সংঘাতমুক্ত দেশ গড়তে ১৫ দফা ফর্মুলা ঐক্য পার্টির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঐক্য পার্টি

ঐক্য পার্টি

  • Font increase
  • Font Decrease

সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা পেলে নিবন্ধিত কোনো দলের প্রতীকে ৩০০ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে চায় বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি। এজন্য ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পৃক্ত করে সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে দলটি। এজন্য সৎ ও যোগ্য প্রার্থী খুঁজছে নতুন এই রাজনৈতিক দলটি।

পাশাপাশি দলটিতে যুক্ত হতে চাইলে কখনো দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতে ও লোভের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করা যাবে না এমন লিখিত অঙ্গীকার করতে হবে বলেও জানিয়েছেন নেতারা। এজন্য ১৫ দফাও ফর্মূলা পেশ করা হয়েছে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির পক্ষ থেকে।

শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর জজকোর্ট এলাকায় দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির ভাবনা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করতে গিয়ে এই দাবি পেশ করেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরী।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি গতানুগতিক রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সম্বলিত এবং সাময়িক একটি রাজনৈতিক দল। দেশে টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। দেশকে সংঘাত থেকে উদ্ধারের জন্যই আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে।

দলের প্রতিষ্ঠাতা নিজেদের কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, এটি একটি সাময়িক দল। একবার ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ জোট ও বিএনপি জোটের সবাইকে প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে এনে উন্নত ও মার্জিত দেশ গঠন করতে চাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি'র ফর্মূলার আলোকে তিনশ সংসদীয় আসন থেকে প্রতি আসন থেকে একজন করে তিনশত জন ও ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে প্রতি উপজেলা থেকে একজন মহিলাসহ তিনজন মোট ১৭৮৫ জন যোগ্য ব্যক্তি পাওয়া সাপেক্ষে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্যারান্টি পেলে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি নিবন্ধিত কোনো দলের ব্যানারে এবার জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিবে। এজন্য যোগ্য প্রার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয় দলটির পক্ষ থেকে।

ঐক্য পার্টির ফর্মূলা বাস্তবায়নের জন্য ২১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রধানসহ অনেক রাজনীতিবিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা দাবি করেন, তাদের ফর্মুলা বাস্তবায়ন ব্যতীত দেশকে আসন্ন গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচানো সম্ভব নয়।

এসময় সব রাজনৈতিক দলকে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির ১৫ দফা ফর্মুলা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে ফর্মূলা পেশ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আল মাহমুদ হাসান।

দফাগুলো হলো- দলের অভ্যন্তরে কেন্দ্রীয় ফোরামের সকল সদস্যকে দলীয় বেশ কিছু নীতি, ও শতভাগ আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। দলের অভ্যন্তরে, গণতন্ত্র নিশ্চিতপূর্বক, সৎ ও যোগ্যদের যোগ্যতার মূল্যায়ন করা।

দেশের জনগণের ইচ্ছার শতভাগ প্রতিফলন যাতে ঘটে সেজন্য কোনো একক নেতাকে প্রাধান্য না দিয়ে সংসদে আলোচনা সাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও অনুমোদনের বিধান করা।

ক্ষমাশীলতা, সহনশীলতা, ধর্ম ও দল নির্বিশেষে সর্বজনীন ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতির শতভাগ চর্চা, দলের কর্মীসহ দেশের জনগণ যাতে করেন সে রকম দৃষ্টিভঙ্গি গঠনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা।

ক্ষমতায় গেলে দেশে বিরাজিত সব দল ও ধর্মীয় সম্প্রদায় থেকে আনুপাতিক হারে লোক নিয়ে একটি সর্বদলীয় উপদেষ্টা কাউন্সিল গঠন করা।

সকল জনপ্রতিনিধিসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সমূহের সব বিষয়ে শতভাগ জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নূন্যতম ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য নির্দিষ্ট করা।

পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করাসহ, কারিগরি শিক্ষালয়, ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত স্থাপিত করা। শিক্ষা জাতীয়করণের ক্ষেত্রে, গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু করে, দেশের সব জায়গায়, প্রতিষ্ঠিত কোনো প্রতিষ্ঠানকে, বাদ দেওয়া হবে না। সেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সবার চাকরি জাতীয়করণ করা হবে (কারো সার্টিফিকেট কম থাকলে-তা অর্জনের জন্য সময় দেওয়া হবে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের, মূল প্রতিষ্ঠাতাকে, প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে রাখা হবে।) জাতীয়করণের পাশাপাশি শিক্ষকদের বেতন ভাতা সম্মানজনক করা হবে।

