করে বিএন‌পির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করবো। কিন্তু আমাদের গায়ে যদি লাঠির আঘাত আসে তাহলে কতদিন শান্তিপূর্ণ থাকবো। প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে। না হলে আরও অনেককে কারাগার যেতে হবে।

তিনি বলেন, হাইকোর্ট আওয়ামী লীগ, পুলিশ আওয়ামী লীগ, প্রশাসনের ডিসি এসপিরা ছাত্রলীগ। এরকম একটা পরিবেশে মানুষের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোন ন্যায় বিচার নেই। মানুষ আদালতে যায় প্রতিকার পাওয়ার জন্য সেটাও নেই।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুদিন ধরেই বলছেন তাকে নাকি কিছু রাজনৈতিক দল উৎখাতের চেষ্টা করছে। আমার কথা হচ্ছে রাজনৈতিক দল উৎখাতে চেষ্টা করবে কেন? আপনি (শেখ হাসিনা) আপনার সরকার উৎখাত হোক এটা তো জনগণ চাচ্ছে। আর ক্ষমতায় আসা না আসা এটা কোন রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে জনগণের ওপর। আপনি জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছেন, ভোটার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছেন। আপনার ক্ষমতা চলে যাক এটা জনগণ চায়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ১৯৭৮, ৭৯ সাল থেকে গণতন্ত্র নাকি ধ্বংস করা হয়েছে। ওনি নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমরা গণতন্ত্র, রাষ্ট্র, সরকারের আভিধানিক অর্থ জানি। কিন্তু শেখ হাসিনার যে কথাবার্তা চিন্তা ধারা সেটা জানতে হলে আলাদা একটা ডিকশনারি খুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা উন্নয়নের কথা বলে। একটা প্রবাদ আছে অন্ধের হাতি দর্শন শেখ হাসিনার উন্নয়ন। মানুষ অভুক্ত, খেতে পারছে না তারপরও শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলতে হবে। আলু, পেঁয়াজ, বোরো চাষ করার জন্য কৃষকরা ৫০০০ টাকা ঋণ নেয়, সেই ঋণ শোধ করতে না পারলে কৃষকদেরকে জেলে যেতে হয়। আর হাজার হাজার কোটি টাকা যারা ঋণ নিয়েছে তারা হচ্ছে ক্ষমতার ঘনিষ্ঠ। তারা প্রকাশ্য আলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা শেখ হাসিনার সুশাসনের নমুনা।

;