‘এই সহিংসতা সুপরিকল্পিত, হরতাল দেওয়াই লক্ষ্য’



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক, বার্তা২৪.কম
শমসের মবিন চৌধুরী বীরবিক্রম

শমসের মবিন চৌধুরী বীরবিক্রম

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী বীরবিক্রম বলেছেন, কোনো উসকানি ছাড়া এক পাক্ষিকভাবে বিএনপি আজ যেভাবে অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল ও পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করেছে তাতে মনে হচ্ছে হরতাল দেওয়ার লক্ষ্যেই হয়তো তারা (বিএনপি) এই সহিংসতা চালিয়েছে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিরোধী রাজনীতিক দলের সমাবেশে সরকার বাধা দেবে কিনা জানতে চেয়েছিলেন। আজ এটি পরিষ্কার হয়ে গেল প্রকৃতপক্ষে কারা সহিংসতা করেছে। রাষ্ট্রদূত নিশ্চয় এটি যাচাই করবেন। 

শনিবার সন্ধ্যায় বার্তা২৪.কম-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন শমসের মবিন চৌধুরী। কথা বলেছেন পরিকল্পনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম। 

বার্তা২৪.কম: আজ থেকে দেশের রাজনীতি নতুন করে আবার সংঘাতের পথে পা বাড়াল...আপনি একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক, কুটনীতিক মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এদিনের ঘটনাপ্রবাহকে কিভাবে বর্ণনা করবেন?

শমসের মবিন চৌধুরী বীরবিক্রম:  আমরা গণমাধ্যমে যা দেখতে পাচ্ছি, তাতে এই সংঘাত-সহিংসতা মূলতঃ বিএনপি তরফ থেকেই শুরু হয়। দেখা গেছে গাজীপুর থেকে আগত আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী-সমর্থকদের গাড়িকে বিএনপির কর্মীরা আক্রমণ করে প্রথমে, তারপরে তারা বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা-ভাঙচুর করে। এবং একের পর এক গাড়িতে আগুন দেয়। পুলিশের হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ করে, এম্বুলেন্সেও অগ্নিসংযোগ করে। আপনি জানেন যে, এম্বুলেন্স সব ধরণের সহিংসতার ঊর্ধ্বে থাকার কথা। এম্বুলেন্সকে কেউ কোন দিন আক্রমণ করবে না, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি..মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যখন দেখতাম কোন এম্বুলেন্স যাচ্ছে-তাতে কে আছে না আছে আমরা যাচাই করতাম না। আমরা কখনো এম্বুলেন্সে গুলি চালাই নাই। হয়তো আমরা জানতাম এই এম্বুলেন্স এ ভেতরে হয়তো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যরা লুকিয়ে আছে তা সত্ত্বেও আমরা এম্বুলেন্সে কোন দিন গুলি করিনি। এটি একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আচরণ। সেখানে আমরা দেখলাম বিএনপির লোকজন পুলিশ হাসপাতালেও আক্রমণ হয়েছে, সেখানে অনেকেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম একজন পুলিশ সদস্য সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন এ সংঘাতের কারণে... এখন পর্যন্ত সহিংসতা এক পক্ষ থেকেই আসছে মনে হচ্ছে। যা দেখলাম গণমাধ্যমে। তারা (বিএনপি)। এখন একদফা আন্দোলনকে তারা ইতিমধ্যে সহিংসতার দিকে নিয়ে গেছে। আন্দোলন মানে তো সহিংসতা নয়। শেষ পর্যন্ত তারা সমাবেশটি করতেও পারলো না। যেহেতু পুলিশের ওপর আক্রমণ হয়ে গেছে, পুলিশ স্বাভাবিক নিজদের নিরাপত্তার স্বার্থে, প্রাণরক্ষার স্বার্থে যে ধরণের অ্যাকশন নেয়ার কথা তা নিবে। একজন মারা গেছেন, একাধিক আহত হয়েছেন। হাসপাতালে আক্রমণ হয়েছে, বিচারপতির বাসায় আক্রমণ হয়েছে, সেখান থেকে তাদের সমাবেশও ভণ্ডুল হয়ে গেল।

বার্তা২৪.কম: এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি আসলে কি অর্জন করতে চেয়েছিল বলে মনে করেন আপনি?

শমসের মবিন চৌধুরী বীরবিক্রম: তাদের যেটি লক্ষ্য ছিল, জানি না আসল লক্ষ্য কি ছিল। সহিংসতা ঘটাবে এই লক্ষ্য হয়তো ছিল...আমি জানি না।  হরতাল একটি সেকালের একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। এখন হরতাল জনগণের কাছে কতটুকু প্রাসঙ্গিক হবে সেটা ...আপনি জানেন যে মূল্যস্ফীতির কারণে এমনিতেই মানুষের দৈনন্দিন জীবন-জীবিকা বিপদের মুখে আছে। সেখানে হরতাল করা মানে আবারও তাদের কর্মসংস্থান থেকে বিরত রাখা। সেই হরতাল যদি জনগণ পালন করে স্বতোঃস্ফূর্তভাবে পালন করে সে এক কথা, আর যদি জনগণ হরতাল পালন না করে , জনগণ যদি তাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায় তাহলে তো বিএনপি’র এই হরতালও ভণ্ডুল হয়ে যাবে।

বার্তা২৪.কম: আগামী জাতীয় নির্বাচনে আজকের সহিংসতা কি প্রভাব ফেলবে বলে আপনি মনে করেন-

