জবরদস্তি করলেও ভোটকেন্দ্রে যাবেন না: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জবরদস্তি করলেও ভোটকেন্দ্রে না যাবেন না। ভোটারদের কাছে আহবান শেখ হাসিনার ভোটরঙ্গ রুখে দিন।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কমিশনসহ প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন শেখ হাসিনার পুতুল মাত্র। দেশের ১৮ কোটি মানুষ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আওয়ামী ডামি, আওয়ামী স্বতন্ত্র, আওয়ামী নৌকা, মনোনীত নৌকা, অনুমতিক্রমে স্বতন্ত্র, বিদ্রোহী নৌকা, আওয়ামী জোট, আওয়ামী পার্টির এক অদ্ভুত কিম্ভুতকিমাকার নির্বাচনের আয়োজন চলছে। এক ক্লাবের খেলা চলছে। খেলোয়াড়ও একই দলের। যেটা লাউ সেটাই কদু। নিজেরাই নিজেদের বিরোধী দল। 

রিজভী বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের চূড়ান্ত ক্ষণে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ঠেকানো যায়নি। পাকিস্তানি হানাদারেরা রাতের অন্ধকারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে আমাদের মনোবল ভেঙে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড বাংলার মানুষকে আরও বেশি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল। একই পদ্ধতিতে গুম-খুন-গ্রেপ্তার ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষকে দমন করতে চায় বর্তমান আওয়ামী সরকার। তবে প্রহসনের নির্বাচন ও স্বৈরতন্ত্রের পতন ঠেকাতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ।

অভিযোগ করে রিজভী বলেন, পুলিশ মহান বিজয় দিবসের বিজয় র‌্যালি করার অনুমতি দিতেও টালবাহানার মাধ্যমে একাত্তরের হানাদার বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। শুধু তাই নয়, বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে বাধার সৃষ্টি করেছে তারা। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছে।

তিনি বলেন, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ। নয়াপল্টনের ত্রি-সীমায় যেতে পারেন না আমাদের নেতারা। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়েও নজরদারি করছে শেখ হাসিনার দল-দাস আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ ওই কার্যালয়ে হানা দিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য সেখানে রাখা পুষ্পস্তবকসহ আনুসঙ্গিক সবকিছু নিয়ে যায় এবং সেই পুষ্পস্তবকের ফুলগুলো ছিড়ে একেবারে ভেঙে তছনছ করে দেয়। 

সারা দেশে আওয়ামী লীগ পুলিশ বাহিনী কর্তৃক হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের বিবরণ তুলে ধরে রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট গ্রেপ্তার ১২৫ জনের অধিক নেতাকর্মী, মোট ছয়টি মামলায় আসামি ৬২৫ জনের অধিক নেতাকর্মী এবং মোট আহত ৩০ জনের অধিক নেতাকর্মী।

 

   

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সভা সোমবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সভা আগামীকাল ৬ মে (সোমবার) বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (৫ মে) দুপুরে দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আগামীকাল ৬ মে (সোমবার) বিকেল ৪টায় আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে (বাড়ি নং- ৫১/এ, সড়ক- ৩/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা) আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

;

অর্থনীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ে চাপে আছি: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশ্বিক অর্থনীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ে ক্ষমতাসীন দল চাপের মধ্যে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আপনারা বলছেন, চাপে আছে, এ চাপটা কে দিচ্ছে, কোথায় থেকে আপনারা সে চাপ অনুভব করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, চাপটা হলো গ্লোবাল ইকোনমির (বৈশ্বিক অর্থনীতি)। যুদ্ধের কারণে যে অর্থনৈতিক সংকট, এটা সারা বিশ্ব জুড়েই। তার প্রভাব আমাদের এখানেও আছে। আমাদের আমদানি, রফতানি, জ্বালানি, মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকট, এগুলো অর্থনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এগুলো এফেক্টেড (ক্ষতিগ্রস্ত) হলেই তো চাপ হয়।

তিনি বলেন, এগুলো আমরা উপেক্ষা করবো কীভাবে!

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের অর্থনীতির প্রভাব থেকে বাংলাদেশ মুক্ত আছে, এমন দাবি আমরা করতে পারি না। কাজেই, আমরা চাপ অনুভব করছি। যেমন- দ্রব্যমূল্য। দ্রব্যমূল্য নিয়ে চাপের মধ্যে আছি। এটা অস্বীকার করলে বাস্তবতাকে অস্বীকার করা হবে।

মন্ত্রী-এমপিদের পরিবার থেকে উপজেলা নির্বাচনে দাঁড়াতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সে ক্ষেত্রে আপনারা দল থেকে যে নির্দেশ দিচ্ছেন, সেটা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা একটা দল করি। এখানে সরকারি পদ পাওয়াটা যদি কোনো পরিবারে কেন্দ্রীভূত হয়ে যায়, তখন অন্যান্য নেতাকর্মীরা ভাবেন, তাদের এখানে কোনো ভবিষ্যত নেই। সে কারণে তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করে। আমরা নীতিগত প্রশ্নে এই কথা বলেছি। আইনগত ব্যাপারটা ভিন্ন ব্যাপার। এটা আইনগত কোনো ব্যাপার না, এটা নীতিগত ব্যাপার।

ভারতের চলমান নির্বাচনে বিরোধী দলের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশকে ভারত অনুসরণ করছে, এ সম্পর্কে আপনি কী ভাবছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারতে তো অপজিশন (বিরোধী দল) নির্বাচন বর্জন করেনি। তারা ইলেকশনে (নির্বাচন) এসেছে। ইলেকশন নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। বক্তব্য আছে। সমালোচনা আছে কিন্তু তারা ইলেকশন করছে। ওখানে কিন্তু অপজিশন ইলেকশন থেকে দূরে সরে দাঁড়ায়নি। তাহলে আমাদের সঙ্গে মিল কোথায় হলো!

 

;

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। বহিষ্কৃতরা হলেণ, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম ও ফলসী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম রহমান।

শনিবার (৪ মে) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দলটি সূত্রে জানা যায়, গত ২ মে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে আমিরুল ইসলাম ও গোলাম রহমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে তাদের প্রচার চালাচ্ছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত (খুলনা বিভাগ) সহসাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। এছাড়াও ঝিনাইদহ বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে কারণ দর্শানোর নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার উত্তর দিতে বলা হয়েছিল।

;

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৪ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃবৃন্দের অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে। জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না।

জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়। সে কারণে তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে। বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

;