আমাদের গণতন্ত্র আমরাই চালাবো, কারও ফরমায়েশে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন ব্যবস্থায় বিদেশিদের কোন ফরমায়েশে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “পর্যবেক্ষক হিসেবে আসতে পারেন, কোন বাধা নেই।”

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ কমিটির উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ওবাযদুল কাদের বলেন, “গণতন্ত্রের বস্ত্র হরণ কারীদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই। এই দেশে গণতন্ত্রের যা কিছু অর্জন, সবই কিন্তু আমাদের। পঁচাত্তর পরবর্তীতে শৃঙ্খলিত গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করার অগ্রভাগে ছিলেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে গণতন্ত্র শৃঙ্খল মুক্ত হয়েছে।

“আমরা বলতে চাই এই গণতন্ত্র একটা বিকাশমান প্রক্রিয়া, সময় পরিবর্তন যতই আসবে আমরা শত বাধা বিপত্তির মাঝে আমাদের নেত্রী গণতন্ত্র বিকাশমানে আপ্রাণ চেষ্টা করবে।”

নির্বাচন ব্যবস্থায় বিদেশিদের কোন ফরমায়েশে বাংলাদেশের গণতন্ত্রে চলবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে বিদেশিরাও কিছু বলেন নি। কারণ, তাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক নেই। বাংলাদেশে অহেতুক কেন তত্ত্বাবধায়কের নামে বিএনপির চক্রান্ত মূলক রাজনীতি? আসলে বিএনপি সরকারের উন্নয়ন অর্জনে হেরে যাবে, তারা আজকে দিশেহারা। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে সেই বিদেশিরাও বিএনপির পক্ষে কিছুই বলে না।

“সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র এসেও তাদের সঙ্গে বৈঠক হয় নি। তারা যার সঙ্গে ইচ্ছা বৈঠক করুক। কিন্তু আমাদের এখানের গণতন্ত্র আমরাই চালাবো। কারও ফরমায়েসে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে না। আমরা নির্বাচন করি, কেমন নির্বাচন করি পর্যবেক্ষক হিসেবে শেখ হাসিনা স্বাগত জানিয়েছে। সে আমেরিকা থেকে আসুক, ইউরোপ থেকে আসুক, যেখান থেকে ইচ্ছা পর্যবেক্ষক আসুক এখানে কোন বাধা নেই। এখানে কারও জন্য কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা ষড়যন্ত্র করি না কিন্তু ষড়যন্ত্রের শিকার হই। আমরা হত্যার রাজনীতি বিশ্বাস করি না কিন্তু আমরা বারে বারে হত্যার শিকার হই। এটা হলো বাংলাদেশের বাস্তবতা।

বিএনপির ঘরেই গণতন্ত্র নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজকে বিএনপি কখন যে কি বলে নিজেদের ঘরটাতে তাদের গণতন্ত্র নেই। ফখরুল সাহেব নিজেরও হয়তো মনে নেই কবে তার সম্মেলন হয়েছে। আমি তিন তিনবার সম্মেলন করে সাধারণ সম্পাদক হয়ে গেলাম, কিন্তু বিএনপি? ঢাকা থেকে তৃণমূলে, আমাদের কয়েক হাজার সম্মেলন হয়ে গেছে, কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ড ইউনিট পর্যন্ত। অথচ তাদের নির্বাচিত কোন প্রতিনিধি নেই। সেই সুযোগ তাদের দলে নেই, সহযোগিদের সম্মেলন নেই, ঘরে বসে কমিটি দিচ্ছে।

“এই দল আবার আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্র শেখাতে আসে। ফখরুল সাহেবদের লজ্জা পাওয়া উচিৎ। তাদের আমলেই গণতন্ত্রের উপর আঘাত এসেছে সবচেয়ে বেশি। তাদের আমলে প্রহশন মূলন ১৫ ফেব্রুয়ারি মাগুরা মার্কা নির্বাচন , হাঁ/না ভোট। যেখানে হাঁ ভোটের পার্সেন্টেজ ১১৪ পার্সেন্টও হয়েছে। জিয়াউর রহমমানের হাঁ/ না ভোট। তাদের আমলে ভোট চুরির রেকর্ড হয়েছে, সকাল এগারোটার মধ্যে ভোট শেষ, তাদের আমেলে ১ কেটি ২৩ লাখ ভোয়া ভোটার হয়েছে, যে জন্য ওয়ান ইলেভেন হয়েছে, এটা অন্যতম কারণ।”

আওয়ামী লীগের গঠিত উপ কমিটিতে সর্বোচ্চ এক শত জন রাখার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমি আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে উপ কমিটির চেয়ারম্যন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করণে সেই প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করবো।

“উপকমিটি গঠনে, খুব বড় কমিটি করলে বসতেও সমস্যা হয়। এটা একশত জনের মধ্যে রাখলে ভালো হয়। সর্বাধিক এক শত জনের মধ্যে, ৯১ বা ১০১ সর্বাধিক রাখতে হবে। আমাদের তিন চারশত কর্মী বছরে পার্টি অফিসে ঘুরছে। কাজেই উপ কমিটিটা সান্ত্বনা। ওরা যাবে কোথায়, একটা পরিচয় না থাকলে যাবে কোথায়।”

