আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি বললেন জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করে বৈষম্য করেছে। তাই, আওয়ামী লীগ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।

রোববার (১৮ জুন) মুন্সিগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেস চত্বরে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জিএম কাদের এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আর অমুক্তিযোদ্ধা ইস্যুতেও বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। এখন কয়েক লাখ মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মকে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কেউ কেউ শিশু ছিলো তাদের আওয়ামী লীগ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দলে টানতে চাচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষদের থেকে তাদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আলাদা করতে চাচ্ছে। এই বিভাজনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়নি। বিভাজন আর বৈষম্যের বিরুদ্ধেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপক্ষে কিছু মানুষ ছিলো, তাদের অনেই মারা গেছেন, অনেকের ফাঁসি হয়েছে। এখন নতুন প্রজন্মের মাঝে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ ধুয়া তুলে বিভাজন কেন?

সরকার ঐক্যবদ্ধ জাতিকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভক্ত করেছে। আওয়মী লীগ হলে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি মিলবে। আওয়ামী লীগ না হলে তাদের জন্য কিছুই নেই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ আর মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি নামেও বিভাজন চলছে। দেশের মানুষ হাজার বছর ধরে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। মুক্তির জন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে, সেই সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে। স্বাধীনতা পেলেও আমরা মুক্তি পাইনি।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে দেশে আওয়মী লীগ প্লাস তন্ত্র চলছে। যেখানে আওয়ামী লীগের সাথে পুলিশ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, সংসদ ও কর্ম কমিশন সহ সবাই অন্তুর্ভক্ত। তাদের মধ্য থেকে বেছে বেছে দলীয় কর্মী বানিয়েছে। পুলিশ বলে আমাদের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী কীভাবে পুলিশের প্রার্থী হয়? এইভাবে সবাই মিলে দেশে আওয়ামী লীগ প্লাসতন্ত্র চালু করেছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানে জনগণের তন্ত্র আর রাজতন্ত্র মানে রাজার তন্ত্র। গণতন্ত্র হচ্ছে জনগনের জন্য জনগণ সরকার তৈরি করবে। যারা জনগণের কল্যাণে কাজ করবে। এখন আওয়ামী লীগ প্লাস তন্ত্র চলছে। তারা আওয়ামী লীগ প্লাস তন্ত্রের জন্য সরকার তৈরি করে, আওয়ামী লীগ প্লাসের স্বার্থ রক্ষায় তারা কাজ করছে। আওয়ামী লীগ প্লাস তন্ত্র চালু করে দেশের মানুষকে বঞ্চিত করছে। আওয়ামী লীগ প্লাসতন্ত্র হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পরিপন্থি। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পক্ষের হতে পারে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পরিপন্থি। হাজার বছর ধরে দেশের মানুষ বৈষম্য ও স্বৈরতন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে মুক্তি সংগ্রাম করে আসছে। আমরা অত্যাচার ও নিপিড়ন থেকে মুক্তি চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই মুক্তি আমরা পাইনি। কোন ভালো কাজই সহজভাবে সম্পন্ন হয় না। ভালো কাজের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে আমরা যেকোন ত্যাগ স্বীকার করবো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদের কিনারায়, যে কোন সময় ধংস হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ। সরকারের কাছে রিজার্ভ নেই, রিজার্ভের যে হিসাব সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি ঋণ করা হয়ছে। তার সুদ ও আসল পরিষোধ করলে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। এখন ধার করে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার পূরণ করা হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ থেকে কিছু টাকা পাওয়া যাবে বলে সরকার এখনো বেঁচে আছে। সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে, দেশীয় মুদ্রাও সরকারের হাতে নেই। দেশের ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ব্যাক্তির হাতে দেয়া হয়েছে। তারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে লক্ষ-লক্ষ কোটি বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। দেশের বাংকে কোন টাকা নেই, সরকার সাধারণ মানুষের গলায় গামছা লাগিয়েও কর আদায় করতে পারছে না। চাকরিজীবীরা বেতন দিয়ে আগের তুলনায় অর্ধেকের কম বাজার করতে পারছেন। দেশের মানুষ মাছ ও মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। দেশের মানুষ জীবন রক্ষাকারী অসুধ ও শিশু খাদ্যও কিনতে পারছে না।

