নির্বাচনের পথেই এগুচ্ছে জাতীয় পার্টি!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয় পার্টি

জাতীয় পার্টি

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও নির্বাচন প্রশ্নে এখনও কোন সিদ্ধান্ত জানায় নি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তবে একাধিক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাওয়ার পথেই এগুচ্ছে, চলছে আসন নিয়ে দর-কষাকষি। 

ওই নেতারা জানিয়েছেন, আসন ভাগাভাগি চুড়ান্ত হলেই নির্বাচনের যাওয়ার বিষয়ে ঘোষণা দেবে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতের মধ্যেই চূড়ান্ত হতে পারে। এ জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির সব আয়োজন গুছিয়ে রাখা হয়েছে। মনোনয়ন ফরম বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বনানী চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে স্টাফদের আগামীকাল শুক্রবারের (১৬ নভেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে অফিসে থাকতে বলা হয়েছে।

পার্টি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে। আবার দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা অনেকেই চান নির্বাচন করতে। আওয়ামী লীগের কাছে কমপক্ষে ৬০টি আসন চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত ৩৬টি আসন ছেড়ে দিতে চেয়েছে। দুই ধরনের পরিকল্পনা রাখা হয়েছে, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে এক রকম আর নিলে আরেক রকম। বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে। তবে নির্দিষ্ট কিছু আসনের বিষয়ে গোপন সমঝোতা থাকবে। যেভাবে ২০১৮ সালের নির্বাচন হয়েছিল।

অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকারের পাশাপাশি রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের মধ্যেও কিছু আসনের মতবিরোধ রয়েছে। বিশেষ করে রংপুর-৩ (সদর), রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, নারায়নগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসন নিয়ে তাদের পৃথক পছন্দ রয়েছে। জাতীয় পার্টির দুর্গখ্যাত রংপুর-৩ আসন থেকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এরশাদের মৃত্যুর পর আসনটি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রওশন পুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ। আসনটিতে নির্বাচনের বিষয়ে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরও খুবই আগ্রহী। অন্যদিকে রওশন এরশাদও তার পুত্রকে রাখতে বদ্ধপরিকর। উপনির্বাচনের সময়ও বিষয়টি নিয়ে রশি টানাটানি হয়।

রংপুর-১ আসনে বিগত দুই সংসদে নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। রওশন পন্থী বলে পরিচিত রাঙ্গাকে পার্টির সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার চিফ হুইপ পদ কেড়ে নেওয়ার জন্য জিএম কাদের’র চেষ্টা বিফলে যায়। ওই আসনে এক সময় জাপার টিকেটে সংসদ সদস্য ছিলেন ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ার। জিএম কাদের আসনটি মসিউর রহমান রাঙ্গাকে ছাড়তে নারাজ।

নারায়নগঞ্জ-৩ আসন নিয়েও জটিলতা রয়েছে। আসনটি বিগত কয়েকটি সংসদে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা বিগত দুই সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন। একই আসনের বাসিন্দা রওশন এরশাদের বিশ্বস্ত সহচর সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ্।

জিএম কাদেরের পাশাপাশি রওশন এরশাদের পক্ষ থেকেও দর-কষাকষি চলছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাত করেন রওশন এরশাদ। সরকারের আস্থাভাজন রওশন ২০১৪ সালের নির্বাচনের আসন ধরে ৩৫টি আসন চেয়েছেন। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ২০ জন ও পরে ১৪ জন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসেন। রওশন এরশাদ একটি তালিকাও দিয়ে এসেছেন বলে জানা গেছে।

জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রথম নির্বাচনী জোট গঠন করে ২০০৮ সালের নির্বাচনে। তখন জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ৪৯ আসনের দাবী ছিল। এর মধ্যে ৩২টি আসন দেওয়া হয় আর ১৭টি আসন উন্মুক্ত রাখা হয়। এতে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ২৭টি আসনে বিজয়ী হন। আর গত নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ, সব মিলিয়ে ২৭৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। এর মধ্যে জোটগতভাবে ২১টি আর উন্মুক্ত থেকে একটি আসনে বিজয়ী হয় জাতীয় পার্টির প্রার্থী।

নির্বাচন প্রশ্নে ভেবে চিন্তে পা ফেলতে চায় জাতীয় পার্টি। সময়ক্ষেপণ করে দেখতে চান অন্যকিছু ঘটে কিনা। বিশেষ করে আমেরিকার দৌড়ঝাপের দিকেও নজর রাখছে দলটি। অনেকেই ২০১৪ সালের নির্বাচনের আলামত দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। ২০১৪ সালে নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করার পর হঠাৎ করেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে রওশনের নেতৃত্বে ৮৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে থেকে যান। 

একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন বিশাল ক্ষমতা ও ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি নেতাদের নির্বাচনে যাওয়া ঠেকাতে পারেন নি, জিএম কাদের সে তুলনায় কিছুই না। অনেক নেতাই চান যে কোনভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে।

১৪ নভেম্বর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে কি না তা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে নানাভাবে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে। যখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাই, তখনই পিছুটান আসে। কিন্তু সরকার দল ভাঙতে পারছে না। আমার অনুরোধ, যে সিদ্ধান্ত নেব, সবাই সে সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন। হয়তো সবার মতামতের প্রতিফলন নাও হতে পারে। রাজনীতিতে আবেগের মূল্য দিলে পথভ্রষ্ট হতে হবে, বাস্তবতাকে মূল্য দিতে হবে।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমরা এখন পর্যন্ত নির্বাচন প্রশ্নে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারি নি। আরও তিন-চার দিন পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে চাই। আমরা মনে করছি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে। 

   

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৪ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃবৃন্দের অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে। জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না।

জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়। সে কারণে তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে। বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

;

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংহতি ছাত্রলীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরে করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বিবৃতে দলটি জানায়, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।

এতে আরও বলা হয়, নিরীহ-নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সাথে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাঁধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলো। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিলো।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। তাঁদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি-

আগামী সোমবার (৬ মে) সকাল এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে দলটি।

একইসাথে, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসাথে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

;

সরকার উৎখাতের দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না: মির্জা আব্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে , তখন এই সরকারকে লাথি দিয়ে ফেলে দিবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্রেফতার করে পৃথিবীর কোন আন্দোলন, কোন স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না এমন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই জনরোষের মুখে। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

তিনি বলেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সে নির্বাচন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। এখন একটি কাজ করতে পারেন রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন। নির্বাচনের কথা আপনাদের (সরকার) মুখে মানায় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কাদের সাহেব বললেন, জেলে কোন রাজবন্দী নেই। কি সুন্দর কথা বললেন কাদের সাহেব, আমার খুব হাসি পায়। কাদের সাহেব আপনি যখন ওয়ান-ইলেভেনে জেলে ছিলেন। আপনি কি চোর হয়ে সেদিন জেলে গিয়েছিলেন? না, রাজবন্দী হয়ে জেলে গিয়েছিলেন, আমি জানতে চাই। এক - এগারোর সময় আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী উনিও জেলে গিয়েছিলেন। উনি কি হয়ে জেলে গিয়েছিলেন? আমি জানতে চাই।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।

;