যতই আক্রমণ হোক মাঠ ছাড়বে না বিএনপি



মহিউদ্দিন আহমেদ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
যতই আক্রমণ হোক মাঠ ছাড়বে না বিএনপি

যতই আক্রমণ হোক মাঠ ছাড়বে না বিএনপি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনীতির মাঠে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে সব সময়ই নিজেদেরকে সক্রিয় রেখেছিল বিএনপি। কিন্তু জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি দিয়ে গণমানুষের দেখা পায় দলটি মূলত জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে যখন একের পর এক কর্মসূচি দিতে থাকে। এসব কর্মসূচিতে নিজ দলের নেতাকর্মীদের বাইরে সাধারন মানুষেরও দেখা পায় দলটি। কর্মসূচিগুলোতে ব্যাপক জনসমাগমে চাঙ্গা হয়ে উঠে বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল। দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যেও নব উদ্যম লক্ষ্য করা যায়।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের চাওয়া নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনজীবনে যে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রতিবাদে শক্তভাবে মাঠে থাকা। একই সাথে ভবিষ্যতে তারা সরকারবিরোধী আন্দোলনের যে ছক কষছে এরমধ্য দিয়ে সারা দেশে দলের মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সেই আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করা। কিন্তু সরকারে থাকা আওয়ামী লীগও বসে নেই। রাজপথে বিএনপিকে প্রতিহত করতে তারাও সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে। কর্মসূচিতে হামলা এবং পরবর্তীতে মামলা দিয়ে বিএনপিকে আন্দোলন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে এমন অভিযোগ বিএনপির।

বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল টিপু বার্তা২৪.কমের কাছে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন,শুধু আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে এসে আমাদের ৪জন নেতাকর্মী মারা গেছেন। আহতদের সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজারের উপরে।গ্রেফতার হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক আর মামলা হয়েছে ৭২টি। সেই মামলায় নামসহ অজ্ঞাতনামা আসামীর সংখ্যা ২৫ হাজারের উপরে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে প্রায় ৫০ জায়গায়। আর আমাদের সমাবেশ পন্ড করতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ জায়গায়।

টিপু আরও যোগ করে বলেন, আক্রমণ যতই হোক আমাদের রাজপথ ছাড়ার কোন সুযোগ নাই। পুলিশ গুলি চালাক, টিয়ার গ্যাস মারুক, বিএনপি জনগণকে নিয়ে সেটা প্রতিরোধ করবে। সারাবিশ্ব ও দেশবাসী তো দেখছে কিভাবে নিরস্ত্র অবস্থায় বিএনপি রাজপথে মোকাবিলা করছে। সরকার ও পুলিশ যৌথভাবে জনগণের টাকায় কেনা গুলি আমাদের উপর ছুড়ছে, সেটাও সবাই দেখছে। এখন আমাদের সামনে বিকল্প কোন পথ নেই। ঘরে বসে মরার থেকে রাজপথে শহীদ হওয়ার জন্য সারা দেশে আমাদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত হয়ে গেছে।

সম্প্রতি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন পর্যায়ক্রমে দলটির মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। কিন্তু সেটাও তারা নির্বিঘ্নে করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে। ১৫ সেপ্টেম্বর কয়েকবার জায়গা পরিবতর্ন করেও এবং পুলিশের অনুমতি থাকার পরও সমাবেশ করতে না পেরে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমানুল্লাহ আমান বলেন,পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ হামলা চালিয়ে যেভাবে আমাদের সমাবেশ পন্ড করলো তা নজিরবিহীন।

এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রমনা ও শাহবাগ থানা বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ নির্ধারিত জায়গায় করতে না পেরে অবশেষে গলির ভিতর সেটা করতে বাধ্য হয় বিএনপি। সেখানে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন,কেউ গুলি করলে আমরা তাকে ছাড় দেবো না। আমরা আত্মাহুতির জন্য প্রস্তুত। আন্দোলনে গুলি চালানো হলে আমাদের আন্দোলনও ভিন্ন প্রক্রিয়ায় হবে। অবস্থা বুঝে আমরাও ব্যবস্থা নেবো।

মাঠে নির্যাতনের মাত্রা বাড়লে কি করবে বিএনপি এমন প্রশ্নে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বার্তা২৪’কে বলেন, আমরা তো ঘরেও থাকতে পারছি না। আমরা এখন আন্দোলনের মুডে আছি এবং মাঠে আছি। আওয়ামী লীগ সরকার যদি আমাদের উপর আক্রমণ না করে তবে সেটা হবে অস্বাভাবিক। আক্রমণ করবে এটাই স্বাভাবিক। তারমধ্যেই আমাদেরকে যেটা করার সেটা করতে হবে। যেহেতু ঘরে থাকতে পারছি না তাই আমাদেরকেও বাধ্য হয়ে রাজপথেই থাকতে হবে এবং নিজেদের দাবি আদায় করে নিতে হবে।

   

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখানো গেলেও কী সহিংসতা ঠেকানো যাবে?



নজরুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুয়ারে কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর মাত্র ৩৫ দিন পর আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে যেমন রয়েছে উৎসাহ উদ্দীপনা, তেমনি রয়েছে উৎকণ্ঠাও। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর এক দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা নির্বাচনে আসছে না।    

সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দু'ভাগে বিভক্ত, একপক্ষ আসন্ন নির্বাচনকে বর্জন করে নির্বাচনে না যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে অপর পক্ষ ক্ষমতাসীনদের অধীনে নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছে। রাজনৈতিক দলের ন্যায় বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশ্ব মোড়লরাও দুইভাগে বিভক্ত। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রশ্ন তোলে পশ্চিমা শক্তিধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছে। এরই মধ্যে গণতন্ত্রে বাধা দানকারীদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে দেশটি। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কথা বলছেন অন্যান্য মিত্র দেশসমূহ।

ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী অপর শক্তিধর দেশ ভারতসহ চীন ও রাশিয়া। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাদের এমন তৎপরতাকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলছে চীন ও রাশিয়া। 

দলীয় সরকারের অধীনে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা। ফলে সে নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে আসে বিএনপিসহ বিরোধীরা। এ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন বিএনপির অনেক প্রার্থী। ৭ আসনে জয় পেয়ে সংসদেও যায় বিএনপি। শেষ পর্যন্ত তারাও সংসদ থেকে বের হয়ে এসে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ চেয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির আন্দোলন জোরদারের চেষ্টা করেন।

এমতাবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকিসহ যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিবে তাদের জন্য অগ্রীম ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুশিয়ারি দিচ্ছে পশ্চিমা দেশ সমূহ। বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সরকারি দলের নেতারাসহ খোদ নির্বাচন কমিশনও চিন্তিত।

বিএনপি ও সমমনারা নির্বাচনে না আসায় তাদের ছাড়া কিভাবে অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু দেখানো যায় তা ঠিক করেছে আওয়ামী নীতি নির্ধারকরা। এ জন্য বিএনপি থেকে যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তাদের স্বাগত জানিয়েছে দলটি। এর বাইরে অন্যান্য দলকেও কাছে টানছে সরকার। এছাড়া ভোটের দিন ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে দলের মনোনয়নবঞ্চিতরা ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হলে বাধা দেওয়া হবে না-এমন ইঙ্গিত আসার পর জেলায় জেলায় নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করতে মনোনয়ন জমা দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতারা। এদের মধ্যে মনোনয়ন না পাওয়া বর্তমান সংসদ সদস্য যেমন আছেন, তেমনি আছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অধিকাংশ আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিতরা; অনেক আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী একাধিক।

বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিজের অনুসারীদের নিয়ে প্রকাশ্যে নৌকার মনোনিত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। যদিও তাদেরকে ডামি প্রার্থী বলা হচ্ছে কিন্তু তারা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এতে তৃণমূল আওয়ামী লীগে দল, উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এসব বিরোধ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এর আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করে শাস্তির মুখে পড়েছে অনেকে। সে সময় শাস্তির ভয়ে অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করেনি। এসব নির্বাচনে সারা দেশেই আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। 

এমতাবস্থায় বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। জেলা, উপজেলায় দলীয় শীর্ষ পদে থাকা নৌকা বঞ্চিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে জেলা-উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও ছেড়েছেন। এতে অনুসারীদের নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন আসনের নেতারা।

যেহেতু দলীয় পদে থেকে ডামি প্রার্থী হিসেবে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে বাধা নেই, তেমনি দলীয় পদে থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করতেও দল থেকে বাধা দেওয়া হবে না এমনটাই ভাবছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন আসনে ছাড় না দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন নৌকাবঞ্চিতরা।

ইসি জানায়, দ্বাদশ নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনে ৩০ টি নিবন্ধিত দলের ১৯৬৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছে। এছাড়া অধিকাংশ আসনে মোট স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে ৭৪৭ জন। এদের মধ্যে বর্তমান জেলা-উপজেলা ৫৪ জন চেয়ারম্যান নৌকার বিপক্ষে ভোটে লড়বেন বলে জানা গেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ডামি বলা হলেও মাঠ না ছাড়ার কথা বলছেন অনেকে।  

এমন পরিস্থিতিতে নিজ দলের মধ্যে সহবস্থান বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করাটাই মূখ্য বিষয়।

