জাসদের ১৮১ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৮১টি আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৮১টি আসনে প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে জাসদ। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আরও কিছু আসনের বিপরীতে দলের মনোনীত চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করবে বলে সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন, মোহাম্মদ মহসীন, মির্জা মো. আনোয়ারুল হকসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

জাসদের ১৮১টি আসনে প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা-

পঞ্চগড়
পঞ্চগড়-১: মো. ফারুক আহম্মদ, পঞ্চগড়-২: অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম।

ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁও-১: মো. খাদেমুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-২: অধ্যক্ষ রাজিউর রহমান বাবুল, ঠাকুরগাঁও-৩: মো. সোলায়মন ঢালী।

দিনাজপুর
দিনাজপুর-২: অ্যাডভোকেট ইমামুল ইসলাম, দিনাজপুর-৩: শহীদুল ইসলাম শহীদুল্লাহ, দিনাজপুর-৪: অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী, দিনাজপুর-৫: অধ্যাপক আতাউর রহমান, দিনাজপুর-৬: শাহ আলম বিশ্বাস।

নীলফামারী
নীলফামারী-১: মো. খায়রুল আলম (আনাম), নীলফামারী-২: জাবির হোসেন প্রামানিক, নীলফামারী-৩: অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম, নীলফামারী-৪: মো. আজিজুল হক।

লালমনিরহাট
লালমনিরহাট-১: ডা. হাবিব মো. ফারুক।

রংপুর
রংপুর-২: কুমারেশ রায়, রংপুর-৩: সাহীদুল ইসলাম।

কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রাম-২: নুরুল ইসলাম বখশী ঠান্ডা, কুড়িগ্রাম-৪: মো. গোলাম হাবিবুর রহমান বিদ্যুৎ।

গাইবান্ধা
গাইবান্ধা-১: মো. গোলাম আহসান হাবিব মাসুদ, গাইবান্ধা-২: গোলাম মারুফ মনা, গাইবান্ধা-৩: এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদী, গাইবান্ধা-৫: ডা. একরাম হোসেন।

জয়পুরহাট
জয়পুরহাট-১: আবুল খায়ের মো. শাখাওয়াত হোসেন, জয়পুরহাট-২: আবুল খায়ের মো. শাখাওয়াত হোসেন।

বগুড়া
বগুড়া-১: অ্যাডভোকেট হাসান আকবর আফজল হারুন, বগুড়া-৩: আব্দুল মালেক সরকার/মো. ফেরদৌস স্বাধীন (ফিরোজ), বগুড়া-৪: এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন, বগুড়া-৫: রাসেল মাহমুদ, বগুড়া-৬: অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক ইমদাদ, বগুড়া-৭: মো. আব্দুর রাজ্জাক।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১: অধ্যাপক আবু বাক্কার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২: বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহের আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩: আব্দুল হামিদ রুনু।

নওগাঁ
নওগাঁ-১: বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান, নওগাঁ-২: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, নওগাঁ-৩: বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াজেদ আলী, নওগাঁ-৪: অ্যাডভোকেট মো. রিয়াজ উদ্দিন, নওগাঁ-৫: এস এম আজাদ হোসেন মুরাদ, নওগাঁ-৬: অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বুলবুল।

রাজশাহী
রাজশাহী-১: প্রদীপ মৃধা, রাজশাহী-২: আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, রাজশাহী-৬: জুলফিকার মান্নান জামী।

নাটোর
নাটোর-১: মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, নাটোর-৪: অ্যাডভোকেট বিপ্লব কুমার রাম।

সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জ-১: আব্দুল হাই তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-২: আবু বকর ভূঁইয়া, সিরাজগঞ্জ-৪: মোস্তফা কামাল বকুল, সিরাজগঞ্জ-৫: বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সিরাজগঞ্জ-৬: মোজাম্মেল হক।

পাবনা
পাবনা-১: শেখ আনিসুজ্জামান, পাবনা-২: মোছা: পারভীন খাতুন/শেখ আনিসুজ্জামান, পাবনা-৩: আবুল বাশার শেখ, পাবনা-৪: মো. আব্দুল খালেক, পাবনা-৫: আফজাল হোসেন রাজা।

মেহেরপুর
মেহেরপুর-১: মো. মাহাবুবুর রহমান (মাহবুব চান্দু), মেহেরপুর-২: ওমর আলী।

কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া-১: শরিফুল কবির স্বপন, কুষ্টিয়া-২: হাসানুল হক ইনু, কুষ্টিয়া-৩: গোলাম মোহসীন, কুষ্টিয়া-৪: রোকনুজ্জামান রোকন।

চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা-১: বীর মুক্তিযোদ্ধা সবেদ আলী, চুয়াডাঙ্গা-২: জুলফিকার হায়দার/অ্যাডভোকেট আকসিজুল ইসলাম রতন।

ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ-১: শরাফত ইসলাম, ঝিনাইদহ-২: চন্দন চক্রবর্তী, ঝিনাইদহ-৩: শামীম আকতার বাবু।

যশোর
যশোর-৩: অ্যাডভোকেট রবিউল আলম।

মাগুরা
মাগুরা-১: জাহিদুল আলম, মাগুরা-২: জাহিদুল আলম।

নড়াইল
নড়াইল-১: সাইফুজ্জামান বাদশা।

বাগেরহাট
বাগেরহাট-৩: শেখ নুরুজ্জামান মাসুম।

খুলনা
খুলনা-২: খালিদ হোসেন, খুলনা-৩: শেখ গোলাম মর্তুজা, খুলনা-৫: সুজিত মল্লিক।

সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা-১: শেখ মো. ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, সাতক্ষীরা-৪: অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী।

বরগুনা
বরগুনা-১: আবু জাফর সূর্য।

পটুয়াখালী
পটুয়াখালী-১: কে এম আনোয়ারুজ্জামান মিয়া (চুন্নু), পটুয়াখালী-৪: বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু।

ভোলা
ভোলা-১: বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান।

বরিশাল
বরিশাল-২: সাজ্জাদ হোসেন, বরিশাল-৩: কাজী সিদ্দিকুর রহমান, বরিশাল-৪: অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই মাহবুব, চলমান-২, বরিশাল-৫: কে এম মনিরুল আলম (স্বপন খন্দকার), বরিশাল-৬: মোহাম্মদ মোহসীন।

পিরোজপুর
পিরোজপুর-১: সাইদুল ইসলাম ডালিম, পিরোজপুর-২: সিদ্ধার্থ মন্ডল, পিরোজপুর-৩: রণজিৎ কুমার হাওলাদার।

টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল-৪: ড. এস এম আবু মোস্তফা, টাঙ্গাইল-৬: সৈয়দ নাভেদ হোসেন, টাঙ্গাইল-৭: মো. মঞ্জুর রহমান মজনু, টাঙ্গাইল-৮: মো. রফিকুল ইসলাম।

জামালপুর
জামালপুর-৪: গোলাম মোস্তফা জিন্নাহ, জামালপুর-৫: অধ্যাপক খন্দকার মো. ইতিমুদ্দৌলা।

শেরপুর
শেরপুর-১: মনিরুল ইসলাম লিটন, শেরপুর-২: লাল মো. শাহজাহান কিবরিয়া, শেরপুর-৩, মিজানুর রহমান মিজান।

ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ-১: আমিনুল ইসলাম আমিন, ময়মনসিংহ-২, অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন, ময়মনসিংহ-৩: আব্দুল আজিজ, ময়মনসিংহ-৪: অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু, ময়মনসিংহ-৬: সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু, ময়মনসিংহ-৭: রতন সরকার, ময়মনসিংহ-৯: অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, ময়মনসিংহ-১১: অ্যাডভোকেট সাদিক হোসেন।

নেত্রকোনা
নেত্রকোনা-২: মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির।

কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ-১: শারফুদ্দিন সোহেল, কিশোরগঞ্জ-৩: মো. শওকত আলী, কিশোরগঞ্জ-৫: নন্দন শেঠ, কিশোরগঞ্জ-৬: রফিকুল ইসলাম রাজা, মানিকগঞ্জ-১: আফজাল হোসেন খান জকি।

মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ-২: মো. রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী, মানিকগঞ্জ-৩: সৈয়দ সারোয়ার আলম চৌধুরী।

মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জ-১: অ্যাডভোকেট নাসিরুজ্জামান খান, ঢাকা-৫: মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা-৭: ইদ্রিস ব্যাপারি, ঢাকা-৯: অ্যাডভোকেট নিলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী), ঢাকা-১০: শওকত রায়হান, ঢাকা-১৩: অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ খান, ঢাকা-১৪: অ্যাডভোকেট আবু মো. হানিফ, ঢাকা-১৫: মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম সুমন, ঢাকা-১৬: মো. নুরুন্নবী।

গাজীপুর
গাজীপুর-১: অ্যাডভোকেট আব্দুর রফিক, গাজীপুর-২: একরামুল হক খান (সোহেল), গাজীপুর-৩: জহিরুল হক মন্ডল বাচ্চু, গাজীপুর-৫: মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম আকন্দ (লিটন)।

