যে দ্বন্দ্বে ঝুলে আছে রওশন-কাদের সমঝোতা!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রওশন এরশাদ ও  জিএম কাদের

রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

রওশন অনুসারীদের মনোনয়ন না দিতে অনড় জিএম কাদের, আর অনুসারীদের ছেড়ে একা নির্বাচনে যেতে নারাজ রওশন এরশাদ। সেই সঙ্গে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদের রংপুর-৩ আসন নিয়েও দেবর-ভাবির (জিএম কাদের-রওশন এরশাদ) দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছে।

প্রয়োজনে নির্বাচনের বাইরে থাকবেন, তবুও অনুসারীদের ছেড়ে নির্বাচনে না যাওয়ার কথা জানিয়েছেন রওশন এরশাদ। এমনকি জিএম কাদেরের স্বাক্ষরে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা চিন্তা করছেন বলে তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে রওশন এরশাদ।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না শর্তে বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওই বৈঠকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, কাজী মামুনুর রশীদসহ অনেকেই যোগ দেন।

বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, দেবর জিএম কাদের’র আচরণে ভীষণ ক্ষুব্ধ রওশন এরশাদ। আগে থেকেই ছিল টানাপোড়েন, ছেলের আসন নিয়ে টান দেওয়ায় দূরত্ব আরও বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত রওশন এরশাদ নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করছেন তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে চান। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন পুত্র সাদ এরশাদ। ২০ নভেম্বর জিএম কাদেরের পক্ষে রংপুর-৩ আসনের মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে। আর এতেই বেজায় চটেছেন রওশন এরশাদ। জিএম কাদের বিগত কয়েকটি সংসদে লালমনিরহাট সদর থেকে নির্বাচন করে আসছেন।

তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগেও রওশনের অবস্থান ছিল ভিন্ন। তার অনুসারীরা ভিন্নভাবে মনোনয়নপত্র বিক্রির পরামর্শ দিলেও তাতে সায় দেন নি। তখন বলেছিলেন, সবাইকে নিয়ে পার্টি করতে হবে। পার্টিকে ভাগ করা উচিত হবে না।

গত ২০ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিকট দলীয় ফরম বিতরণ করে জাতীয় পার্টি। মনোনয়নপত্র বিতরণ শেষ হলেও রওশন এরশাদ কিংবা তার সন্তান সাদ এরশাদসহ অনুসারীরা কেউই পার্টির মনোনয়নপত্র তোলেন নি। অবশ্য আগেই রওশন অনুসারীদের মনোনয়নপত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে রাখেন জিএম কাদের। এমনকি রওশন পন্থী বলে পরিচিত বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার মেয়ে সাক্ষাৎ করতে আসলে জিএম কাদের নাকি সৌজন্যতাও দেখান নি।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের জানান, আমাদের সম্মানিত প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ গতকালও আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছিলেন। তিনি তার ও পুত্র সাদ এরশাদ এবং ডা. কে আর ইসলামের জন্য তিনটি মনোনয়নপত্র চেয়েছেন। আজ তার (বেগম রওশন এরশাদ) লোক এলে আমরা মনোনয়নপত্র দিয়ে দেবো। বেগম রওশন এরশাদ বললে, আমরা তার মনোনয়নপত্র পাঠিয়ে দেবো। প্রয়োজন হলে আমি নিজে গিয়ে পৌঁছে দেবো। আমার মনে হচ্ছে, হয়তো মনোনয়নের জন্য লোক পাঠাবেন। তার জন্য সময় কোন বিষয় না। যখন চাইবেন তখনই দেওয়া হবে।

পার্টির মহাসচিব কয়েকদিন ধরেই এমন বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় রওশন এরশাদের বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। তারপরও দৃশ্যপটে কোন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না।

দেবর-ভাবির ঠান্ডা যুদ্ধ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর থেকেই দৃশ্যমান। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই এরশাদ মারা গেলে পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয় দেবর-ভাবির মধ্যে। এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার পদ নিয়ে শুরু হয় টানাটানি। জিএম কাদের এবং রওশন এরশাদ পাল্টাপাল্টি চিঠি দেন স্পিকারকে। শেষ পর্যন্ত রওশনের চিঠিকে মূল্যায়ন করেন স্পিকার। 

ঠান্ডা লড়াইয়ের মধ্যে ২০২২ সালে ৩১ আগস্ট হঠাৎ করেই একতরফা জাতীয় পার্টির কাউন্সিল আহ্বান করেন রওশন এরশাদ। ২৬ নভেম্বর পার্টির কাউন্সিলের তারিখ দিয়ে একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে দেন। প্রতিক্রিয়ায় মাঠে নেমে পড়ে জিএম কাদের পন্থীরাও। একদিনের ব্যবধানে রওশন এরশাদকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে দিতে স্পিকারকে চিঠি দেন। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই চিঠির কোন কার্যকারিতা দেখা যায় নি। রওশন পন্থী বলে পরিচিত মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ কয়েকজন নেতাকেও বহিষ্কার করেন জিএম কাদের। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ পদ থেকে মসিউর রহমান রাঙ্গাকেও সরাতে চিঠি দেন জিএম কাদের। এবারও বাঁধ সাধেন রওশন এরশাদ।

