ভুলকে ক্ষমা করা যায় অপরাধকে নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রথম আলোর অপসাংবাদিকতার প্রসঙ্গে বলেছেন, ভুলকে ক্ষমা করা যায় অপরাধকে নয়।

রোববার (২ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও গ্রন্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।

কাদের বলেন, গণমাধ্যমের যে ঘটনা ঘটেছে এমন ঘটনা ঘটলে বিশ্বের যেকোন দেশে সে গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করা হতো। অপসাংবাদিকতার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশে লাইসেন্স বাতিল করা হয় কিন্তু শেখ হাসিনা করেনি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবসে একটি শিশু বাচ্চাকে নিয়ে যে ধরনের জঘন্য অপরাধ করা হয়েছে সেটার জন্য শাস্তি পাওয়া উচিত। কিছু লোক বলে সাংবাদিকদের ভয় দেখাতে সরকার মামলা করেছে, অথচ সরকার মামলা কিংবা গ্রেফতার সরকার করেনি।

তিনি আরও বলেন, এদেশের অসংখ্য সাংবাদিক হত্যা করেছে বিএনপি। সাংবাদিকদের স্বাধীনতার জন্য আওয়ামী লীগই লড়াই করেছে। যারা নিজেরাই সাংবাদিকতা করেছেন তারা নিজেরাই সাংবাদিকের স্বাধীনতার জন্য মায়াকান্না করে। সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ডসহ সকল সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করেছে শেখ হাসিনা সরকার। সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

তিনি জানান, প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই কিছু কিছু পত্রিকা দেখা যায়, সরকার বিরোধী ও সরকার সমালোচিত সংবাদ তবুও বলে স্বাধীনতা নেই।

তিনি আরও জানান, ব্লুমবার্গের মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও শেখ হাসিনার প্রশংসা করে অথচ বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যম শেখ হাসিনার সমালোচনা করে অনলাইন গুলো কি কি কাজ করে তবুও নাকি স্বাধীনতা নেই।

তিনি জানান, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ শেখ হাসিনার প্রশংসা করে অথচ বাংলাদেশের কিছু মানুষ প্রশংসা করতে জানেনা, জানে সমালোচনা ও গালি দিতে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলার ইতিহাস একদিকে বীরত্বের অন্যদিকে বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস। জিয়াউর রহমানের বিশ্বাসঘাতকতার মধ্য দিয়ে ইতিহাসের কলঙ্ক রচনা হয়। ১৫ আগস্টের বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের উৎসাহদাতা ও মাস্টার মাইন্ড জিয়া। খুনিদের পুরস্কৃত করেছে জিয়া।

তিনি আরও বলেন, ইনডেমনিটি আইনের স্বীকৃতি কেনো দেয়া হয়েছে?? এমন প্রশ্নের জবাব বিএনপি দিতে পারেনি, পারবেও না। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, জয় বাংলাকে নির্বাসনে পাঠানোসহ ৭ মার্চ ভাষণ বন্ধ করেছে জিয়া।

তিনি বলেন, ইতিহাসের অবাঞ্চিত সত্য নিয়ে আমাদেরও আবিষ্টতা আছে। ২১ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড জিয়ারই বংশধর। আজো দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদাকে মানবিকতা দেখিয়ে বাসায় থাকতে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের জন্য বিএনপির সাথেও আমরা বৈঠক করেছি। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ কারণ তারা নিজেদের নেত্রীকেই মুক্ত করতে পারে না। দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক হরহামেশাই অনলাইনে মিটিং করছে তবুও বলে স্বাধীনতা নেই।

ফখরুল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আবারো গণঅভ্যুত্থানের হুঙ্কার ছেড়েছে, অথচ তাদের গণঅভ্যুত্থানে ৫০০ থেকে ৭০০ লোকের উপস্থিতি এটাই না কি অভ্যুত্থান? ফখরুল এখনও গণঅভ্যুত্থান আন্দোলন নামে দিবা স্বপ্ন দেখছে। যতই আন্দোলনের স্বপ্ন দেখুন জনগণ আপনাদের সাথে নেই। যে আন্দোলনে জনগণ থাকেনা সে আন্দোলন কখনো গণঅভ্যুত্থান হতে পারেনা। বিএনপির আন্দোলনে জনগণ তো দূরে থাক নেতাকর্মীদের সংখ্যাও কমছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে, নির্বাচন যখনই হোক বিএনপির ভরাডুবি নিশ্চিত। লন্ডনের পরিকল্পনা আর সফল হবে না।