দেশের কোনো জমি যাতে অনাবাদি না থাকে, পরিত্যক্ত না থাকে সেটার দিকে বিশেষ নজর দিয়ে কোন পণ্যের দেশে কত চাহিদা এবং বিদেশে রফতানির আগাম প্রতিশ্রুতি সাপেক্ষে সে পরিমাণ কৃষি পণ্য চাষ করা। কৃষকদের পর্যাপ্ত প্রণোদনা দেওয়াসহ বিএডিসিকে শতভাগ আন্তরিক হতে সহযোগিতা করে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটানো।

বিনিয়োগ ও শিল্পবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা। দেশের চাহিদা নিরূপণসহ বিদেশে রপ্তানির হিসেব করে বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা স্থাপনসহ শ্রমিকদের যাবতীয় অসুবিধার দিক খতিয়ে দেখে তা উত্তরণে সহযোগিতা করা এবং উন্নত বিশ্বের সমান সুবিধাদি শ্রমিকদের জন্য নিশ্চিতপূর্বক শিল্প বিপ্লব ঘটানো।

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়ে তাদের সব সমস্যার সমাধান করা এবং তাদের জীবন-মান উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে, আধুনিক যাবতীয় ব্যবস্থাগ্রহনসহ দেশের সকল নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বার্থে, সিন্ডিকেট বিলোপ সাধনসহ, মধ্যসত্বভোগীরা, পণ্যের অতিরিক্ত দাম যাতে বাড়াতে না পারে-তারজন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীদের যাবতীয় অসুবিধার দিক খতিয়ে দেখে তা উত্তরণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

অতীতের সরকার সমূহের সংস্কারমূলক কাজ সমূহ অব্যাহত রাখা। সকল রাজনৈতিক দলসহ অতীতের সরকারগুলোকে পূর্বসুরী হিসেবে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা।

দেশের কর্মক্ষম সকল নাগরিকের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সম্ভব না হলে অবশ্যই বেকার ভাতা দেওয়া। পূর্ববর্তী সরকার সমূহ কর্তৃক চালুকৃত মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ সব ধরনের ভাতা অব্যাহত রাখা।

পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা আলতাফ হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আল মাহমুদ হাসান এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ মহসিন মৃধা, কানু মহাজন, আবদুস সাত্তার, ইয়াসির আরমান, বিশাখা বড়ুয়া, তপন সিকদার, আলী নেওয়াজ, তৌহিদুল ইসলাম, মরিয়ম বেগম, আরিফ হোসেন, মোক্তার হোসেন ঢালী প্রমুখ।

   

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৪ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃবৃন্দের অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে। জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না।

জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়। সে কারণে তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে। বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

;

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংহতি ছাত্রলীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরে করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বিবৃতে দলটি জানায়, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।

এতে আরও বলা হয়, নিরীহ-নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সাথে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাঁধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলো। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিলো।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। তাঁদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি-

আগামী সোমবার (৬ মে) সকাল এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে দলটি।

একইসাথে, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসাথে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

;

সরকার উৎখাতের দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না: মির্জা আব্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে , তখন এই সরকারকে লাথি দিয়ে ফেলে দিবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্রেফতার করে পৃথিবীর কোন আন্দোলন, কোন স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না এমন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই জনরোষের মুখে। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

তিনি বলেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সে নির্বাচন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। এখন একটি কাজ করতে পারেন রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন। নির্বাচনের কথা আপনাদের (সরকার) মুখে মানায় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কাদের সাহেব বললেন, জেলে কোন রাজবন্দী নেই। কি সুন্দর কথা বললেন কাদের সাহেব, আমার খুব হাসি পায়। কাদের সাহেব আপনি যখন ওয়ান-ইলেভেনে জেলে ছিলেন। আপনি কি চোর হয়ে সেদিন জেলে গিয়েছিলেন? না, রাজবন্দী হয়ে জেলে গিয়েছিলেন, আমি জানতে চাই। এক - এগারোর সময় আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী উনিও জেলে গিয়েছিলেন। উনি কি হয়ে জেলে গিয়েছিলেন? আমি জানতে চাই।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।

;