নিজেকে কেন্দ্রীয় কমিটির ‘সদস্য’ বলে প্রচার, বহিষ্কার ছাত্রলীগ নেত্রী



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিজেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ‘সদস্য’ বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করাতে রুমিত আয়াত সাহিদা নামে ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের ওই নেত্রী নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্তর্গত গ্রিন ইউনিভার্সিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,‘শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার’ অপরাধে রুমিত আয়াত সাহিদাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

জানা যায়, গত সোমবার রাতে রুমিত আয়াত তার ফেসবুক আইডিতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ‘সদস্য’ পদে স্থান পেয়েছেন এমন একটি পোস্ট করেন এবং এ-সম্পর্কিত একটি ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তির ছবি যুক্ত করেন। যেখানে তিনি এডিট করে নিজের নাম বসিয়ে দেন।

ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি গণমাধ্যমে বলেন, যারা ফেসবুকে নিজেদের একটু উন্নত পর্যায়ের নেতা হিসেবে জাহির করছে তারা সবাই ধরা খাবে। যারা ফটোকপি করে এসব করছে তারাও ভালোভাবে ধরা খাবে। কারণ, মূল কপি আমাদের কাছে। এ বিষয়ের জন্য আমরা নিজেরাও বিব্রত! আমাদের কিছু কাজ এখনো বাকি আছে। আশা করি, অল্প সময়ের মধ্যে আমরা তালিকা প্রকাশ করতে পারব।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলাসহ ছাত্রলীগের ১১টি কমিটি ঘোষণা করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শীর্ষ দুই নেতা। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হল ইউনিটে শীর্ষ পদে আসতে না পারা পদপ্রত্যাশীসহ দুই শতাধিককে বিভিন্ন সম্পাদক, উপসম্পাদক, সহ-সম্পাদক ও সদস্যসহ কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

‘হীন উদ্দেশ্য হাসিলে বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরনা দিচ্ছে বিএনপি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ম্লান করে বিএনপি হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরনা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, “দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নেই। দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র, নির্বাচন ও গণরায়কে অবজ্ঞা করে তারা কেবল বিদেশি প্রভুদের কাছে করুণা প্রার্থনা করছে।”

মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “কাঙ্ক্ষিত স্যাংশন না পেয়ে বিএনপির মহাসচিব চিরাচরিত ভঙ্গিতে প্রলাপ বকছেন। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে তারা প্রতিনিয়ত সরকারবিরোধী কুৎসা ও বদনাম রটাচ্ছেন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ও এ দেশের জনগণের মান ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”

কাদের বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকার ভীত নয়। কারণ আমরা সর্বদা সংবিধান, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদি এই ভিসানীতি যথাযথভাবে প্রয়োগ হয়, তাহলে বিএনপি নেতাকর্মীদের এর আওতায় আসার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা, তারা বরাবরই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে ও নির্বাচন প্রতিরোধের নামে সন্ত্রাসের মাধ্যমে সাংবিধানিক রাজনীতির অচলাবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে আসছে।”

আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, “মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে বিএনপি নেতারা খুনি-স্বৈরশাসক, সংবিধান ও গণতন্ত্রের হত্যাকারী স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে ভ্রান্ত মিথ তৈরি করার অপচেষ্টা করে আসছে।”

তিনি আরও বলেন, “অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আজ বিএনপির কোনো কোনো নেতার বক্তব্যে তাদের এতটাই দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে যে, তাদের আর কোনো রাজনৈতিক সংগঠন বলা চলে না। জনগণের প্রতি আস্থা না রেখে বিএনপি নেতারা বিদেশি প্রভুদের পদলেহনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।”

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এ ধরনের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী খুনিগোষ্ঠী ও ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না জানিয়ে কাদের বলেন, “জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী এই অপশক্তিকে উৎখাত করা হবে।”

;

সিলেটে বিএনপির ৪৩ নেতাকে ‘আজীবন বহিষ্কার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৪৩ নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