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনে শুধু প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করলেই পুরো নির্বাচন ‍সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য বলা যাবে না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করেছিল সেটাকে কি গ্রহণযোগ্য বলা হয়েছিল? সেটাও গ্রহণযোগ্য হয়নি। তারা নিজেদের পছন্দের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নিয়ে নির্বাচন করবে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।

তিনি বলেন, নির্বাচনে তারা নিজেরা যেভাবে প্রার্থী হচ্ছে সেখানে একটা সংঘাতের সম্ভাবনা আছে। তবে এটা তাদের কৌশলের অংশ। দ্বন্দ্ব সংঘাত এড়ানোর জন্য তারা কি ব্যবস্থা রেখেছে এটা তারাই বলতে পারবে।

জামালপুর জেলার পাঁচ আসনের মধ্যে বর্তমান এমপিসহ আওয়ামী লীগের ১০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তবে দল থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বলা হলে নমনীয় হওয়ার কথা জানিয়েছেন জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জিয়াউল হক জিয়া। তিনি বলেন, ডামি প্রার্থীর বিষয়টা আমি জানি। আমি সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব। এর আগে উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তিনি।

নরসিংদী জেলার পাঁচ আসনের মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ১৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

নরসিংদী সদর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরুর (বীর প্রতিক) পক্ষে বুধবার এক মতবিনিময় সভায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন বলেছেন, কোন স্বতন্ত্র মতন্ত্র চিনি না, মাইরের ওপর ঔষধ নাই। ছাত্রলীগের কোনো পোলাপান স্বতন্ত্ররে মানতো না। স্বতন্ত্ররে কেমনে পিডাইতে হয় তা জানা আছে। হেরে আমরা এমনেই পিডামু। সদরের কোন এলাকায় তাদেরকে জায়গা দেয়া যাবে না। তারা নৌকার বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী, তারা দেশ বিরোধী।

পরে অবশ্য তার এই বক্তব্যের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ আলী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পৌর মেয়র কামরুজ্জামান।

ফেনী জেলার তিন আসনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১২ জন। ফেনী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য রহিম উল্ল্যাহ বলেন, আমি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়ে সব সময় সুখে-দুঃখে এলাকাবাসীর পাশে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা দিয়েছেন ডামি প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হতে পারলে তিনি পুরস্কৃত করবেন। তিনি বলেই দিয়েছেন দলীয়ভাবে কোন চাপ আসবেনা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে কেউ চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারবে, এতে দল থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। 

নীলফামারী-৩ আসনে গোলাম মোস্তফার বিপরীতে মনোনয়ন নিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সদস্যসচিব মো. রোকনুজ্জামান জুয়েল, জলঢাকা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হুকুম আলী ও জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ শামীম।

গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী প্রয়াত রহমত আলীর কন্যা রুমানা আলী টুসির বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়বেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ। হাজার হাজার নেতাকর্মী এবং অনুসারী নিয়ে গত বুধবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে ১৭ তারিখের মধ্যেই পরিষ্কার হবে। সুনির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া যে কোন জায়গায় ইচ্ছামত দাঁড়িয়ে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে এটি পরিষ্কার করে জানানো হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। তিনি যে নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগের প্রতিটা নেতাকর্মী সে নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। 

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলগতভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, অ্যাকশনের ব্যাপারটা ভিন্ন। আমাদের কৌশলগত দিক আছে। আমাদের নেত্রীর বক্তব্য যেটা উনি গণভবনে দিয়েছিলেন, আমাদের প্রার্থীদের উদ্দেশে। সেখানে আমরা ঢালাওভাবে সবাই ইলেকশন করব বিষয়টা এমন না। দলীয় শৃঙ্খলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৭ তারিখের মধ্যে আমরা বিষয়টা নতুন করে দেখবো। অ্যাডজাস্টমেন্ট, অ্যাকুমুডেশন আমরা দলীয়ভাবে বিষয়টি দেখব।

;

স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হুমকি: জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নরসিংদীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে লক্ষ্য করে তাকে পেটানোর হুমকি দিয়ে নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গের দায়ে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম (রিমন) কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল গেইট থেকে তাকে গ্রেফতারের পর নরসিংদীতে নিয়ে আসা হয়। নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি খোকন চন্দ্র সরকার এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নরসিংদী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম ও পুলিশ সাংবাদিকদের জানান, গত বুধবার দুপুরে নরসিংদী ক্লাব লিমিটেড এর মিলনায়তনে নরসিংদী-১ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (বীর প্রতীক) এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম (রিমন) এর দেয়া বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে পেটানোর হুমকি দেয়া হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-১ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলামের নৌকা প্রতীক বিজয়ের লক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম (রিমন) তার বক্তব্যে বলেন, ‘কোনো স্বতন্ত্র-মতন্ত্র আমরা চিনি না, মাইরের ওপর কোনো ওষুধ নাই। ছাত্রলীগের কোনো পোলাপান স্বতন্ত্ররে মানতো না, নরসিংদী শহরে ও সদরের কোনো এলাকায় তাকে থাকতে দেয়া হবে না।’

