পাঁচ সিটিতে নৌকার মাঝি কারা, জানা যাবে আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা আজ শনিবার। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভায় নির্ধারণ করা হবে গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারা হচ্ছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে এই সভা।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৫ মে। খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ১২ জুন এবং রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোট হবে ২১ জুন। এসব ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

জানা গেছে, পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি গাজীপুরে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ১৭ জন।

আগ্রহী প্রার্থীর সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে সিলেট। ১০ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনে মেয়র পদের জন্য। বরিশাল সিটি করপোরেশন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ ৭ জন মেয়র পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। খুলনা সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকসহ ৪ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।

রাজশাহীতে আগ্রহী প্রার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে কম। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামানসহ তিনজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

গাজীপুর সিটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-

১. মতিউর রহমান, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ।
২. মো. কামরুল আহসান সরকার, আহ্বায়ক, গাজীপুর মহানগর যুবলীগ।
৩. মো. মেজবাহ উদ্দিন সরকার, সদস্য, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ।
৪. মো. সাইফুল, যুগ্ম আহ্বায়ক, গাজীপুর মহানগর যুবলীগ।
৫. কাজী ইলিয়াস আহম্মেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ।
৬. আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সদস্য, বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটি, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।
৭. আসাদুর রহমান, সাবেক সহসভাপতি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ।
৮. মো. আবদুল আলীম মোল্লা, সাবেক সদস্য, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ।
৯. মো. আশরাফুজ্জামান, সাবেক সদস্য, শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটি আওয়ামী লীগ।
১০. মো. আজমত উল্লা খান, সভাপতি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ।
১১. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ।
১২. রিয়াজ মাহমুদ, সাবেক উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ।
১৩. মো. আজহারুল ইসলাম, সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ।
১৪. এস এম আশরাফুল আলম, সাবেক শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ।
১৫. মো. আবদুল কাদের, সাবেক সভাপতি, গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।
১৬. মো. হারুন অর রশিদ, প্রাথমিক সদস্য, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ।
১৭. মো. রুহুল আমীন মণ্ডল, সদস্য, আওয়ামী যুবলীগ।

সিলেট সিটিতে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন যারা

১. মো. জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ।
২. আরমান আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ।
৩. মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ।
৪. আসাদ উদ্দিন আহমদ, সহসভাপতি, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ।
৫. মো. আজাদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ।
৬. এ টি এম এ হাসান জেবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ।
৭. মো. মাহি উদ্দিন আহমদ, সদস্য ৭ নম্বর ওয়ার্ড মহানগর আওয়ামী লীগ।
৮. আবদুল খালিক, সহসভাপতি, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ।
৯. মো. মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, আওয়ামী লীগ।
১০. ছালেহ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ।

বরিশালে মনোনয়ন চান যারা

১. মাহমুদুল হক খান, যুগ্ম আহবায়ক, বরিশাল যুবলীগ।
২. আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, সদস্য, আওয়ামী যুবলীগ।
৩. মো. জসিম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি, বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ।
৪. মো. মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক, বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
৫. সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বর্তমান মেয়র, সাধারণ সম্পাদক, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ।
৬. মো. মঈন তুষার, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্রলীগ।
৭. মীর আমিন উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ।

খুলনা সিটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা

১. তালুকদার আবদুল খালেক, বর্তমান মেয়র, সভাপতি, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ।
২. রুনু রেমা, সদস্য, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ।
৩. মো. আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ।
৪. মো. সাইফুল ইসলাম, সভাপতি, খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ।

রাজশাহী সিটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা

১. এ এইচ এম খায়রুজ্জামান, বর্তমান মেয়র, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
২. মো. মাহফুজুল আলম, সহসভাপতি, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ।
৩. মো. ডাবলু সরকার, সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ।

গত ৯ এপ্রিল থেকে বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকাল ৫টা পর্যন্ত পাঁচ সিটি করপোরেশন ও পাঁচ পৌরসভার মেয়র এবং তিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। এসব আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আজ শনিবার মনোনয়ন বোর্ডের সভা বসছে।

   

বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের এই বিজয় গুরুত্বপূর্ণ: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

মঙ্গলবার (০৭ মে) এক অভিনন্দন বার্তায় খেলোয়াড়দের পাশাপাশি ক্রিকেট কোচ ও বোর্ড সংশ্লিষ্টদেরও অভিনন্দন জানান তিনি।

অভিনন্দন বার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের এই বিজয় গুরুত্বপূর্ণ। এই বিজয় টাইগারদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে।

আগামী ম্যাচগুলোতেও বিজয়ের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকবে। এই সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইট ওয়াশ করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে একইভাবে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

;

ডামি প্রতারণার নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি প্রতারণার নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই। আওয়ামী নেতাদের কথায় জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। আগামীকাল যে ১৪১টি উপজেলায় জালিয়াতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, জনগণ সেই নির্বাচনে যাবে না।

