সিদ্ধান্তহীন জাপার নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাপার নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন

জাপার নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে অংশ নেওয়া, না নেওয়া প্রশ্নে এখনও অবস্থান পরিষ্কার করেনি জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টি। তবে দলীয় মনোনয়ন ফরম তৈরিসহ অন্যান্য নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে দলটি।

জাতীয় পার্টির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নিতে হলে দলীয় মনোনয়ন ফরম ও প্রতীক বরাদ্দের চিঠিসহ যে সব প্রস্তুতি দরকার। গত মাসেই সেগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।

অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দের চিঠিতে খোদ চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করবেন। যাতে করে পার্টির চেয়ারম্যানকে বাইপাস করার সুযোগ না থাকে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার মধ্যেই ৮৭ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে থেকে যান। প্রতীক বরাদ্দের চিঠি ইস্যু করেছিলেন পার্টির তৎকালীন মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। সেই রকম কোন সুযোগ দিতে চান না জিএম কাদের। কোন কারণে জিএম কাদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে এবারও বাগড়া দিতে পারেন রওশন এরশাদ। অনেক সংসদ সদস্যই নাকি নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন।

বিগত কয়েকটি উপনির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের চিঠিও পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দিয়েছেন বলে দফতর সূত্র জানিয়েছে। চলতি বছর অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের পৃথক প্রার্থী দিলেও জিএম কাদেরের প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করে ইলেকশন কমিশন।

পার্টি সূত্র জানিয়েছে, এবার দলীয় মনোনয়ন ফরমের দাম ৫০ শতাংশ বাড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরমের দাম ছিল ২০ হাজার টাকা। এবার ফরমের দাম ৩০ হাজার টাকা করার চিন্তা ভাবনা চলছে। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাম ছিল ১৫ হাজার টাকা, আর ২০০৮ সালে নেওয়া হয় ১০ হাজার টাকা।

যে কোন দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আসতে পারে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট তত্বাবধায়কের দাবিতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। দাবি আদায়ে হরতাল অবরোধসহ টানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল এখন পর্যন্ত অবস্থান পরিষ্কার করেনি। পার্টির চেয়ারম্যান সময় বলে আসছে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে তারা অংশ নেবে। তত্বাবধায়ক প্রশ্নে তাদের কোন বক্তব্য নেই।

গত ১১ জুন এক অনুষ্ঠানে জিএম কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে তার জায়গায় রেখে কোন পরিবর্তনকে আমরা পরিবর্তন মনে করি না। মন্ত্রীসভায় কে থাকলো না থাকলো অথবা সংসদে কতজন সদস্য আছে বা নেই তাতে কিছু এসে যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ক্ষমতা রেখে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না।

৪ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, আমরা এখন নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আমরা এখনও জানি না দেশের পরিস্থিতি কি হবে। তবে সময় এলে সিদ্ধান্ত নেবো, নির্বাচনে অংশ নেবো কিনা। সময় এলে দেশের অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তখন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে। যতক্ষণ ঘোষণা না দিয়েছি, ততক্ষণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আছি। নেতাকর্মী প্রস্তুত থাকার জন্য বলছি।

জাতীয় পার্টির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরামের এক সভায় নির্বাচন প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিতে পার্টির চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তিনি যা খুশি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

১১ নভেম্বর এক যোগদান অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, নির্বাচন যদি ফেয়ার না হয়, আমরা ভোট পাবো না, আমাদের ভোটাররা নিরীহ। আওয়ামী লীগের লোকজন নিরীহ না, তারা পুলিশ নিয়ে এসে বাইড়া ভোট নিবো। যারা আমাদের খাটো করে দেখবে তাদের সঙ্গে প্রেম নেই। আগামী নির্বাচন যদি মিনিমাম ফেয়ার হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে নিজের বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবেন। মারমুর খেতে হলে খাবো।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেছেন, অসম নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। শেষ বয়সে এসে রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হতে চাই না, কারো নির্বাচনের বৈধতা দিতে পারি না। সিগন্যাল ডাইনে দিয়ে বায়ে যাবো না। অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে।

অবরোধ বিরোধী কর্মসূচির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের সঙ্গে শান্তি কমিটি করবো! যে শান্তি বাহিনীকে একাত্তরে গুলি করে হত্যা করেছি। এবার সেই শান্তি কমিটিতে নাম লেখাবো!