সোমবার (৫ জুন) রাতে দলটির দফতর সম্পাদক রুহুল কবীর রিজভি স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা ‘বেঈমান’, ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘মীরজাফর’ হিসেবে চিহ্নিত থাকবেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। বহিষ্কৃতদের মধ্যে একজন মেয়র প্রার্থী এবং ৩৮ জন পুরুষ কাউন্সিলর ও ৪ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন।

বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।

দলীয় সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষনা অনেক আগেই দিয়ে রেখেছে বিএনপি। ঘোষণা অনুযায়ী চলমান সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতেও অংশ নেয়নি দলটি। নির্বাচনে দলের কোন নেতাকর্মী প্রার্থী না হওয়ার কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশ অমান্য করে কেউ প্রার্থী হলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হবেন, দলের পক্ষ থেকে এমন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে গাজীপুরের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে সিলেটের প্রার্থীদের মধ্যেও একই আতঙ্ক ছিল। শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতে কেন্দ্র থেকে চিঠি পাঠিয়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ৪৩ প্রার্থীর প্রাথমিক সদস্যপদ সহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এর আগে গত শনিবার তাদেরকে শোকজ করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল।

আজীবন বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন মেয়র প্রার্থী ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সালাউদ্দিন রিমন।

সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন তারা হলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিকুল হাদি (১নং ওয়ার্ড), মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম (৬নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নজরুল ইসলাম মুনিম (১৪নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল (১৮নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব তুহিন (২১নং ওয়ার্ড), মহানগর মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রুকশানা বেগম শাহনাজ (২৫নং ওয়ার্ড), জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক উসমান হারুন পনির, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা কামাল, গউছ উদ্দিন পাখি, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন নাদিম, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুফতি কমর উদ্দিন কামু (১নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠু (৩নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. কামাল মিয়া (৫নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য খালেদ আকবর চৌধুরী (৫নং ওয়ার্ড), আমিনুর রহমান খোকন (৫নং ওয়ার্ড), শাহেদ সিরাজ (৫নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান জুবের (১০নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আব্দুর রহিম মতছির (১১নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুজিবুর রহমান (১৫নং ওয়ার্ড), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সালমান চৌধুরী শাম্মী, ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রহমান মামুন (২৩নং ওয়ার্ড), এমসি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বদরুল আজাদ রানা (২২নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হুমায়ুন কবির সুহিন (২৪নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি সেলিম আহমদ রনি (২৬নং ওয়ার্ড), জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আব্বাস, বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক জাবেদ আমিন সেলিম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাজু মিয়া, বরইকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সানর মিয়া, টুলটিকর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেদায়েত হোসেন তানবীর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দুলাল আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা দেলওয়ার হোসেন জয়, মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি আব্দুল হাছিব, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক সুমন আহমদ সিকদার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা সাহেদ খান স্বপন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা ইউনুস মিয়া বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক নেতা নুরুল ইসলাম মাসুম।

এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন- জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপী, মহানগর মহিলা দলের সহসভাপতি রুহেনা বেগম মুক্তা, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেট ইউনিটের সদস্য অ্যাডভোকেট জহুরা জেসমিন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি কামরুন নাহার তান্নি (সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৬)।

;

আমরা সংগঠিত হলে নাকি আরও বেশি সিট দিবে: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আমরা সংগঠিত হলে নাকি আরও বেশি সিট দিবে: জিএম কাদের

আমরা সংগঠিত হলে নাকি আরও বেশি সিট দিবে: জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, আমাদের বলা হয়, আপনারা আরও সংগঠিত হন, আপনাদের আরও বেশি সিট দিবে। কে দিবে? আওয়ামী লীগ দিবে? জনগণ ভোট দেবে না? আওয়ামী লীগের নেতা নেত্রীরা সিট দিতে পারে তাহলে নির্বাচনের দরকার কী?

