নিজে গোছাচ্ছেন দল আর নেতাদের দিয়ে জোট



মহিউদ্দিন আহমেদ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ যখন নানান ছক আঁকছে এবং বিভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে, সেখানে বিএনপির পরিকল্পনা এখনো অজানা। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে তারা অংশ নিতে আগ্রহী নয়। বিষয়টিকে তারা প্রধান দফা হিসেবে রাজনীতির মাঠে ইতিমধ্যেই জানান দিয়েছে।

২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনগুলো থেকে লব্দ অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে বিএনপি এবার দুটো বিষয়ে বেশ জোর দিয়েছে। একটি হলো সমমনা দলগুলোকে নিয়ে একটি শক্তিশালী সরকার বিরোধী জোট গঠন করা এবং আরেকটি হলো নিজ দলকে যতটা সম্ভব গুছিয়ে নেওয়া। তবুও নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছে বিএনপি এমন প্রশ্নে বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘অনেকের মনে হতে পারে শেষ মুহূর্তে হয়ত বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে কিন্তু সত্যি হলো নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপি কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এবং আওয়ামী লীগ যদি আগের দুইবারের মত সে চেষ্টা করে তাহলে সেটা জনগনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে।’

কোন কারণে যদি সরকার অনড় অবস্থানে থেকে নির্বাচন করে ফেলতেও চায় সেক্ষেত্রে বিএনপির ইচ্ছে বৃহত্তর জোট গঠন করে সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যে দলটি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দলকে জোটভুক্ত করার প্রয়াসে একের পর এক দলের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। জোট গঠনের ব্যাপারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের প্রবীণ ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের উপরই আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপি একের পর এক সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে এবং আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক শেষে তারা গণমাধ্যমকে ব্রিফও করছে। সেই সঙ্গে বৈঠক পরবর্তী বিষয়াদি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকেও সবিস্তারে জানানো হচ্ছে বলেও এক সূত্রে জানা গেছে।

কি লক্ষ্যে এবারের জোট গঠন নিয়ে বিএনপি অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে এমন প্রশ্নে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘ আমরা আসলে জোট গঠনের জন্য আলোচনা করছিনা, বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়াসে এই আলোচনা। আমাদের দুটো জোট পূর্বেই ছিল যেগুলো আমরা এখনো ভাঙিনি। একটি হল ২০ দলীয় জোট এবং আরেকটি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কিন্তু আমরা এখন ওই দুটি জোটের বাইরের দলগুলোর সাথেও আলোচনা করছি। আগামী নির্বাচনের আগে একটি নির্দলীয় সরকার কিভাবে গঠন করা যায় এবং বর্তমান সরকারকে সেটা করতে বাধ্য করা যায় সেটাই হবে জোটের প্রধান লক্ষ্য।’

জোট বিষয়ে দলের প্রবীণ নেতৃবৃন্দের প্রতি আস্থা রাখলেও নিজের দল বিএনপি পুনর্গঠনে সরাসরি ভূমিকা রাখছেন তারেক রহমান। মূল দল থেকে শুরু করে সহযোগী সংগঠনগুলোকে চাঙ্গা করার জন্য একের পর এক কমিটি দিচ্ছেন, কোথাও রদবদল করছেন আবারও কোথাও প্রয়োজন মত সংযোজন বিয়োজন করছেন। কিছুদিন আগেই বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে নতুন মুখ আনয়নসহ কিছু রদবদর করেছেন এবং দফতরে লোকবল বাড়িয়েছেন। মিডিয়া সেল নামে নতুন একটি উইং গঠন করেছেন। নবগঠিত এই উইং এর কাজ সম্পর্কে মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে গণমাধ্যমের ব্যাপ্তি, ক্ষমতা ও প্রভাব অনেকে বেড়ে গিয়েছে। দেশের বৃহত্তর দল হিসেবে দেশের হারানো গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই এখন বিএনপির মূল চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বিএনপির সামগ্রিক রাজনৈতিক, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে এক নতুন ধারায় প্রবাহিত করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারই একটি অংশ বিএনপির মিডিয়া সেল গঠন। মিডিয়া সেল দেশের প্রচলিত গণমাধ্যম এবং বিকল্প গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক তৎপরতার লক্ষ্য বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করে দলের সামনে অবিলম্বে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রস্তাব করবে। আর এটিই এখন বিএনপি মিডিয়া সেলের লক্ষ্য।’