রওশন ঘোষিত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব করা হয় সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহকে। গোলাম মসিহ্ কমিটি বেশ তোড়জোড় নিয়েই কাউন্সিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ৪৫টি জেলায় প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে। এতে জায়গা পান নানা কারণে নিষ্ক্রিয় জাতীয় পার্টির সিনিয়র ও পদবঞ্চিত নেতারা। গুলশানের ৪৭ নম্বর রোডে আলাদা অফিস নিয়ে চলে পার্টির কর্মকাণ্ড। যে অফিস এখনও বিদ্যমান।

দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানের এক সময়ে সংসদ বর্জনের আল্টিমেটাম দেন জিএম কাদের। হঠাৎ করেই দুই পক্ষই রণে ভঙ্গ দেন। জিএম কাদের সংসদ বর্জনের হুমকি থেকে সরে আসেন। ২ মাসের মাথায় ৩০ অক্টোবর হঠাৎ করেই কাউন্সিল সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন রওশন।

দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে রওশন এরশাদ দেশে ফিরলে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে হাজির হন দেবর-ভাবি। সেই বৈঠকের পরে বরফ গলতে শুরু করে। গত ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হন রওশন এরশাদ। এরপর কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে রওশন পন্থীরা।

কিন্তু নির্বাচন প্রশ্নে তাদের মধ্যে মতপার্থক্য বাড়তে থাকে। জিএম কাদের ছিলেন অনেকটাই নির্বাচনের বিপক্ষে, আর রওশন এরশাদ আগাগোড়া নির্বাচনমুখী। রওশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা আগেভাগেই দিয়ে রেখেছিলেন। আর ২২ নভেম্বর অনেকটা বাধ্য হয়েই নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন জিএম কাদের। কথিত রয়েছে দুই পক্ষই পৃথকভাবে নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর তালিকা তৈরি করেছেন।

গত ১৮ নভেম্বর জিএম কাদের ও রওশন এরশাদ পৃথক চিঠি জমা দেন ইলেকশন কমিশনে। রওশন তার চিঠিতে মহাজোট গঠন ও নৌকা অথবা লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনের কথা জানান। অন্যদিকে জিএম কাদের নিজে লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ করার জন্য স্বাক্ষরের নমুনা কপি প্রেরণ করেন।

   

বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য বেগম জিয়ার শাস্তি হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য বেগম জিয়ার শাস্তি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আওয়ামী লীগ করেনি। সেই মামলায় গ্রেফতার ও বন্দি হয়েছেন। আমি বলবো বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য, বেগম জিয়া আদালতের হাজিরা প্রলম্বিত করা, এক বছরের বিচার দশ বছরেও শেষ হয়নি এটার জন্য বিএনপির নেতারা দায়ী। রাজপথেও তারা মুক্তির দাবিতে দেখার মতাও বিক্ষোভ মিছিলও করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং শেখ হাসিনার উদারতার জন্য শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকা ও চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করায় সহযোগীতা করেছে।

দেশি-বিদেশি চাপের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তিযুক্ত কতটা সেটা আমরা দেশ চালাচ্ছি, সেটা তো আমরা উপলব্ধি করি। কিভাবে আমাদের উপর চাপ দেয়া হয় সেটা আমরা দেশ শাসন করতে গিয়ে, দেশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই চাপগুলো আমরা অনুভব করি। নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে হুমকি, ধমকি ছিলো, নিষেধাজ্ঞার ভয় ছিলো। এগুলো তো প্রকাশ্যেই দেয়া হয়েছিলো। এখানে কোনো গোপনীয়তার বিষয় ছিলো বলে আমার জানা নেই। এখানে তো কোনো সিক্রেট বিষয় ছিলো না। এই বিষয়ে আমাদের বক্তব্যও পরিষ্কার।

;

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাসায় ফিরছেন খালেদা

বাসায় ফিরছেন খালেদা

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে। গতকাল এবং আজ তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।

এর আগে গতকাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে। 

;

বিএনপি শ্রমিকদের বন্দুকের জোরে জিম্মি করে রেখেছিল: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককেও হত্যা করেছে তারা।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে বন্দুকের জোরে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে মন্তব্য করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনো দিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেনি।

তিনি বলেন, তারা আদমজী জুট মিলসহ বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। শ্রমজীবী মানুষসহ সকল মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সর্বদা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ লাখ ২৩ হাজার ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল।

তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাট-তন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল।

;

সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আররের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

;