তিনি বলেন, সরকার ধার কর্য করে মেগা প্রকল্প করছে। সরকার বলে অনেক দিন ক্ষমতায় আছে তাই নাকি দেশের অবস্থা স্থিতিশীল। সেজন্য নাকি অনেক উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়নের নমুনা দেশের মানুষ জানে। ঢাকা ওয়াসা বর্জ্য নিস্কাষনের জন্য ৩ হাজার ৭শো কোটি টাকা ব্যায়ে একটি প্রকল্প করেছে। গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার বজ্য পরিষ্কার করে নদীতে ফেলবে। কাজ শুরু করতে গিয়ে দেখে বর্জ্য নিস্কাশনের পাইপ লাইনের ব্যবস্থা করা হয় নাই।

তিনি বলেন, শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের স্থলে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করেছে। এজন্য উৎসব পালন করেছে, এখন আমরা বিদ্যুৎ পাইনা। বিদ্যুতের জন্য কয়লা ও তেল কেনার অর্থ নেই। তাহলে বিদ্যুত প্ল্যান্টগুলো তৈরী করা হয়েছে কেন? টাকা বানানোর জন্য? তিন থেকে চারগুন বেশি খরচে মেগা প্রকল্প তৈরী করা হচ্ছে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা ব্রীজ করতে ৩২ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদে এক এমপি গান গেয়ে বলেছিলেন সাঝিতে নিয়ে নাকি বিদ্যুৎ বিক্রি করা হবে। এত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে তা ব্যবহার করার জায়গা থাকবে না। তাহলে এখন দেশে বিদ্যুৎ নেই কেন? রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে ১২ বছরে ৯০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক এডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন - জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. জামাল হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মো. নোমান মিয়া, জেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. হান্নান খান, আব্দুল হাকিম, শেখ মুহাম্মদ মুজাহিদুল হক, ইসমাইল হোসেন রাহাত, দেলোয়ার হোসেন খান বাদল, মো. আসাদুজ্জামান বাবুল,আরিফ উজ্জামান দিদার।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এডভোকেট জহিরুল হক, মাসরেকুল আজম রবি, ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ আরিফুর রহমান খান, সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে মো. হুমায়ুন খান, এম এ, রাজ্জাক খান প্রমুখ।

   

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা বসবে শনিবার। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

এর আগে, গত ২৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ ফরম বিক্রি শুরু হয়ে ২৯ এপ্রিল বিকেল পর্যন্ত চলে। এসময়ের মধ্যে ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান ২৫ জন।

শনিবারের সভায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ওই আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করবে।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এ আসনে আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

;

জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন: ফারুক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেছেন, জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতকালের সংবাদ সম্মেলনে একটি বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকলে বড় কথা বলা যায়। ক্ষমতায় থাকলে গ্রেফতারও করা যায়। ক্ষমতায় থাকলে বিনা কারণে খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা যায়। কিন্তু জনগণ যখন রাস্তায় নেমে পড়বে তখন এ সকল কথায় কোন কাজ হবে না। তখন ক্ষমতা আপনাকে ছাড়তেই হবে। তাই বলবো, জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনটা পাস করে দিয়ে নিরবে বিদায় নেন।

শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সহ সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দের নিঃশর্তে মুক্তির দাবিতে' আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশেটির আয়োজন করে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন।

জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, বিএনপির তো অস্তিত্বই নাই। বিএনপি নাকি টিকবে না, বিএনপি অসত্য কথা বলে। বিএনপি বাসে আগুন দেয় বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাই বিএনপি'র অস্তিত্ব থাকতে পারে না। এই সকল কথাগুলো আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখ থেকে ১ টি বছর যাবত শুনে আসছি এবং এখনো শুনতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রীর একটি সংবাদ সম্মেলন পত্রিকায় এসেছে। যে দেশে মানবাধিকার এবং সংবিধান লুন্ঠিত হচ্ছে এমন একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন , আমাকে ছাড়া আর এদেশে কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে, কেইবা আছে। কিন্তু আমি বলব আপনাকে সরাবার ইচ্ছা আমাদের ছিল না। কারণ বিএনপি এমন একটি নেতার দল যে নেতা বাংলাদেশকে তলা বিহিন ঝুড়িতে রূপান্তরিত করেছে। তাই এমন নেতার দল কস্মিনকালেও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করতে পারে না।

