বিএনপির সাবেক নেতার নেতৃত্বে নতুন দল, ভিড়তে চায় মহাজোটে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনীতিতে ‘ভদ্রলোকদের’ ফেরাতে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক বিএনপি নেতা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) ভিপি নাজিম উদ্দিন। এই দলের সদস্যসচিবও তারই ক্যাম্পাস রাজনীতির সহযোদ্ধা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট থেকে চাকসুর জিএস নির্বাচিত হওয়া আজিম উদ্দিন।

রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম’ নামের এই দলের ঘোষণা দেন দুই নেতা।

নতুন দল ঘোষণার পর পরই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে নিজেদের অবস্থানও পরিষ্কার করেন প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের দুই নেতা। সদস্য সচিব আজিম উদ্দিন নিজেদের দলকে কোনো ‘কিংস পার্টি’ নয় বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমরা নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করব। কিন্তু এখন নিবন্ধন বন্ধ। আমরা আসলে যা করব, সেটি হলো-আমরা মহাজোটের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা করতে পারি। আলোচনার ভিত্তিতে আমরা নিবন্ধিত কোনো একটা রাজনৈতিক দলের মার্কা (প্রতীক) নিয়ে নির্বাচন করব।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন বলেন, আমি অনেকদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে নেই। বিএনপির রাজনীতিতে তেমন একটা সক্রিয়ও ছিলাম না। আমি আর আজিম উদ্দিন বহুদিন ধরে সারা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যোগাযোগ করে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ করে সেখানে যাদের অতীত রাজনীতিতে গৌরবোজ্জল ভূমিকা আছে তাদের আমাদের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলাম। অবশেষে নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন দলের যাত্রা শুরু করব। যেহেতু আমাদের এটি একটা নতুন দল। দেশে গণতান্ত্রিক নতুন ধারার রাজনীতি শুরু করাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামে কারা কারা যুক্ত হয়েছেন জানতে চাইলে নাজিম উদ্দিন বলেন, সারাদেশের ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরা অনেকেই আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন বিভিন্ন পেশাজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী। দেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের সামনে রেখে আমাদের এই দলের আত্মপ্রকাশ।

প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনের পর ঢাকায় কনভেনশন হবে বলে জানিয়েছেন নবগঠিত দলটির চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, সেখানে ১০১ সদস্যর কমিটির ঘোষণা করা হবে। কমিটিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আরিফ মঈন উদ্দিন রয়েছেন। আরও বেশ কিছু চমক থাকবে। এর মধ্যেই আমাদের অন্তত ১০০ জন প্রার্থী পাওয়া গেছে। অনেক আসনে একাধিক প্রার্থীও আছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্য সচিব আজিম উদ্দিন। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমরা যখন আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি তখন দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। একটা অনিশ্চিত অভিযাত্রা লক্ষ্য করছি। জাতি দু'ভাবে বিভক্ত কেউ পরিষ্কার জানে না কি হতে চলছে নির্বাচন হবে কি না? বিরোধীদল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না? দেশের অর্থনীতি সচল থাকবে কি না? মেগা প্রজেক্টগুলো অব্যাহত থাকবে কি না? দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হবে কি না? নানা প্রশ্ন জনগণের মনে উঁকি দিচ্ছে। চরম এক অনিশ্চতায় দেশের জনগণ। এদিকে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই দেশি- বিদেশি নানা গ্রুপ-গোষ্ঠী তৎপর। নানান এজেন্ডা নিয়ে প্রত্যেকেই যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে তৎপর।

বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে অভিযোগ করে আজিম উদ্দিন বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব-আমেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ভারত, চীনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র আমাদের ওপর চাপ তৈরি করছে। স্যাংশনের ভয় দেখিয়ে কিংবা ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির করার কথা বলছে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের দেশ কীভাবে পরিচালিত হবে, সেটা আমাদের দেশের জনগণই ঠিক করতে পারে, বিদেশিরা নয়। আমরা সন্দিহান, এসব রাষ্ট্রসমূহের এসব তৎপরতা ও দৌড়ঝাঁপ নিয়ে। আমরা মনে করি, তাদের এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে তাদের স্বার্থ ও ভৌগোলিক আধিপত্য বিস্তারের নীলনকশা।