সোমবার (৫ জুন) জাতীয় পার্টি ঢাকা জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমন মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতির মাঠে কথা আছে আওয়ামী লীগ জামায়াতকে বিভিন্ন নামে কিছু সিট দিবে। আমাদেরও কিছু সিট দিবে। তাহলে ঘোষণা দিয়ে দেন কে কে পাশ করেছে। সাংবাদিকরাও প্রশ্ন করছে আওয়ামী লীগ কোন কোন সিট দিবে আপনাদের? নির্বাচনের অর্থ হচ্ছে জনগণ ঠিক করবে কে হবেন তাদের প্রতিনিধি। যদি আওয়ামী লীগই জনপ্রতিনিধি ঠিক করে দেন তাহলে নির্বাচনের প্রয়োজন কেন? আওয়ামী লীগ প্লাস ধংস না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ প্লাস ধংস না হওয়া পর্যন্ত দেশের মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়। আইনগতভাবে বাকশাল করা হয়েছিলো। এখন আইনগত ভাবে না করলেও বাকশালের আদলে “আওয়ামী লীগ প্লাস” তৈরী করা হয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য আর তাদের সৌভাগ্য হলে আগামী নির্বাচনের পর বাকশালের নাম হবে ”আওয়ামী লীগ প্লাস”।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে এখন যোগ দিয়েছে পুলিশ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন। তারা একটা নতুন দল হয়েছে ”আওয়ামী লীগ প্লাস” সবাই যেনো এখন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন। সবাই এখন আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলে। পার্লামেন্টও এখন আওয়ামী লীগের অঙ্গ হয়েছে। বিচার বিভাগকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ বানানোর চেষ্টা চলছে। কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেছেন, এক প্রধান বিচারপতিকে নামিয়ে দিয়েছি। প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

তিনি বলেন, সারাদেশ গরমে পুড়ছে, সরকারের খবর নেই। সরকার ভাবছে দেশের মানুষ মরণের পরে সবাই দোজখে যাবে। তাই দেশের মানুষকে এই গরমে প্রাকটিস করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুত দেয়ার কথা বলে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরী করে রেখেছে। তারপরও দেশের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না কেন? আসলে তারা আমাদের বিদ্যুত দেয়ার জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী করেননি। তারা লুটপাটের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী করেছে। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। সরকার এখন গ্যাস কিনতে পারছে না, কয়লা কিনতে পারছে না, তেল কিনতে পারছে না টাকার অভাবে। এদেশের গরিব মানুষও বিদ্যুতের বিল বকেয়া রাখেনি তাহলে সরকার কয়লা কিনতে পারবে না কেন? হাসি হাসি মুখে তারা বলেন, কয়লা কিনতে আরো দেড় মাস লাগবে। তাহলে আপনারাও আমাদের সাথে আসুন, আপনারাও থাকুন আমাদের সাথে দোজখের আগুনে। সরকার বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। টেন্ডার ছাড়াই কাজ দেয়া হয়েছে বিদ্যুত খাতে। রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের নামে ঋণ করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ১ হাজার কোটি টাকার স্টিমেটের প্লান্টের জন্য খরচ হয়েছে মাত্র ৩ শো কোটি টাকা। প্রকল্পে ৭ থেকে ৮ শো কোটি টাকা ঋণ করে বাকি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লক্ষ-লক্ষ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। তাই এক শ্রেণীর মানুষ দেশে টাকা রাখার জায়গা পাচ্ছে না। দেশের মানুষ যেনো নরকে বাস করছে।

তিনি বলেন, রুপপুর পাওয়ার প্লান্ট রাশিয়া থেকে কেনা হয়েছে। এটি আনবিক শক্তির ২৪ শো মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। একই ধরনের কোম্পানী থেকে ভারতেও এমন একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কিনেছে মাত্র ৩৪ হাজার কোটি টাকায়। আর, আমাদের দেশে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করা হয়েছে। এর মাত্র ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আবার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। কোন রকম ভুল ত্রুটি হলে এটম বোমের মত বিষ্ফোরিত হয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে। যে দেশে দারোয়নদের অবহেলায় শত শত গার্মেন্টস কর্মীরা আগুনে পুড়ে মারা যায়, সেদেশে এমন ঝুকিপূর্ণ বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী হচ্ছে।