বিএনপির শক্তিশালী অঙ্গ সংগঠন হিসেবে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়ে নিয়মিত কাজ করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। নিয়মিত স্কাইপে বৈঠক করছেন । মহানগর, জেলা, থানা থেকে শুরু ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনে ভূমিকা রাখছেন বলে জানা গেছে। ছাত্রদল কমিটি গঠনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কিভাবে ভূমিকা রাখছেন এমন প্রশ্নে ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ জানান, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দ্রুত সময়ে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন। কমিটি দেওয়া সব সংগঠনেরই একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে উনি এবার যেটাতে জোর দিয়েছেন সেটা হলো কার্যকরি কমিটি গঠন করা। যে কমিটিগুলো সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এবং আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখবে। আরেকটি বিষয় আমরা উনার কাছে উপস্থাপন করেছি এবং তাতে উনি সায় দিয়েছেন। সেটা হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কমিটিগুলো যেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় এবং তাতে যেন অভিজ্ঞরা স্থান পায়।’

জোট গঠনের প্রক্রিয়া এবং দল পুনর্গঠনে তারেক রহমান কিভাবে সমন্বয় করছেন বা ভূমিকা রাখছেন সে বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে তিনি প্রতিনিয়ত টেলিফোন ও স্কাইপের মাধ্যমে সবার সঙ্গে কথা বলছেন। এছাড়া জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় টিমের সসদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। জোটের বিষয়ে যারা তত্বাবধান করছেন সেগুলোর বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এছাড়া নিয়মিতভাবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর সঙ্গে স্কাইপে মিটিং করে যাচ্ছেন।’

   

বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছেন। তাদের বোধগম্য হয় না যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানে এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। এতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমূণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়। বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য 'বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি' বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।

সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।

;

আবারও একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে আ.লীগ- রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আবারও একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, সংসদীয় এলাকাগুলোতে ‘এমপি রাজ’ শুরু হয়েছে। এমপির ভাই, খালা মামাদের দিয়ে ‘এমপি রাজ’ চালাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দাবদাহে নগরবাসীকে পানি বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রহুল কবীর রিজভী এ সব কথা বলেন।

এ সময় তিনি ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ওবায়দুল কাদের এখন ‘সন্ত্রাসীদের মন্ত্রী’, ‘গুণ্ডাদের মন্ত্রী’। তাই, বিএনপি কর্মসূচি দিলে পালটা কর্মসূচি দেন।

রিজভী বলেন, সাংবাদিকরা ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন বিএনপির প্রোগ্রামের সঙ্গে মিল রেখে প্রোগ্রাম দেন? তিনি (ওবায়দুল কাদের) উত্তরে বললেন, বিএনপিকে মানসিক চাপে রাখতে নাকি কর্মসূচি দেন। আসলে যারা ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’, তারাই এ সব কাজ করেন।

তিনি বলেন, এসব তো করে পাড়া-মহল্লার গুণ্ডারা। সন্ত্রাসী যারা, তারা।

রিজভী আরো বলেন, শেখ হাসিনা গণবিরোধী নীতি, গণবিরোধী প্রকল্প নিতে কখনো ভাবেন না। দেশে আজ চাল সংকট, আদা সংকট, পেঁয়াজ সংকট। এসবের পেছনে মূল কারণ শেখ হাসিনার গণবিরোধী প্রকল্প। এক কথায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, শেখ হাসিনার ব্যর্থতা।

রাজনীতির প্রধান কাজ ‘সমাজ সেবা’ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সারাবিশ্বের রাজনীতি একটি সমাজ সেবা কাজ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের গণবিরোধী কাজের জন্য আমাদের সব সময় রাজপথে থাকতে হয়। এ জন্য আমরা সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি না।

এসময় বিএনপির আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করেন রিজভী।

অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ইঞ্জিনিয়ার ইসরাকশ, বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;