মঙ্গলবার (৬ মে) তিনি বনানী এলাকায় মহিলা দলের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের পক্ষে লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে জনগণের সম্পদ লুটপাট করতেই বার বার ডামি ও প্রহসনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে সরকার। আজকেও গণমাধ্যমে দেখলাম ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার কথা। এক একজন উপজেলা চেয়ারম্যান শত বিঘা সম্পদের মালিক। তাদের আয় বেড়েছে ১২শ থেকে ১৮শ গুণ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ, বিএনপির সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সদস্য রেহানা সুলতানা আরজু, পান্না ইয়াসমিন, জান্নাত চৌধুরী, পাপিয়া সরদার, সুমি আক্তার প্রমুখ।

;

বিএনপির স্থগিত সমাবেশের তারিখ ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহের কারণে স্থগিত সমাবেশের তারিখ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।  শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে স্থগিত সমাবেশ আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

সোমবার (৬ মে) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ মে নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনায় থাকবেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

;

সিলেটে দলীয় সিদ্ধান্তকে পাত্তা দিচ্ছেন না বিএনপি নেতাকর্মীরা



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় কঠোর সতর্কবার্তা ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্বাচনে লড়তে অনড় রয়েছেন সিলেটের বিএনপির নেতারা। নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেওয়া সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার ২৪ জন প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় এমন গণবহিষ্কার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে কতটা সফল হবে এ নিয়ে চলছে আলোচনা।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না দল। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বারবার নেতাকর্মীদের কঠোর সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। যারা তাদের দলীয় নিয়ম-নীতি মানবেন না তাদের তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা।

কিন্তু দলের হাইকমান্ডের এমন নির্দেশনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি-দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে কর্মী-সমর্থকদের চাপে পড়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। দলের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান জানান।

জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেটের চারটি উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, গোলাপগঞ্জ ও বিশ্বনাথ। মৌলভীবাজারের তিনটি; সুনামগঞ্জের দুটি; হবিগঞ্জের দুটি উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও জেলাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় সবকটি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতারা। তবে কোনো প্রতীক না থাকায় সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে বিএনপির নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ২৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

সিলেট জেলায় বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেবুল মিয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রব, বিশ্বনাথ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ কাওছার খান, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক স্বপ্না বেগম, সিলেট জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম স্বপন, সিলেট জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পলিনা রহমান ও ফতেহপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ছাদ উদ্দিন সাদ্দাম।

সুনামগঞ্জে বহিষ্কৃতরা হলেন, দিরাই উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি গণেন্দ্র চন্দ্র দাস, সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি ও দিরাই উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছবি চৌধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য হারুনুর রমিদ দুলাল, বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহন মিয়া বাচ্চু, সুনামগঞ্জ মহিলা দলের সাবেক আহ্বায়ক মদিনা আক্তার, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নূরুল হক আফিন্দি ও জামালগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মৌলভীবাজরে বহিষ্কৃতরা হলেন, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হেকিম, মৌলভীবাজার মহিলা দলের সহ-সভাপতি মোসা.ডলি বেগম, বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রাহেলা বেগম।

হবিগঞ্জে বহিষ্কৃতরা হলেন, বাহুবল উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মোসা. আলফা বেগম, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান সেফু ও নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আলিম ইয়াছিন।

বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গৌছ খান বলেন, কর্মী সমর্থক ও স্থানীয় মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। দল আমাকে বহিষ্কার করেছে এই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাই। তবে আশা করি নির্বাচন পরবর্তীতে আমাদের উপর থেকে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হবে।

মৌলভীবাজার জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হেকিম (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) বলেন, ঘরে বসে গণন্ত্র হয় না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা গণতন্ত্রের অধিকার। আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে। তারা আমাকে বলেছিলেন যে যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন তাদের বেলায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। কিন্তু ছোটখাটো পদধারীদের বাধা হবে না। তাদের আশ্বাস প্রার্থী হয়েছি।

তিনি বলেন, প্রার্থী হওয়ার ফলে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিয়মের সুযোগ হয়েছে। যদি নির্বাচনে অংশ না গ্রহণ করতাম তাহলে এই সুযোগটাও পেতাম না। আশা করি নির্বাচন পরবর্তীতে দল আবারো আমাদেরকে তাদের কাছে ফিরিয়ে নেবে। যদি নাও নেয় বিএনপি আমার হৃদয়ে থাকবে।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, কঠোর সতর্কবার্তা ও বারবার নিষেধজ্ঞার পরও দলের সিদ্ধান্ত না মেনে যারাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাদের বহিষ্কার করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত দলের নেতা–কর্মীদের বলা হয়েছিল যাতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন তাদের সঙ্গে আর দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি বলেন, শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে যে তা কিন্তু নয়। যারা তাদের পক্ষে মাঠে কাজ করবেন অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামীতে আর যারাই প্রার্থী হবেন তাদের বেলায়ও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;