সম্মেলনে ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হিসেবে পুনরায় অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি’র নাম ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে ঢাকা-১ আসনে (দোহার-নবাবগঞ্জ) জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে এডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির নাম ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এডভোকেট সালমা ইসলাম এমপির সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো- চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে জুয়েল আহমেদ, শাকিব আহমেদ, প্রিন্সিপাল আব্দুল হামিদ, আবুল হাসনাত আজাদ প্রমুখ।

;

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি দূরভিসন্ধিমূলক: ১৪ দলীয় জোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি দূরভিসন্ধিমূলক। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট মনে করে এ ভিসানীতি অনাকাঙ্ক্ষিত, যা কারও পক্ষে ব্যবহার করা হচ্ছে।

রোববার (৪ জুন) রাজধানীর ইস্কাটনস্থ আমির হোসেন আমুর নিজ বাসভবনে আয়োজিত কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, মার্কিন ভিসানীতি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনাহূতভাবে আসায় তা অত্যন্ত দূরভিসন্ধিমূলক মনে হচ্ছে। এটা কারও কারও পক্ষে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা মনে করি, বাঙালি জাতি সংবিধানের প্রত্যেকটি প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখতে ঐক্যবদ্ধ। সরকার সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ক্ষেত্রে অন্য কোনো হস্তক্ষেপ কামনা করি না।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলেন, যারা নির্বাচনকে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে বানচাল করতে চায়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের জন্য এটা (ভিসানীতি) সহায়ক হতে পারে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কথাগুলো বলতে চাই।

তিনি বলেন, এখানে যদি অন্য কোনো দেশের সন্দেহ থাকে, তাহলে তারা বসে এটা ঠিক করতে পারে যে, সংবিধানের ভেতরে কোথায় কোনো ফাঁকফোকর আছে, সেটা তারা বিবেচনা করুক। সেগুলো দেখুক, আলোচনা করুক। কিন্তু সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচনটা অনুষ্ঠিত হতে হবে। সংবিধানে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, অন্য কোনো উপায়ে আঘাত আসুক এটা আমরা চাই না।

সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য ১৪ দলীয় জোট কোনো আলোচনার উদ্যোগ নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, বাঙালি জাতি সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কোনো দলই জাতির বাইরে না, জনগণের বাইরে না, দেশের বাইরে না। জনগণের ওপর আস্থা থাকলে, সংবিধানভিত্তিক নির্বাচনে আস্থা থাকলে সবারই অংশগ্রহণ করা উচিত। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই। কোনো দলের পক্ষে জনস্রোত থাকলে, এই স্রোতের বাইরে প্রশাসনও যেতে পারে না। সেই দিকেই নির্বাচন ধাবিত হয়।

তিনি বলেনে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ১৪ দলের নেতারা। জোটের পক্ষ থেকে দ্রুত বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বাজেট নিয়ে সংসদে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, সরকার পড়াশোনার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা পয়সায় বই বিতরণ করছেন। সবকিছু ঠিক আছে। সেই ক্ষেত্রে কলম ও কাগজের দাম বৃদ্ধি পড়াশোনার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। সংবাদপত্রের ওপর ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। তাই আমরা মনে করি কাগজ-কলমের দাম কমানো উচিত। আরোপিত কর প্রত্যাহার করা উচিত।

বৈঠকে দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক পর্যায়ে আনার জন্য ১৪ দলীয় জোট সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। এ প্রসঙ্গে আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব রকম চেষ্টা করছেন। আমাদের দেখতে হবে সরকার সচেতন কিনা, প্রচেষ্টা আছে কিনা। কিন্তু পরিস্থিতি হাতের বাইরে থাকলে কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।

বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আগামী ৬ জুন বিকেলে রাজধানীতে একটি জনসভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

জোট সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি (একাংশ)-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;