নরসিংদী
নরসিংদী-২: জায়েদুল কবীর, নরসিংদী-৪: মো. হুমায়ূন কবির সর্দার।

নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ-৫: মো. শাহজাহান।

রাজবাড়ী
রাজবাড়ী-২: আব্দুল মতিন মিয়া।

ফরিদপুর
ফরিদপুর-১: হারুন অর রশীদ রতন, ফরিদপুর-৪: নাজমুল কবির মনির।

গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ-১: মো. ফায়েকুজ্জামান, গোপালগঞ্জ-২: শেখ মাসুদুর রহমান।

মাদারীপুর
মাদারীপুর-২: সালাহউদ্দিন খান।

শরীয়তপুর
শরীয়তপুর-১: স ম আব্দুল মালেক, শরীয়তপুর-২: মো. ফিরোজ মিয়া (ফিরোজ শাহী)।

সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জ-১: এ কে এম অহিদুল ইসলাম কবির, সুনামগঞ্জ-২: মো. আমিনুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ-৩: মো. নাজমুল হক, সুনামগঞ্জ-৪: আবু তাহের মো. রুহুল আমিন (তুহীন), সুনামগঞ্জ-৫: আলাউদ্দিন আহমেদ মুক্তা।

সিলেট
সিলেট-১: শামীম আখতার, সিলেট-২: লোকমান আহমেদ, সিলেট-৩: আব্দুল হাসিব চৌধুরী, সিলেট-৪: মো. নাজমুল ইসলাম, সিলেট-৫: লোকমান আহমেদ, সিলেট-৬: লোকমান আহমেদ।

মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার-১, এ এম মোনায়েম মনু, মৌলভীবাজার-২: অ্যাডভোকেট বদরুল হোসেন ইকবাল, মৌলভীবাজার-৩: আব্দুল মোসাব্বির, মৌলভীবাজার-৪: এলেমান কবির।

হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জ-১: মো. আব্দুল মান্নান, হবিগঞ্জ-২: আবু হেনা মোস্তফা কামাল, হবিগঞ্জ-৩: অ্যাডভোকেট তাজউদ্দিন আহমেদ সুফী, হবিগঞ্জ-৪: জিয়াউল হাসান তরফদার (মাহিন)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: এস এম আলী আজম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: মো. আব্দুর রহমান খান (ওমর), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫: অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ।

কুমিল্লা
কুমিল্লা-১: ধীমন বড়ুয়া, কুমিল্লা-৫: ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, কুমিল্লা-৬: মনিরুল ইসলাম।

চাঁদপুর
চাঁদপুর-১: মো. সাইফুল ইসলাম সোহেল, চাঁদপুর-২: মো. হাছান আলী সিকদার/শহীদ আলমগীর, চাঁদপুর-৩: মুহাম্মদ মাসুদ হাছান, চাঁদপুর-৫: মনির হোসেন মজুমদার।

ফেনী
ফেনী-১: শিরীন আখতার।

নোয়াখালী
নোয়াখালী-১: মো. হারুন অর রশীদ সুমন, নোয়াখালী-২: নইমুল আহসান জুয়েল, নোয়াখালী-৪: এস এম রহিম উল্যাহ, নোয়াখালী-৫: মোহাম্মদ মোকসুদের রহমান মানিক, নোয়াখালী-৬: ইশরাজুর রহমান শামীম।

লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুর-২: আমির হোসেন মোল্লা, লক্ষ্মীপুর-৩: অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সেলিম, লক্ষ্মীপুর-৪: মোশারেফ হোসেন।

চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম-৩: নুরুল আখতার, চট্টগ্রাম-৮: শ্যামল বিশ্বাস, চট্টগ্রাম-১১: জসিম উদ্দিন বাবুল, চট্টগ্রাম-১৬: কামাল মোস্তফা চৌধুরী।

কক্সবাজার
কক্সবাজার-১: মো. নাজিম উদ্দিন, কক্সবাজার-৩: নাইমুল হক চৌধুরী টুটুল।

   

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। বহিষ্কৃতরা হলেণ, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম ও ফলসী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম রহমান।

শনিবার (৪ মে) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দলটি সূত্রে জানা যায়, গত ২ মে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে আমিরুল ইসলাম ও গোলাম রহমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে তাদের প্রচার চালাচ্ছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত (খুলনা বিভাগ) সহসাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। এছাড়াও ঝিনাইদহ বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে কারণ দর্শানোর নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার উত্তর দিতে বলা হয়েছিল।

;

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৪ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃবৃন্দের অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে। জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না।

জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়। সে কারণে তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে। বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

;

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংহতি ছাত্রলীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরে করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বিবৃতে দলটি জানায়, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।

এতে আরও বলা হয়, নিরীহ-নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সাথে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাঁধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলো। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিলো।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। তাঁদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি-

আগামী সোমবার (৬ মে) সকাল এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে দলটি।

একইসাথে, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসাথে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

;