ষড়যন্ত্র মূলত আওয়ামী লীগ করে এমন মন্তব্য করে জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, আপনারা যদি ষড়যন্ত্র না করতেন তাহলে ২০১৪ সালে কেন বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে গেলেন। কেন ২০১৮ সালে বিএনপি'র সঙ্গে অঙ্গীকার করার পরও দিনের ভোট রাতে করলেন। কেন ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি ভাই ভাই ডামি ভোট করলেন। এ সকল কথার উত্তর আপনাকে একদিন দিতে হবে।

জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, বিএনপি আপনাকে এবং আপনার দল আওয়ামী লীগ কে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় এই কারণে যে জনগণ চায় না আপনারা আর ক্ষমতায় থাকেন। কারণ জনগণ চায় না তিন টাকার কলা ১৪ টাকায় কিনুক। দ্রব্যমূলের এই ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আপনি বিরোধী দলের নেতাদেরকে যেভাবে বিনা কারণে জেলখানায় রাখছেন, তাতে জনগণ মনে করে আপনার দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব না। আর আপনার আমলে অর্থনৈতিক কোন কালেই চাঙ্গা হবে না। তাই জনগণ চাচ্ছে আপনি সরে যান। যার প্রমাণ জনগণ ৭ জানুয়ারির ভোটে দিয়েছে, কয়েক পার্সেন্টও ভোট পড়েনি।

জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, ক্ষমতায় থাকলে বড় কথা বলা যায়। ক্ষমতায় থাকলে গ্রেফতারও করা যায়। ক্ষমতায় থাকলে বিনা কারণে খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা যায়। কিন্তু জনগণ যখন রাস্তায় নেমে পড়বে তখন এ সকল কথায় কোন কাজ হবে না। তখন ক্ষমতা আপনাকে ছাড়তেই হবে। তাই বলবো জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনটা পাস করে দিয়ে নিরবে বিদায় নেন।

স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবীব, বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দীকী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, সাবেক ছাত্র দলের সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

;

নওগাঁয় আ. লীগ নেতার নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ: ছাত্রদলের ২ নেতাকে শোকজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: সংগৃহীত, বিল্লা ও সৌরভ - নওগাঁ পত্নীতলার ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত, বিল্লা ও সৌরভ - নওগাঁ পত্নীতলার ছাত্রদল নেতা

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর পত্নীতলায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ‘ঘোড়া’ মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরীর নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করায় ছাত্রদলের দুই নেতাকে শোকজ করা হয়েছে।

আব্দুল খালেক চৌধুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। বৃহস্পতিবার রাতে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

শোকজ পাওয়া ছাত্রদলের দুই নেতা হলেন, নজিপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ হোসেন সৌরভ ও নজিপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক আবু হোরাইরা বিল্লা।

শোকজ নোটিসে উল্লেখ করা হয়, পত্নীতলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আপনি এক প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন। দল যেখানে নির্বাচন থেকে দূরে আছে, যা দলীয় শৃঙ্খলা, এমন অবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় কেন সাংগঠনিক চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি উপস্থিত হয়ে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট লিখিত জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হইলো৷ অন্যথায়, আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শোকজের বিষয়ে জানতে ছাত্রদল নেতা বিল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সবাই জানে যে, চৌধুরী সাহেবের সঙ্গে বেশি চলাফেরা। তার সঙ্গে থাকি। একটু ঘোরাঘুরি করেছি। সেজন্য জেলা থেকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে।

অন্যদিকে, আরেক ছাত্রদল নেতা আরিফ হোসেন সৌরভের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা বলেন, নজিপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ হোসেন সৌরভকে আমরা ভিডিওতে প্রচারণায় দেখতে পেয়েছি। এই জন্য আমরা তাকে বহিষ্কার করবো এবং নজিপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হোরাইরা বিল্লাকে ফোন করা হলে ‘পরবর্তীতে এমন ভুল হবে না’ জানিয়ে আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

