জনগণের নয়, ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে কাদের-হাছানের: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জনগণের ক্রয় ক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে ক্ষমতাসীনদলের মন্ত্রী এমপিদের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে তো হাছান মাহমুদের, ওবায়দুল কাদেরের। বেড়েছে যুবলীগ-ছাত্রলীগের। সাধারণ জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বাড়েনি। জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বাড়লে টিসিবির ট্রাকের পেছনে এত বড় লাইন হতো না। মন্ত্রীরা জনগণের সঙ্গে রসিকতা করছে।

বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে রাজধানীর শাহবাগস্থ বিএসএমএমইউ হাসপাতালের সামনে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে নিয়ে অনেক শবক দিচ্ছেন। কেন উনি (প্রধানমন্ত্রী) ক্ষমতা ছাড়ছেন না? কেন উনি গদি ছাড়ছেন না? কারণ উনি (শেখ হাসিনা) ক্ষমতা থেকে সরে গেলে আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ দলটির সিনিয়র নেতারা দখল করবেন। এই ভয়ে তিনি জোর করে অগণতান্ত্রিকভাবে গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে জবরদখল করে বসে আছেন।বিশ্বের নিষ্ঠুরতম সরকাররা যা করে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তিনিও তাই করছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, জনগণকে ক্ষুদা, দারিদ্রতার মধ্যে ফেলে দিয়ে সরকার এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যেন দেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি দেখা দিয়েছে। গণবিরোধী সরকার, জনগণ খেয়ে পড়ে বাঁচল কিনা এটা তাগিদ দেওয়ার কোন কিছু মনে করে না। দেশে আজ যদি নির্বাচিত সরকার থাকতো তাদের একাউন্টিবিলিটি থাকতো তাহলে যেভাবেই হোক এটা নিয়ন্ত্রণ করত।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, এরা দুর্ভিক্ষের বিলাসবহুল দেখতে চায়। নিজেরা ভালো থেকে দুর্ভিক্ষের বিলাসবহুল রূপান্তর করতে চায়। তাদেরতো খাবারের কোন অভাব নাই। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে রাস্তা, ফুটপাতে ডাস্টবিন থেকে খাবার তুলে মানুষ খেয়েছে। এখন সেই পরিণতি আমরা আবার দেখছি । আমরা ৭৫ দেখেছি এখন শেখ হাসিনাকে দেখছি। তার বাবার আমলে যা হয়েছে এখন তার আমলেও হতে যাচ্ছে।

বিএনপির ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে মন্ত্রীদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিদিন হামলা-মামলার শিকার হচ্ছে। সিন্ডিকেট গোটা মাফিয়া চক্র সব তারাই। ক্যাসিনো জুয়া সমস্ত সিন্ডিকেটের মালিক তারা। এবং তারা কারা তাদের নামও তো আপনাদের গণমাধ্যমে এসেছে। সুতরাং এগুলো তারা বিভ্রান্ত করার জন্য বলেন কিন্তু মানুষ বিভ্রান্ত হয় না তারা আরও হাসির পাত্র হয়।

লিফলেট বিতরণকালে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদল মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মওলা শাহিন, সদস্য সচিব খন্দকার এনামুল হক এনাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম নয়ন, মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ হাসান জ্যাকি, সদস্য সচিব আলামিন হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

   

আ. লীগের হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাবে বিএনপি: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি (হীরক জয়ন্তী) অনুষ্ঠানে প্রধান বিরোধীদল বিএনপিকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

হীরক জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের গত জাতীয় সম্মেলনসহ সব অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আমন্ত্রণপত্র বিএনপি পাবে। এটা আমি বলতে পারি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলও পাবে।

উপজেলা নির্বাচনে অনেক সংসদ সদস্য প্রকাশ্যে প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারাই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তাদের সময়মতো কোন না কোনভাবে শাস্তি পেতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনে দলের নির্দেশনা অনেক নেতাই মানছেন না। নির্বাচন প্রায় কাছাকাছি চলে আসলেও অনেক এমপি-মন্ত্রীর স্বজন এখনো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়নি। এক্ষেত্রে আপনারা কি সাংগঠনিকভাবে কোন ব্যবস্থা নিবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সাংগঠনিকভাবে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।

বিএনপি নেতা মঈন খান বলেছেন আওয়ামী লীগ সারাদিন স্বাধীনতার কথা বললেও তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে এর জবাবে তিনি বলেন, ৭৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রহসনের নির্বাচন, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার। জিয়াউর রহমানের সময় হ্যাঁ-না ভোটে ১১৪ শতাংশ হ্যাঁ ভোট এসব কিন্তু তাদেরই সৃষ্টি। নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অধিনে ছিলো। কিন্তু শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, সংস্কৃতিক বিষয়ক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মর্তুজা, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করে ছাত্রলীগের সমাবেশ



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ফিলিস্তিনকে সমর্থন ও যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করে ছাত্রসমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সোমবার (০৬ মে) বেলা ১২টার দিকে তারা মধুর ক্যান্টিন থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন। এ সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, ঢাবির বিভিন্ন হল শাখা ও রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাতে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের পতাকা, ব্যানার ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য ইউনিট থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় তারা 'ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড', 'স্বৈরাচার নিপাত যাক-ফিলিস্তিন মুক্তি পাক', 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস-জয় জয় ফিলিস্তিন', 'ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বলেন, যারা গণতন্ত্রের মোড়ল ও বাকস্বাধীনতার সনদ দেয়, সম্প্রতি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আটক ও অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। সেখানে আন্দোলন করার কারণে আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসাইন্স বিভাগের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে শুধু মাত্র ফিলিস্তিনের জন্যে আন্দোলন করার কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সাদ্দাম হোসেন প্রশ্ন রেখে বলেন, স্কুলে-হাসপাতালে হামলা করে নারী ও শিশুদের হত্যা করে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে। বিশ্বমোড়লদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, কবে এটিকে গণহত্যা বলা হবে? আর কত হাজার প্রাণ গেলে?

ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মজহারুল কবির শয়ন বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের দুর্দশা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করি। টানা ৭৫ বছরের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীর ভিন্ন জাতি ধর্ম, বর্ণের শিক্ষার্থীরা আজ এক হয়েছে।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আমরা কোনো যুদ্ধে হাসপাতালে বোমাবর্ষণের মতো নৃশংসতা দেখিনি। পৃথিবীর যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে, তারা আমাদের ভাই। এছাড়াও আমেরিকা ও ইসরায়েলের নাগরিক হয়েও যেসব শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করছে তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই।

উল্লেখ্য, এ সমাবেশে কলম্বিয়াসহ বিশ্বব্যাপী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি আনুষ্ঠানিক সংহতি জানিয়ে স্মারকলিপি পাঠ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি।

;

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে জবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইজরায়েলের বর্বরোচিত সামরিক অভিযানকে গণহত্যা, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এবং নিরীহ ফিলিস্তিনদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

সোমবার (৬ মে) বেলা ১২টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এ সময় মিছিলের নেতৃত্ব দেন জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস. এম. আকতার হোসাইন।

মিছিলটি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে কাঁঠাল তলা, বিজ্ঞান অনুষদ, শাঁখারি বাজার, রায়সাহেব বাজার মোড় ঘুরে বাহাদুর শাহ পার্ক হয়ে ভিসি ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। গাজা যুদ্ধকে গণহত্যা উল্লেখ করে মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা "স্বৈরাচার নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক", "গণহত্যা বন্ধ করো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো" ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

মিছিল শেষে ভিসি ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ সময় শাখা জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, ধর্ম হচ্ছে আবেগের জায়গা। যে এখানে হাত দিবে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। গাজা যুদ্ধের ইন্ধনদাতা সন্ত্রাসী আমেরিকার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সময় এসে গেছে। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে, কেউ ধর্ম নিয়ে খেলা করলে তাকে পুঁতে দেয়া হবে।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস. এম. আকতার হোসাইন বলেন, যারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে আমাদের নিরীহ মানুষদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল, ইজরায়েলও একইভাবে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংস গণহত্যা চালাচ্ছে। অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে এবং ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতার অডিও ফাঁস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ে উপজেলা নির্বাচনে উৎসাহ দিয়ে ভোটের পক্ষে দেওয়া এক বিএনপি নেতার বক্তব্যের অডিও ফাঁস হয়েছে। ওই নেতা হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব ও বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্লি উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ।

ওই অডিওতে তাঁকে নেতা-কর্মীকে কৌশলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলতে শোনা যায়। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘মন দিয়ে নির্বাচন কর।’

একদিকে ভোটে অংশ নেওয়ায় নেতাদের বহিষ্কার, অন্যদিকে কৌশলে ভোটে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতার এমন বক্তব্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) দুপুরে এমন একটি অডিও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আসে। তবে ফাঁস হওয়া অডিও সুপার এডিট বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা আজাদ।

ফাঁস হওয়া অডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘যারা ভোটের বিরুদ্ধে, জনগণের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নাই, তারা স্থানীয় রাজনীতি বোঝে না। তারা মনে করে স্থানীয় রাজনীতি আর জাতীয় রাজনীতি এক, মূলত এক নয়। এবারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তোমরা মন দিয়ে নির্বাচনটা করো, আশা করি সফল হব। বোদায় যদি উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান দিতে পারি, তাহলে অন্তত উপজেলা চত্বরে গিয়ে একটা বসার জায়গা পাব। চেয়ারম্যানের চেম্বারে গিয়ে বসতে পারব, এক কাপ চা খেতে পারব।’

তাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘জনপ্রতিনিধিশূন্য একটা দল টিকে থাকা অনেক কঠিন। আমরা সমর্থকনির্ভর একটা দল, আমাদের কর্মীর চেয়ে সমর্থক বেশি।’

এ ব্যাপারে ওই বিএনপি নেতা মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি নির্বাচন বর্জন বিষয়ে আমার বাড়িতে একটি মিটিং করেছিলাম। আমাকে হেয় করার জন্য সেই অডিও সুপার এডিট করে আরেকটি অডিও এটি তৈরি করা হয়েছে।’

পঞ্চগড়ের বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত শনিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত নোটিশে বোদা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব আল আমিন ফেরদৌস, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরসালিন বিন মমতাজ রিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলী বেগম, দেবীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী রহিমুল ইসলাম বুলবুল ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিমকে বহিষ্কার করা হয়।

;