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু বক্তব্য রাখেন।

   

ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দোয়া মাহফিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করেছে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) বাদ আছর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু'র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু'র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল আলীম বেপারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইসহাক মিয়া, দক্ষিণ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান রানা প্রমুখ।

;

বিএনপির সমাবেশে ইতিবাচক সাড়া ডিএমপির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপির সমাবেশে ইতিবাচক সাড়া ডিএমপির

বিএনপির সমাবেশে ইতিবাচক সাড়া ডিএমপির

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তবে বিএনপিকে মানতে হবে কিছু শর্ত।

বিএনপি আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে কি-না জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কখনো বাধা দেই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে এটিই স্বাভাবিক। তবে সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সেজন্য আমরা কিছু শর্ত আরোপ করে থাকি। 

খ. মহিদ বলেন, বিএনপিকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি যাতে না হয় সে ব্যাপারে বলা হয়েছে। তাদের সমাবেশের ব্যাপারে ডিএমপি ইতিবাচকভাবে দেখছে।

বিএনপি সমাবেশ করলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারবে না। রাস্তার একপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে। কিছু শর্তসাপেক্ষে বিএনপি কাল সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে বলে জানান তিনি।

;

চট্টগ্রাম কলেজ: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আবারও সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৭জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে কলেজের কাঠালতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হামলার এক পর্যায়ে এক পক্ষ অপরপক্ষকে ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।

আহতদের সবার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের জনি নামের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, কয়েক মাস ধরে কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে অস্থিরতা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমও বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছেন না। মাহমুদুল করিমের পক্ষের বেশিরভাগ নেতাকর্মী এখন সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম মনিরকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন। তবে বিষয়টি সহজে মানতে পারেননি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ। তিনি মনিরকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে আগ্রহী নন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য ধরে রাখা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া লেগে আছে।

তবে জানতে চাইলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির সময় কাগজপত্র জমা দিতে শিক্ষার্থীদের খামের প্রয়োজন হয়। ২০ টাকার সেই খাম ১০০ টাকায় শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করছেন সুভাষ মল্লিক ও তার অনুসারীরা। প্রতিবাদ করায় কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকেও তারা মারধর করেছেন। আমরা বেশি দামে খাম বিক্রির কারণ জানতে চাওয়ায় তারা গায়ে পড়ে বারবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, কলেজের সভাপতি মাহমুদুল করিম দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে নেই। এখন হঠাৎ করে এসে মনিরুল ইসলাম মনির নামের একজন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করে তার সঙ্গে রাজনীতি করতে বলছেন। কিন্তু আমাকে তো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কিংবা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি এরকম কোনো নির্দেশনা দেয়নি। আমার পক্ষে তাই তাকে সঙ্গে নিয়ে কলেজে রাজনীতি করা সম্ভব না। সেজন্য বারবার এসে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

মারামারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সারওয়ার আজম। তিনি বলেন, ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষকেই ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

;

বাংলাদেশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গণতন্ত্র কখনো আসবে, কখনো যাবে। গণতন্ত্র চলে গেলে লড়াই করতে হবে। তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। কিন্তু আগ্রাসন বিরোধী লড়াই করা কঠিন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচা ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত “গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও জাতীয় মর্যাদার প্রতি ভিনদেশী আগ্রাসন” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণ নয়, পাশ্ববর্তী দেশকে খুশি করতে রাজনীতি করে। ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আওয়ামী লীগ সরকারই ভারতের সবচেয়ে নিকৃষ্ট পণ্য। এই সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের বিদেশী পণ্য বর্জন করা উচিত।

গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ের চেয়ে আগ্রাসন বিরোধী লড়াই কঠিন উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হলেও দেশের জনগণ এখনো স্বাধীন নয়।

তিনি বলেন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা ভালো বলতে পারবেন বর্তমানের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ব্যাংকের যে করুন চিত্র কিছুদিন পরে কর্মীদের বেতন দেয়ার টাকা থাকবে না। চেয়ার-টেবল বিক্রি করে তাদেরকে বেতন দিতে হবে। সুতরাং এই ব্যাংক পাড়া যেখানে মানুষের টাকা জমা থাকে সেই ব্যাংক পাড়ার অবস্থা যদি এমন হয়। বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে কি হাসিনা যাবে না? যাবে, যেতেই হবে। ভারত তাকে রাখতে পারবে না।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, আমরা নির্বাচনের আগে শুনেছি আমেরিকা কঠিন পদক্ষেপ নিবে। দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু আমি বলি কেউ আপনার দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দিবে না। আপনাদের নিজেদের দেশে নিজেদেরকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের দেশে আমরা ভারতের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতায় যাবো না। আমরা জনগণের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতায় যাবো।

তিনি বলেন, আমাদের এখন এই সরকারের পতনের পথ কি হবে সেটা বলতে পারি না। তবে এটা বলতে পারি যে দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ এই সরকারের পতন চায়। যে দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ এই সরকারকে চায় না, সে দেশে একদিন না একদিন এই সরকারের পতন হবে এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কর্নেল অবঃ মিয়া মশিউজ্জামান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জমায়াতে ইসলামি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, এবি পার্টির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

;