;

বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য বেগম জিয়ার বিচার প্রলম্বিত হচ্ছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য বেগম জিয়ার বিচার প্রলম্বিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আওয়ামী লীগ করেনি। সেই মামলায় গ্রেফতার ও বন্দি হয়েছেন। আমি বলবো বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য, বেগম জিয়া আদালতের হাজিরা প্রলম্বিত করা, এক বছরের বিচার দশ বছরেও শেষ হয়নি এটার জন্য বিএনপির নেতারা দায়ী। রাজপথেও তারা মুক্তির দাবিতে দেখার মতাও বিক্ষোভ মিছিলও করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং শেখ হাসিনার উদারতার জন্য শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকা ও চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করায় সহযোগীতা করেছে।

দেশি-বিদেশি চাপের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তিযুক্ত কতটা সেটা আমরা দেশ চালাচ্ছি, সেটা তো আমরা উপলব্ধি করি। কিভাবে আমাদের উপর চাপ দেয়া হয় সেটা আমরা দেশ শাসন করতে গিয়ে, দেশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই চাপগুলো আমরা অনুভব করি। নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে হুমকি, ধমকি ছিলো, নিষেধাজ্ঞার ভয় ছিলো। এগুলো তো প্রকাশ্যেই দেয়া হয়েছিলো। এখানে কোনো গোপনীয়তার বিষয় ছিলো বলে আমার জানা নেই। এখানে তো কোনো সিক্রেট বিষয় ছিলো না। এই বিষয়ে আমাদের বক্তব্যও পরিষ্কার।

আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র কিভাবে মোকাবেলা করবে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সুসংগঠিত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ১৪ দলীয় জোটকেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে কাছে টানতে হবে। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের নিজেদের সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন এর উপর নির্ভর করে আমরা বাস্তব কঠিন পরিস্থিতি কে মোকাবেলা করতে সক্ষম।

উপজেলা নির্বাচনে অনেকেই দলের নির্দেশনা মানেনি, তাদের বিষয়ে দল কি ব্যবস্থা নিবে এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, অনেকেই এর মধ্যে প্রত্যাহার করতে শুরু করেছেন। আমাদের কয়েকজন আগেই প্রত্যাহার করেছেন। আমাদের গোলাম দস্তগীরের ছেলে প্রত্যাহার করেছেন। আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আমার স্বজনও একজন উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে প্রশ্ন টা হচ্ছে, আমাদের সমর্থন আছে কি না। আমি তার পক্ষে প্রশাসন বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে কি না সেটাই সেটাই দেখার বিষয়। পার্টির কারো এর সঙ্গে কোন সংযোগ নেই, নেতৃস্থানীয় কারো এর সঙ্গে কোন সমর্থন নেই। আমার সমর্থনের তো প্রশ্নই উঠে না। শেষ পর্যন্ত সরে যাবে না সেটাও বলা যায় না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে গাইডলাইন সেটা আমি মুখে বলবো একটা আর কাজে করবো আরেকটা এটাই আমি বিশ্বাসী নই। কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতি আমি কোন অবস্থাতেই প্রশ্রয় দিবো না।

স্বজন বলতে প্রধানমন্ত্রীর যে সংজ্ঞা সে বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার কথা হচ্ছে, ভাই হউক, স্বজন হউক আমি তাকে দাঁড় করিয়েছি কি না। আমি তার পক্ষে সমর্থন দিচ্ছি কি না, আমার দল সমর্থন দিচ্ছে কি না সেটা হচ্ছে বড় কথা। আমি বা আমার দল যদি পক্ষে না থাকে তাহলে কেউ বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার বিষয়ে জড়িত নেই।

প্রধানমন্ত্রীর বলা পরিবারের মধ্যে যেনো সব কিছু কেন্দ্রীভূত না করে এমন বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বজনদের সব কিছু দেয়ার জন্য যদি সব কিছু কেন্দ্রীভূত করা হয় দলের দীর্ঘ দিনের ত্যাগী নেতারা যাবে কোথায়? একথা আমাদের সভাপতি বলেছেন। আমাদের সকলের বক্তব্য সেটাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;