ছাত্রলীগ নেতার এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতি আদেশ নং ১৫৫) এর ৭৩ ও ৮৪ (ক) এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ধারা ১১ (ক) এর লঙ্ঘন।

এ ঘটনায় নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের দায়ে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ওমর ফারুক।

মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল গেট থেকে ডিবি পুলিশ হুমকি দেয়া ছাত্রলীগনেতা রিমনকে গ্রেফতার করে।

নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. বদিউল আলম জানান, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এতে কেউ বাধা প্রদান করলে বা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নরসিংদী-১ নির্বাচনী এলাকার নির্বাচনী অনুসন্ধান দলের সদস্য নাহিদুর রহমান নাহিদ ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনকে শোকজ করেন। এতে আইন ভঙ্গের কারণে কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে শোকজ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছেন।

;

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এমপি দিদারুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদারুল আলম

বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদারুল আলম

  • Font increase
  • Font Decrease
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদারুল আলম।
 
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এ ঘোষণা দেন।
 
দিদারুল আলম বলেন, দেশব্যাপী যেভাবে বিভিন্ন সংসদ সদস্যরা স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র নিয়েছিলেন, একইভাবে আমিও প্রতিনিধির মাধ্যমে একটি ফরম নিয়েছি। তবে দলের বৃহত্তর স্বার্থে আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করলাম। দল যাকে নমিনেশন দিয়েছে আমিও তাকে বিজয়ী করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি।
 
সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিনি। দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য, প্রধানমন্ত্রীকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য আমার এ সিদ্ধান্ত।
 
এর আগে, বৃহস্পতিবার দিদারুল আলম চট্টগ্রাম-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেন।
 
এবার এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন।
;

আ.লীগের পক্ষ নেওয়ায় ভারতের সমালোচনা করলেন রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতি ভারত সমর্থন দেয়ায় দেশটির কড়া সমালোচনা করলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। ওই দুই দেশে তো গণতন্ত্র নেই। তারা কমিউনিস্ট শাসিত দেশ। তারা কীভাবে গণতন্ত্রের ছবক দেয়?

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে রিজভী ভারতের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়েন।

গণতান্ত্রিক দেশ হয়েও ভারত কীভাবে বাংলাদেশের সরকারকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে তা বুঝতে পারছেন না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান রিজভী।

ভারতের কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি ভারতীয় সমর্থন বিস্ময়কর ও বেমানান। ভারত সবসময় বাংলাদেশকে ঠকিয়ে আসছে। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের (ভারতের) ন্যায্য পানির হিস্যা নিয়ে কথা বলে, সীমান্ত হত্যা নিয়ে কথা বলে, একচেটিয়া বাণিজ্য নিয়ে কথা বলে। যারা এসবের প্রতিবাদ করে তাদের প্রতি বৈরিভাব, আর যারা এসব বিষয় মেনে নেয় শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের প্রতি ভারত খুশি। এজন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে ভারত চায়, তাদের ক্ষমতায় রেখে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়।’

এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ, অথচ তারা সাপোর্ট করছে বিনা ভোটের একটা সরকারকে। তাদের কাছে গণতন্ত্র কোনো বিষয় না, বিষয় হচ্ছে রাজনৈতিক দল। এই দলের মাধ্যমে মোদি সরকার তার স্বার্থ হাসিল করতে পারছে। ফলে গণভিত্তি হারানো একটি রাজনৈতিক দলকে ভারত সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গোটা বিশ্ব যখন বাংলাদেশের ভোটাধিকার বঞ্চিত, গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে সরব, তখন ১৫ বছর ধরে বিনাভোটে ক্ষমতা দখল করে থাকা শেখ হাসিনার পক্ষে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে রাশিয়া, চীন ও ভারত। রাশিয়া-চীনে তো গণতন্ত্র নেই। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সেই ভারত সরকার সরাসরি কীভাবে একটি অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারের পক্ষে নেয়? তারা মুখে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে আছে বললেও মূলত জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

লোভে পড়ে যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তাদের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, দেশের মানুষ তাদের বেইমান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিভিন্ন দল থেকে ভাড়া করে লোকজন নিয়ে এসে নির্বাচনের যেই ট্রেনে উঠেছেন, সেই ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে দেবে না মুক্তিকামী জনতা। এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।

‘দেশের মানুষের কথা শুনেন, মেনে নিন। না হলে পতন অনিবার্য’ বলেও মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।

;