স্মার্ট বাংলাদেশের জন্যে সুশৃঙ্খল আ. লীগ দরকার: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্যে সুশৃঙ্খল আ. লীগ দরকার: কাদের

স্মার্ট বাংলাদেশের জন্যে সুশৃঙ্খল আ. লীগ দরকার: কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তৃতীয় বার সাধারণ সম্পাদক হয়ে আমার অঙ্গীকার আওয়ামী লীগকে সুশৃঙ্খল করতে হবে, কলহমুক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পরিচয় ব্যবহার করে যারা মাস্তানি করবে, জমি দখল করবে, মাদক ব্যবসা করবে তাদের সঙ্গে কোন আপোষ নেই। তাদের বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াই চলবে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আমাদের সত্যিকারের স্বাধীনতার দিবস। সবাই মুখে আদর্শের কথা বলি। এত নেতা, নেতার ভিড়ে কর্মী চেনা মুশকিল। নেতার ভিড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চ পর্যন্ত ভেঙে যায়। এত নেতার তো দরকার নেই। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্যে স্মার্ট কর্মীবাহিনী দরকার, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্যে সুশৃঙ্খল আওয়ামী লীগ দরকার।

এসময় বিশৃঙ্খল কর্মীবাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, 'এখনও সরলে না এখান থেকে' আমাদের নেতারা মঞ্চে বসেন, বক্তৃতা করতে না পারলে মুখের উপরে শ্রাবণ বর্ষার আকাশে মেঘ এসে পড়ে। মন খারাপ হবে কেন? সবার বক্তৃতা করতে হবে কেন? ভাগ ভাগ করতে হবে। অমুক আমি, অমুক দিন সে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিস্কারভাবে এই কথাগুলো বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক মুখে বলবেন, আর কাজে বঙ্গবন্ধুর আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ড করবে, এই আওয়ামী লীগের প্রয়োজন নেই। মঞ্চে নেতা বসে আছেন, সবাইকে বিশেষণ দিয়ে দিয়ে নাম বলতে হবে কেন? সভাপতি, প্রধান অতিথির কথা বলে বক্তব্য শুরু করতে হবে।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি বেনজির আহমেদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল,সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

   

বিএনপির সমাবেশে ইতিবাচক সাড়া ডিএমপির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপির সমাবেশে ইতিবাচক সাড়া ডিএমপির

বিএনপির সমাবেশে ইতিবাচক সাড়া ডিএমপির

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তবে বিএনপিকে মানতে হবে কিছু শর্ত।

বিএনপি আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে কি-না জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কখনো বাধা দেই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে এটিই স্বাভাবিক। তবে সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সেজন্য আমরা কিছু শর্ত আরোপ করে থাকি। 

খ. মহিদ বলেন, বিএনপিকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি যাতে না হয় সে ব্যাপারে বলা হয়েছে। তাদের সমাবেশের ব্যাপারে ডিএমপি ইতিবাচকভাবে দেখছে।

বিএনপি সমাবেশ করলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারবে না। রাস্তার একপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে। কিছু শর্তসাপেক্ষে বিএনপি কাল সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে বলে জানান তিনি।

;

চট্টগ্রাম কলেজ: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আবারও সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৭জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে কলেজের কাঠালতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হামলার এক পর্যায়ে এক পক্ষ অপরপক্ষকে ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।

আহতদের সবার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের জনি নামের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, কয়েক মাস ধরে কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে অস্থিরতা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমও বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছেন না। মাহমুদুল করিমের পক্ষের বেশিরভাগ নেতাকর্মী এখন সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম মনিরকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন। তবে বিষয়টি সহজে মানতে পারেননি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ। তিনি মনিরকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে আগ্রহী নন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য ধরে রাখা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া লেগে আছে।

তবে জানতে চাইলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির সময় কাগজপত্র জমা দিতে শিক্ষার্থীদের খামের প্রয়োজন হয়। ২০ টাকার সেই খাম ১০০ টাকায় শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করছেন সুভাষ মল্লিক ও তার অনুসারীরা। প্রতিবাদ করায় কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকেও তারা মারধর করেছেন। আমরা বেশি দামে খাম বিক্রির কারণ জানতে চাওয়ায় তারা গায়ে পড়ে বারবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, কলেজের সভাপতি মাহমুদুল করিম দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে নেই। এখন হঠাৎ করে এসে মনিরুল ইসলাম মনির নামের একজন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করে তার সঙ্গে রাজনীতি করতে বলছেন। কিন্তু আমাকে তো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কিংবা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি এরকম কোনো নির্দেশনা দেয়নি। আমার পক্ষে তাই তাকে সঙ্গে নিয়ে কলেজে রাজনীতি করা সম্ভব না। সেজন্য বারবার এসে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

মারামারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সারওয়ার আজম। তিনি বলেন, ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষকেই ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

;

বাংলাদেশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গণতন্ত্র কখনো আসবে, কখনো যাবে। গণতন্ত্র চলে গেলে লড়াই করতে হবে। তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। কিন্তু আগ্রাসন বিরোধী লড়াই করা কঠিন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচা ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত “গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও জাতীয় মর্যাদার প্রতি ভিনদেশী আগ্রাসন” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণ নয়, পাশ্ববর্তী দেশকে খুশি করতে রাজনীতি করে। ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আওয়ামী লীগ সরকারই ভারতের সবচেয়ে নিকৃষ্ট পণ্য। এই সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের বিদেশী পণ্য বর্জন করা উচিত।

গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ের চেয়ে আগ্রাসন বিরোধী লড়াই কঠিন উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হলেও দেশের জনগণ এখনো স্বাধীন নয়।

তিনি বলেন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা ভালো বলতে পারবেন বর্তমানের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ব্যাংকের যে করুন চিত্র কিছুদিন পরে কর্মীদের বেতন দেয়ার টাকা থাকবে না। চেয়ার-টেবল বিক্রি করে তাদেরকে বেতন দিতে হবে। সুতরাং এই ব্যাংক পাড়া যেখানে মানুষের টাকা জমা থাকে সেই ব্যাংক পাড়ার অবস্থা যদি এমন হয়। বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে কি হাসিনা যাবে না? যাবে, যেতেই হবে। ভারত তাকে রাখতে পারবে না।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, আমরা নির্বাচনের আগে শুনেছি আমেরিকা কঠিন পদক্ষেপ নিবে। দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু আমি বলি কেউ আপনার দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দিবে না। আপনাদের নিজেদের দেশে নিজেদেরকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের দেশে আমরা ভারতের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতায় যাবো না। আমরা জনগণের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতায় যাবো।

তিনি বলেন, আমাদের এখন এই সরকারের পতনের পথ কি হবে সেটা বলতে পারি না। তবে এটা বলতে পারি যে দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ এই সরকারের পতন চায়। যে দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ এই সরকারকে চায় না, সে দেশে একদিন না একদিন এই সরকারের পতন হবে এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কর্নেল অবঃ মিয়া মশিউজ্জামান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জমায়াতে ইসলামি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, এবি পার্টির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

;

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান মেরি ট্রেভেলিয়ান বৈঠক করেছেন। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেন।

ঢাকায় যুক্তরাজ্য হাইকমিশনারের বাসভবনে বুধবার (৮ মে) বিকেল সোয়া তিনটা থেকে শুরু হয়ে পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, গতকাল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকও অংশ নেয়।

বিএনপির নেতাদের মধ্যে বৈঠকে অংশ নেন সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি সদস্য শামা ওবায়েদ এবং বিএনপি মানবাধিকার সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ।

;