   

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংহতি ছাত্রলীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরে করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বিবৃতে দলটি জানায়, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।

এতে আরও বলা হয়, নিরীহ-নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সাথে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাঁধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলো। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিলো।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। তাঁদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি-

আগামী সোমবার (৬ মে) সকাল এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে দলটি।

একইসাথে, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসাথে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

;

সরকার উৎখাতের দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না: মির্জা আব্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে , তখন এই সরকারকে লাথি দিয়ে ফেলে দিবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্রেফতার করে পৃথিবীর কোন আন্দোলন, কোন স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না এমন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই জনরোষের মুখে। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

তিনি বলেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সে নির্বাচন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। এখন একটি কাজ করতে পারেন রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন। নির্বাচনের কথা আপনাদের (সরকার) মুখে মানায় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কাদের সাহেব বললেন, জেলে কোন রাজবন্দী নেই। কি সুন্দর কথা বললেন কাদের সাহেব, আমার খুব হাসি পায়। কাদের সাহেব আপনি যখন ওয়ান-ইলেভেনে জেলে ছিলেন। আপনি কি চোর হয়ে সেদিন জেলে গিয়েছিলেন? না, রাজবন্দী হয়ে জেলে গিয়েছিলেন, আমি জানতে চাই। এক - এগারোর সময় আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী উনিও জেলে গিয়েছিলেন। উনি কি হয়ে জেলে গিয়েছিলেন? আমি জানতে চাই।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।

;

প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গণতন্ত্র, সুশাসনের আবহাওয়া তৈরি করতে সর্বশেষ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করে বিএন‌পির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করবো। কিন্তু আমাদের গায়ে যদি লাঠির আঘাত আসে তাহলে কতদিন শান্তিপূর্ণ থাকবো। প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে। না হলে আরও অনেককে কারাগার যেতে হবে।

তিনি বলেন, হাইকোর্ট আওয়ামী লীগ, পুলিশ আওয়ামী লীগ, প্রশাসনের ডিসি এসপিরা ছাত্রলীগ। এরকম একটা পরিবেশে মানুষের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোন ন্যায় বিচার নেই। মানুষ আদালতে যায় প্রতিকার পাওয়ার জন্য সেটাও নেই।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুদিন ধরেই বলছেন তাকে নাকি কিছু রাজনৈতিক দল উৎখাতের চেষ্টা করছে। আমার কথা হচ্ছে রাজনৈতিক দল উৎখাতে চেষ্টা করবে কেন? আপনি (শেখ হাসিনা) আপনার সরকার উৎখাত হোক এটা তো জনগণ চাচ্ছে। আর ক্ষমতায় আসা না আসা এটা কোন রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে জনগণের ওপর। আপনি জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছেন, ভোটার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছেন। আপনার ক্ষমতা চলে যাক এটা জনগণ চায়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ১৯৭৮, ৭৯ সাল থেকে গণতন্ত্র নাকি ধ্বংস করা হয়েছে। ওনি নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমরা গণতন্ত্র, রাষ্ট্র, সরকারের আভিধানিক অর্থ জানি। কিন্তু শেখ হাসিনার যে কথাবার্তা চিন্তা ধারা সেটা জানতে হলে আলাদা একটা ডিকশনারি খুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা উন্নয়নের কথা বলে। একটা প্রবাদ আছে অন্ধের হাতি দর্শন শেখ হাসিনার উন্নয়ন। মানুষ অভুক্ত, খেতে পারছে না তারপরও শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলতে হবে। আলু, পেঁয়াজ, বোরো চাষ করার জন্য কৃষকরা ৫০০০ টাকা ঋণ নেয়, সেই ঋণ শোধ করতে না পারলে কৃষকদেরকে জেলে যেতে হয়। আর হাজার হাজার কোটি টাকা যারা ঋণ নিয়েছে তারা হচ্ছে ক্ষমতার ঘনিষ্ঠ। তারা প্রকাশ্য আলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা শেখ হাসিনার সুশাসনের নমুনা।

;