বিস্ফোরক মামলায় বিএনপি নেতা প্রিন্সের জামিন নামঞ্জুর

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম ময়মনসিংহ 
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতা প্রিন্সের জামিন নামঞ্জুর

বিএনপি নেতা প্রিন্সের জামিন নামঞ্জুর

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ওই মামলায় আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ চিফ জুডিসিয়াল ম‍্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইকবাল আহম্মেদ সোহাগ এই আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হালুয়াঘাট থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই মামলায় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করে আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট মো. নূরুল হক।

এসময় বিএনপিপন্থি আইনজীবী অ্যাড. এম.এ হান্নান খান, আনোয়ারুল আজিজ টুটুল, মাসুদ তানভীর তান্না, মাখন মল্লিক, শাজাহান কবীর সাজু, তোফায়েল আহমেদ সুজন ও কামরুল হাসান কিরণসহ প্রায় দুই ডজন আইনজীবী আসামি পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নেয়।

মামলার আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর হালুয়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) সোহেল আহমেদ বাদি হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক আইনে এই মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয়।

বিএনপি নেতা প্রিন্সের ছেলে সৈয়দ সেহরান ইমরান বলেন, গত ৪ নভেম্বর পল্টন থানার হয়রানিমূলক মামলায় ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে বাবাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা চলমান আছে।

সৈয়দ সেহরান ইমরান আরও বলেন, মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় আমার বাবাসহ বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে। এসব মামলায় আমরা বারবার বিজ্ঞ আদালতে জামিন প্রার্থনা করেও ন্যায় বিচার বঞ্চিত হচ্ছি।

এদিকে, এদিন সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে কঠোর নিরাপত্তায় ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল আদালতে আনা হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী। পরে আদালতে জামিন শুনানি শেষে আবার পুলিশি নিরাপত্তায় প্রিন্সকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।