সংলাপ নিয়ে আশার প্রদীপ এখনও নিভে যায়নি: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আশার প্রদীপ এখনো নিভে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (৯ জুন) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপ হবে কিনা তা ভবিষ্যতই বলে দিবে। তবে এখনই সংলাপ নিয়ে ভাবা হচ্ছে না।

বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা বারবার একই কথা বলে— বিগত নির্বাচনেও তারা বারবার একই কথা বলেছে। তারা পানি ঘোলা করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসেনি। এবার কী হবে জানি না।

বিএনপি নেগেটিভ মনোভাব পোষণ করছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়। এই তিনটি না হলে তারা নির্বাচনে আসবে না। আমরা বলছি- এই তিনটি বিষয়ে কোন কারণে? প্রধানমন্ত্রী কেন পদত্যাগ করবেন? কোন কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে?

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) বারবার বলছে, আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়েছে। এটি বাদ দিয়েছে উচ্চ আদালত, আওয়ামী লীগ নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটা ডেড (মৃত) ইস্যু। এটাকে নতুন করে জীবিত করবো কেন? আমাদের এটার কোনও প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হলে বাংলাদেশে কেন হবে না? আমাদের সংবিধান আছে। আর প্রধানমন্ত্রী কী কারণে পদত্যাগ করবেন? সংসদের সদস্যরা কী তাকে চান না? পার্লামেন্টে যদি তিনি মেজরিটি হারান তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। এ ছাড়া অন্য কোনও কারণ নেই।

নির্বাচনে না এসে বিএনপির ‘আগুন সন্ত্রাসের তৎপরতা ও নির্বাচনে বাধা’ দেওয়ার ইচ্ছা থাকতে পারে উল্লেখ সরকার দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা আওয়ামী লীগের জন্য নিষেধাজ্ঞা আনতে গিয়ে নিজেরাই মার্কিন ভিসানীতির ফাঁদে পড়েছে। আগুন সন্ত্রাস, নির্বাচনে বাধা দেওয়া, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ওই নিয়মনীতির আওতায় পড়ে। এটা শোনার পর তাদের মুখ শুকিয়ে গেছে, যদিও তারা মুখে বলছে না।

;

ঢাকা-১৭: আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন আরাফাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত (মোহাম্মদ এ আরাফাত)।

শুক্রবার (৯ জুন) রাতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সভাপতিত্বে করেন বোর্ড সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মনোনয়ন বোর্ডের সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ফারুক খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ,দীপু মণি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপসহ অন্যান্যরা।

ঢাকা-১৭ আসন একটি অভিজাত এলাকা। গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত হওয়ার এই আসনটি আলাদা একটা গুরুত্ব বহন করে। এই আসনে কে পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা ছিল নেতাকর্মীদের মনে। অবশেষে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাতের উপরই আস্থা রাখল আওয়ামী লীগ।

এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ২২ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নিজ দলের নেতা ছাড়াও ব্যবসায়ী এবং চলচ্চিত্র জগতের ব্যক্তিরাও ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ১৭ জুলাই। কাগজের ব্যালটে হবে ভোট।

গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

;

ছাত্রদলের কমিটির প্রতিবাদে বিক্ষোভ, নেতাদের বাড়িতে হামলা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছাত্রদলের কমিটির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছাত্রদলের কমিটির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তিন নেতার বাড়িতে হামলা করেছে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার (৯ জুন) দুপুরে জেলা শহরের কান্দিপাড়ায় জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আবু শামীম মো. আরিফ (ভিপি শামীম) এর বাড়িতে হামলা করে পদবঞ্চিত বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। একই দিন বিকেলে কান্দিপাড়ায় জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহবায়ক শাহীনুর ইসলাম শাহীন ওরফে ইব্রাহিম হোসেন শাহীন ও কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক কাউসার কাউন্সিলরের বাসভবনে হামলা করে তারা। এর আগে, বিকেলে পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মী কর্মীরা জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আহবায়ক শাহীনুর রহমান ও সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তীকে করা হয়। নবগঠিত কমিটির আহবায়ক শাহীন, সদস্য সচিব সমীর, যুগ্ম আহবায়ক এলভীন লস্কর ও আব্দুল গাফফার রিমন (শুক্রবার) সকালে জেলা কৃষকদলের আহবায়ক আবু শামীম মো. ভিপি শামিমের কান্দিপাড়ার বাসায় যান। সেখানে সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্যদের শুভেচ্ছা দেওয়া হচ্ছে বলে জানতে পারেন পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। জেলা ছাত্রদলের বিদায়ী কমিটির আহবায়ক রুবেল চৌধুরী, সদস্য সচিব মহসিন মিয়া ও যুগ্ম আহবায়ক সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা কৃষক দলের আহ্বায়কের কান্দিপাড়ার বাড়িতে দা ও লাটিশোটা নিয়ে হামলা হামলা চালায়। এসময় আবু শামীমের বাড়ির পেছন দিয়ে সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্যরা পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও যুবদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের বুঝালে ছাত্রদলের বিদায়ী কমিটির সদস্যরা সেখানে থেকে চলে আসেন।

