‘সরকার বেশিদিন থাকলে দেশ স্থিতিশীল থাকে কথাটি টোটালি রঙ’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

একটি সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশ স্থিতিশীল থাকে কথাটি টোটালি রঙ। এতে আরও অস্থিতিশীলতার বীজ বপন হয়, যা আমরা বীজ বপন করছি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

শনিবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশন আয়োজিত যোগদান অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ ও শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩০ জন আইনজীবী জাপায় যোগদান করেন।

জিএম কাদের আরও বলেন, মানুষ নানান কারণে ক্ষোভে ফুঁসছে। যে কোন সময়ে বড় কিছু ঘটতে পারে। যদি বড় কিছু ঘটে তাহলে কি হবে। তাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। এটা কি স্থিতিশীলতার লক্ষণ।

তিনি বলেন, আমরা সিলেকশন চাই না, আমরা ইলেকশন চাই, এখন সিলেকশন হচ্ছে এই নির্বাচনকে ইলেকশন বলতে পারি না। নির্বাচন কমিশন চাইলেও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। আগের বাংলাদেশ ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশের তালিকায় ছিল। জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র থেকে নামিয়ে স্বৈরশাসিত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

উন্নয়ন ব্যাপকভাবে বলা হচ্ছে, যে অবকাঠামো উন্নয়ন, মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। সমাজে অসমতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, বৈষম্যকে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ১০ ভাগ লোককে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, অন্যদের নর্দমায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগ একটি দেশের সভ্যতার প্রতীক, একে দিয়ে সভ্যতার মাপকাঠি বিচার করা হয়। আমরা কতটা সভ্য হয়েছি তা বিচার বিভাগ দিয়ে মূল্যায়ন করা যায়। রাজা আইনের ঊর্ধ্বে থাকেন, রাজতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্র আইনের শাসন দিতে পারে না। একমাত্র গণতন্ত্র আইনের শাসন নিশ্চিত করতে পারে। আমাদের দেশের যে অবস্থা তা দিয়ে বিচার করতে হবে, আমরা এখন গণতন্ত্রে আছি না কোথায় আছি! নিম্ন আদালত সরকারের নিন্ত্রয়ণে, সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে কোন রায় দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকার প্রধানের হাতে নিম্ন আদালত সম্পূর্ণ এবং উচ্চ আদালতে ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রিত। আইনের কাঠামোর মধ্যমেই তাকে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই কাঠামোর মধ্যে থেকে আইনের শাসন আশা করা যায় না।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি পরিবার চলতে পারে না। এটি দাসপ্রথার চেয়েও খারাপ অবস্থা, মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখবেন না! বলা হয় বেতন বাড়ালে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না বাংলাদেশ। তাহলে তাদের রেশন দিন, না হলে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দিন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, কবীর সুমনের কথা বলতে হয়, কেউ কথা রাখেনি। ৯০ সালে তিন জোটের অঙ্গীকার ছিল আমার ভোট আমি দেবো। কিন্তু তারা কোন কথা রাখেনি। তারা আবার দুই জোট হয়েছে, আবার এক দফা। এই জোটের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে দেশের মানুষ ত্রাহি অবস্থা। মানুষ দল দুটির ওপর ত্যাক্ত বিরক্ত। দেশে আইনের শাসন নেই, আইনের শাসন না থাকলে সমাজ ধ্বংস হয়ে যায়। উচ্চ আদালতে যদি যোগ্য বিচারপতি না থাকে, সে সমাজে ন্যায় বিচার আশা করা ঠিক না।

তিনি বলেন, আমার সঙ্গে এক বিদেশির কথা হয়েছিল, তাকে আওয়ামী লীগ বলেছে নির্বাচনে নৌকার সঙ্গে জাপা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে ৫টির বেশি আসন পাবে না। আমি তাকে বলেছি, তারা তো বেশি বলেছে, এই অবস্থায় জাপা একটি আসনও পাবে না, আর যদি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে প্রধানমন্ত্রী করে কেবিনেট থাকে, তখন আমরা একক সরকার গঠন করবো। চ্যালেঞ্জ দিলাম যদি না পারি তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দিবো।

তিনি বলেন, নির্বাচন যদি ফেয়ার না হয়, আমরা ভোট পাবো না, আমাদের ভোটাররা নিরীহ। আওয়ামী লীগের লোকজন নিরীহ না, তারা পুলিশ নিয়ে এসে ভোট নিবো। যারা আমাদের খাটো করে দেখবে তাদের সঙ্গে প্রেম নেই। আগামী নির্বাচন যদি মিনিমাম ফেয়ার হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে
নিজের বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবেন। মারমুর খেতে হলে খাবো।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেন, অসম নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। আমার হাত-পা বেধে সাঁতরাতে বলেন আমিতো ডুবে মরবো। আর আপনি সাঁতরিয়ে পার হয়ে যাবেন। শেষ বয়সে রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হতে চাই না, কারো নির্বাচন বৈধতা দিতে পারি না। সিগন্যাল ডাইনে দিয়ে বায়ে যাবো না। অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। আমি আওয়ামী লীগের সঙ্গে শান্তি কমিটি করবো, যাকে একাত্তরে গুলি করে হত্যা করেছি। এবার সেই শান্তি কমিটিতে নাম লেখাবো। পৃথিবীর কোনো প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষমতা নেই, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো।

জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের সভাপতি ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সেখ মো. সিরাজুল ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে গণতন্ত্রের মানসপুত্র বলা হয়। আর জিএম কাদের অদম্য ভূমিকা পালন করে গণতন্ত্রের বরপুত্র হিসেবে আর্বিভূত হয়েছেন। আপনারা একমত হলে তাকে এই উপাধিতে ভূষিত করতে চাই। অন্যরা হাত উচিয়ে সমর্থন জানান। আজ থেকে জিএম কাদের এই উপাধিতে ভূষিত হবেন। বাংলাদেশে এখন যারা রাজনীতি করেন তাদের মধ্যে বেস্ট হচ্ছেন জিএম কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, খেলা হবে। খেলতে গেলে দুটি দল লাগে। আপনি রেফারি, আপনি বিচারক আর বলবেন খেলা হবে। তা হয় না। আপনি যদি খেলতে চান, নিরপেক্ষ মাঠ তৈরি করুন।

যোগদানকারী সুলতান আহমেদ খান বলেন, কেন আমরা জাতীয় পার্টিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো লোক খুঁজে পাইনি, অনেক জায়গায় ধর্না দিয়েছি কাউকে পাইনি। অনেক যোগ বিয়োগ করে ক্যালকুলেশন করে আবিষ্কার করেছি জাতীয় পার্টিকে, জিএম কাদেরকে।

যোগদানকারী শহীদুল ইসলাম মোল্লা বলেন, একদল ক্ষমতায় থাকার জন্য আরেকদল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য হানাহনিতে লিপ্ত। শুধুমাত্র জাতীয় পার্টি মানুষের কথা বলছে। অনুষ্ঠানে শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম।

   

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংহতি ছাত্রলীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরে করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বিবৃতে দলটি জানায়, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।

এতে আরও বলা হয়, নিরীহ-নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সাথে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাঁধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলো। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিলো।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। তাঁদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি-

আগামী সোমবার (৬ মে) সকাল এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে দলটি।

একইসাথে, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসাথে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

;

সরকার উৎখাতের দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না: মির্জা আব্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে , তখন এই সরকারকে লাথি দিয়ে ফেলে দিবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্রেফতার করে পৃথিবীর কোন আন্দোলন, কোন স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না এমন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই জনরোষের মুখে। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

তিনি বলেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সে নির্বাচন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। এখন একটি কাজ করতে পারেন রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন। নির্বাচনের কথা আপনাদের (সরকার) মুখে মানায় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কাদের সাহেব বললেন, জেলে কোন রাজবন্দী নেই। কি সুন্দর কথা বললেন কাদের সাহেব, আমার খুব হাসি পায়। কাদের সাহেব আপনি যখন ওয়ান-ইলেভেনে জেলে ছিলেন। আপনি কি চোর হয়ে সেদিন জেলে গিয়েছিলেন? না, রাজবন্দী হয়ে জেলে গিয়েছিলেন, আমি জানতে চাই। এক - এগারোর সময় আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী উনিও জেলে গিয়েছিলেন। উনি কি হয়ে জেলে গিয়েছিলেন? আমি জানতে চাই।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।

;

প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গণতন্ত্র, সুশাসনের আবহাওয়া তৈরি করতে সর্বশেষ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করে বিএন‌পির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করবো। কিন্তু আমাদের গায়ে যদি লাঠির আঘাত আসে তাহলে কতদিন শান্তিপূর্ণ থাকবো। প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে। না হলে আরও অনেককে কারাগার যেতে হবে।

তিনি বলেন, হাইকোর্ট আওয়ামী লীগ, পুলিশ আওয়ামী লীগ, প্রশাসনের ডিসি এসপিরা ছাত্রলীগ। এরকম একটা পরিবেশে মানুষের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোন ন্যায় বিচার নেই। মানুষ আদালতে যায় প্রতিকার পাওয়ার জন্য সেটাও নেই।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুদিন ধরেই বলছেন তাকে নাকি কিছু রাজনৈতিক দল উৎখাতের চেষ্টা করছে। আমার কথা হচ্ছে রাজনৈতিক দল উৎখাতে চেষ্টা করবে কেন? আপনি (শেখ হাসিনা) আপনার সরকার উৎখাত হোক এটা তো জনগণ চাচ্ছে। আর ক্ষমতায় আসা না আসা এটা কোন রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে জনগণের ওপর। আপনি জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছেন, ভোটার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছেন। আপনার ক্ষমতা চলে যাক এটা জনগণ চায়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ১৯৭৮, ৭৯ সাল থেকে গণতন্ত্র নাকি ধ্বংস করা হয়েছে। ওনি নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমরা গণতন্ত্র, রাষ্ট্র, সরকারের আভিধানিক অর্থ জানি। কিন্তু শেখ হাসিনার যে কথাবার্তা চিন্তা ধারা সেটা জানতে হলে আলাদা একটা ডিকশনারি খুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা উন্নয়নের কথা বলে। একটা প্রবাদ আছে অন্ধের হাতি দর্শন শেখ হাসিনার উন্নয়ন। মানুষ অভুক্ত, খেতে পারছে না তারপরও শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলতে হবে। আলু, পেঁয়াজ, বোরো চাষ করার জন্য কৃষকরা ৫০০০ টাকা ঋণ নেয়, সেই ঋণ শোধ করতে না পারলে কৃষকদেরকে জেলে যেতে হয়। আর হাজার হাজার কোটি টাকা যারা ঋণ নিয়েছে তারা হচ্ছে ক্ষমতার ঘনিষ্ঠ। তারা প্রকাশ্য আলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা শেখ হাসিনার সুশাসনের নমুনা।

;