দেশে কোনো সাংঘর্ষিক রাজনীতি চান না জানিয়ে আজিম উদ্দিন বরেন, ভাঙচুর, গাড়ি পোড়ানো, মানুষ হত্যা, হরতাল অবরোধ রাজনীতির কোনো ভাষা হতে পারে না। আমরা দেখেছি, অতীতেও সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেশের কোনো কল্যাণ বয়ে আনেনি। ইদানিং দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক শ্রেণির মানুষ বেশ তৎপর। এর মাধ্যমে পাল্টাপাল্টি প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, দেশে ও বিদেশে বসে। লাগামহীন মিথ্যাচারের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে চরম বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা তৈরি করছে। ফলে জনগণ কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা সেটা বুঝতে পারছে না। গত পনের বছরে দেশে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে এ কথা সত্য। কিন্তু উন্নয়নের সঙ্গে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগও জনমনে আছে।

রাজনীতিতে গত কয়েকবছরে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে জানিয়ে আজিম উদ্দিন বলেন, রাজনীতির ব্যাপক পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করছি। এখন আর রাজনীতিতে ভালোলোকের স্থান নেই। ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবীদের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও নেই আগের মত। জাতীয় সংসদের ৮০ ভাগ সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক-বেসামরিক আমলা দ্বারা পরিবেষ্টিত। ফলে কার্যত প্রকৃত রাজনীতি নির্বাসনে গেছে। সুযোগসন্ধানীরা ক্ষমতা ও অর্থকে ব্রত হিসেবে নিয়েছে। দৃশ্যত জনতার রাজনীতি প্রকৃত রাজনীতিবিদদের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে তা পরিষ্কার। ফলে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের উপর জনগণের আস্থা ও সম্মানবোধ দিন দিন উঠে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, এখনই এ বিষয়ে সতর্ক না হলে দেশ গভীর সংকটে নিপতিত হবে। রাজনীতিতে ভাল লোকজনকে জায়গা করে দেওয়া, সুস্থ রাজনীতির ধারা তৈরি করা সচেতন নাগরিক সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলটির নেতা ফেরদৌস বশির, সোহেল রহমান ও সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

   

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৪ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃবৃন্দের অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে। জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না।

জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়। সে কারণে তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে। বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

;

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংহতি ছাত্রলীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরে করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বিবৃতে দলটি জানায়, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।

এতে আরও বলা হয়, নিরীহ-নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সাথে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাঁধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলো। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিলো।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। তাঁদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি-

আগামী সোমবার (৬ মে) সকাল এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে দলটি।

একইসাথে, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসাথে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

;

সরকার উৎখাতের দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না: মির্জা আব্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে , তখন এই সরকারকে লাথি দিয়ে ফেলে দিবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্রেফতার করে পৃথিবীর কোন আন্দোলন, কোন স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না এমন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই জনরোষের মুখে। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

তিনি বলেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সে নির্বাচন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। এখন একটি কাজ করতে পারেন রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন। নির্বাচনের কথা আপনাদের (সরকার) মুখে মানায় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কাদের সাহেব বললেন, জেলে কোন রাজবন্দী নেই। কি সুন্দর কথা বললেন কাদের সাহেব, আমার খুব হাসি পায়। কাদের সাহেব আপনি যখন ওয়ান-ইলেভেনে জেলে ছিলেন। আপনি কি চোর হয়ে সেদিন জেলে গিয়েছিলেন? না, রাজবন্দী হয়ে জেলে গিয়েছিলেন, আমি জানতে চাই। এক - এগারোর সময় আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী উনিও জেলে গিয়েছিলেন। উনি কি হয়ে জেলে গিয়েছিলেন? আমি জানতে চাই।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।

;