এরপর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা শহরের টিএ রোড ও পাওয়ার হাউস রোডে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে তারা কান্দিপাড়ায় জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহবায়ক শাহীনুর রহমান ও কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক কাউসার কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর চালায়। এসময় ভাঙচুর করা হয় ঘরের দরজস জানালা, গেইট ও একটি মোটরসাইকেল। তবে এসময় শাহীনুর রহমানের বাড়িতে কেউ ছিল না।

এ বিষয়ে জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আবু শামীম মো. আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, কান্দিপাড়ার দক্ষিণ দিকের পুকুর পাড় থেকে একদল ছেলে এসে আমার বাড়ির ফটকে হামলা চালায়। তারা ফটক ভাঙার চেষ্টা করেন। তারা কেন এমন করল বুঝতে পারছি না।

এই বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক আহবায়ক ফুজায়েল চৌধুরী বলেন, যারা দীর্ঘদিন সরকার বিরোধী আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন এবং হয়রানিমূলক মামলা খেয়েছেন তাদেরকে বাদ দিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কবির আহমেদের অনুসারীদের দিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে। কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে। যে নিজের নাম একেক জায়গায় একেক নাম ব্যবহার করেন। অথচ মাঠের কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। তাই পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করেছে।

জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, কান্দিপাড়ার বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলার বিষয়ে জানতে পেরেছি। এগুলো তাদের রাজনৈতিক অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এসব বিষয়ে তারা আমাদের সহযোগিতা চায়নি।

;

লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ১৩ ও ১৬ জুন মহানগরে বিএনপির রোডমার্চ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান লোডশেডিংয়ের বিরুদ্ধে সারাদেশে দলের প্রতিবাদ জানানোর পর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে রাজধানীসহ দেশের মহানগরগুলোতে রোডমার্চ করবে বিএনপি।

শুক্রবার (৯ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটিসহ বিএনপির সব মহানগর ইউনিট ১৩ জুন মিছিল করবে এবং ১৬ জুন দলের ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিট একই কর্মসূচি পালন করবে।

রাজধানীতে দলের ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিটগুলো মহাখালী বাসস্টেশন থেকে সোনারগাঁও মোড়ের সার্ক ফাউন্টেন অভিমুখে মিছিল করবে এবং ১৩ জুন দুপুর আড়াইটায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা রোড থেকে রায় সাহেব বাজার মোড়ের দিকে মিছিল করবে।

এছাড়া ১৬ জুন দুপুর আড়াইটায় বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা পল্লবী সিটি ক্লাব থেকে আগারগাঁও তালতলা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট আজিমপুরের স্যার সলিমুল্লাহ এতিমখানা থেকে আরমানি টোলা মাঠের দিকে যাত্রা করবে ১৬ জুন দুপুর আড়াইটায়।

রিজভী বলেন, ছয়-সাত ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে আছে। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ। তাই বিদ্যুৎ খাতে অসহনীয় লোডশেডিং ও ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণ পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছি।

তিনি বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।

পাবনা, ফেনী ও ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বৃহস্পতিবারের অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি জমা দিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা । আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

গত বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিদ্যুৎ বিভাগের সব জেলা কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবং বিদ্যুৎ খাতে চলমান লোডশেডিং ও 'দুর্নীতির' প্রতিবাদে স্মারকলিপি পেশ করে বিএনপি।

;