শমসের মবিন চৌধুরী বীরবিক্রম: বেশ কিছুদিন ধরে ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন’ ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন’ বলে আসা হচ্ছিল। আপনি জানেন যে, অতিসম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।  সেখানে তিনি জানতে চেয়েছিলেন যে সরকার বিএনপির সমাবেশে কোন বাধা দিবে কিনা। সরকারের পক্ষ থেকে কোন বাধা আমার নজরে এখনো পড়েনি। সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই, যদিও সমাবেশে হাজার হাজার লোক এসেছে, সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হলো। এর আগে এই  ধরণের ঘটনা কখনো ঘটেছে কিনা আমার মনে পড়ছে না। এমনকি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যে আন্দোলন ‘এরশাদ বিরোধী আন্দোলন’ আশির দশকের শেষ দিকে তখনও আমার মনে পড়ে না বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে কিনা? প্রধান বিচারপতির কোনো ভূমিকাই তো নেই এখানে। প্রধান বিচারপতি তো রাষ্ট্রের একটি পদ। এটি কোন ব্যক্তিগত বা সরকারি পদ নয়। তার বাসায় কেন হামলা? আমার যেটা মনে হচ্ছে, সহিংসতার এই ঘটনাটি সুপরিকল্পিত। হরতাল দেওয়া লক্ষ্যেই হয়তো তারা এই সহিংসতা করেছে। জানি না বিএনপির কতজন আহত হয়েছেন, বিএনপির কেউ হতাহত হয়েছে কিনা জানি না আমরা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেখলাম হরতালের ঘোষণা দিলেন, দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে আমরা দেখলাম না। সকালে কয়েকজনকে দেখেছিলাম। এখন বিষয়টা হচ্ছে যে, এতে আমি বিশ্বাস করি যে আগামী নির্বাচনে এসব বাধা হবে না। নির্বাচন সময় মতো হবে। বিএনপি নির্বাচন করবে কি করবে না সেটা বিএনপির সিদ্ধান্ত।

বার্তা২৪.কম: একই দিনে রাজধানীতে বিএনপি জামায়াতের পৃথক কর্মসূচি। আপনার কি মনে হয়, বিএনপির কাঁধে অন্য কেউ ভর করেছে...এই সহিংসতায় পরস্পরের কোনো সংযোগ কি দেখতে পান-

শমসের মবিন চৌধুরী বীরবিক্রম: আপনি কি মনে করেন জামায়াত আদৌ বিএনপি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে? হয়তো তারা আনুষ্ঠানিকভাবে একই সঙ্গে কর্মসূচি করে না কিন্তু যুগপৎ সহিংসতা তো তারা করলো। অনেক জামায়াত কর্মীদের দেখলাম মিছিল নিয়ে এগুচ্ছে এবং সরকারের পদত্যাগ দাবি করছে। বিএনপির মতোই একই ভাষায় কথা বলছে। দল দু’টি একে অপরের ওপর নির্ভরশীল তা দ্ব্যর্থহীনভাবেই বলা যায়। 

বার্তা২৪.কম: আজকে বিএনপি’এই সহিংসতা পশ্চিমাবিশ্বের কাছে কি বার্তা গেল?

শমসের মবিন চৌধুরী বীরবিক্রম: মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বস্ত হতে চেয়েছিলেন, বিরোধীদের কর্মসূচি সরকার বাধা দেবে না। আমি বলতে চাই, তারা আজকে দেখুক সচক্ষে । আওয়ামী লীগের সমাবেশটি তো সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ছিল, যা দেখলাম। কোন ধরণের সহিংসতা ছিল না। রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক স্লোগান তো দিয়েই যাবে। কিন্তু আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কোন সহিংসতা আমরা দেখিনি। বাধাও তেমন দেখিনি। আজকে সকল সহিংসতা একদিক থেকেই এসেছে। অনেক দূতাবাস এখানে আছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের তৎপরতা..তিনি সবই দেখেছেন নিশ্চয়ই। তিনি সেটা যাচাই করবেন, যে সহিংসতা কারা করেছেন।    

   

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৪ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃবৃন্দের অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে। জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না।

জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়। সে কারণে তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে। বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

;

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংহতি ছাত্রলীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরে করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বিবৃতে দলটি জানায়, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।

এতে আরও বলা হয়, নিরীহ-নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সাথে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাঁধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলো। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিলো।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। তাঁদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি-

আগামী সোমবার (৬ মে) সকাল এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে দলটি।

একইসাথে, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসাথে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

;

সরকার উৎখাতের দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না: মির্জা আব্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে , তখন এই সরকারকে লাথি দিয়ে ফেলে দিবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্রেফতার করে পৃথিবীর কোন আন্দোলন, কোন স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না এমন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই জনরোষের মুখে। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

তিনি বলেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সে নির্বাচন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। এখন একটি কাজ করতে পারেন রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন। নির্বাচনের কথা আপনাদের (সরকার) মুখে মানায় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কাদের সাহেব বললেন, জেলে কোন রাজবন্দী নেই। কি সুন্দর কথা বললেন কাদের সাহেব, আমার খুব হাসি পায়। কাদের সাহেব আপনি যখন ওয়ান-ইলেভেনে জেলে ছিলেন। আপনি কি চোর হয়ে সেদিন জেলে গিয়েছিলেন? না, রাজবন্দী হয়ে জেলে গিয়েছিলেন, আমি জানতে চাই। এক - এগারোর সময় আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী উনিও জেলে গিয়েছিলেন। উনি কি হয়ে জেলে গিয়েছিলেন? আমি জানতে চাই।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।

;