জাপার জোরালো প্রচারণা ৪৯ আসনে সীমাবদ্ধ



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমঝোতায় (নৌকা বিহীন) পাওয়া ২৬ আসনের দশটিতে শঙ্কা দেখছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। সমঝোতার বাইরে থাকা আসনগুলোর মধ্যে ২৩টি আসন সম্ভাবনাময় হিসেবে চিহ্নিত করেছে দলটি।

যারা নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। অর্থাৎ মোট ৪৯টি আসনে জোরালো নির্বাচনী কার্যক্রম চলছে দলটির। এসবের বাইরে আরও ৩৮টি আসনে প্রার্থীরা প্রচারণায় রয়েছে, তবে তাদের উপস্থিতি উল্লেখ করার মতো নয়। তাদের প্রচারণাকে নামকাওয়াস্তে বলে দাবি করেছে কেউ কেউ।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ মুহূর্তে এসে ২৫টি আসন থেকে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থীদের সরিয়ে নেয়। আর আগে থেকেই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেয়নি। আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিলেও নিজ দলের স্বতন্ত্রদের কারণে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া), পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) ও নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসন নিয়ে সংকটে রয়েছে জাপা। এসব আসনে জাতীয় পার্টির বর্তমান এবং সাবেক সংসদ সদস্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। এর বাইরে হবিগঞ্জ-১, মানিকগঞ্জ-১ আসনসহ ৬টি আসন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে দলটি।

সমঝোতায় বাইরে ২৩ আসনে দলটির প্রার্থীরা তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিচ্ছেন। তারা নির্বাচনী প্রচারণাতেও রয়েছে জোরালো ভূমিকায়। এই তালিকার শুরুতেই রয়েছে ৫ জন বর্তমান সংসদ সদস্য, যারা বিগত নির্বাচনে জোটের মনোনয়ন পেলেও এবার নানা কারণে বঞ্চিত হয়েছেন।

এই তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন ঢাকা-৪ আসনে দলটির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। তিনি বিগত দু’টি সংসদে ঢাকা-৪ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিগত দু’টি সংসদে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাও। তিনি এবারও প্রার্থী হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে। বরিশাল-৬ আসনে বিগত দু’টি সংসদ নির্বাচনে জোটের মনোনয়ন পেলেও এবার নৌকার সঙ্গে লড়তে হচ্ছে প্রেসিডিয়াম সদস্য রত্মা আমিন হাওলাদারকে। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে মহাজোটের টিকেটে এমপি নির্বাচিত হলেও এবার ছিটকে গেছেন পীর ফজলুর রহমান। এবার নৌকার সঙ্গে টক্কর দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তারা প্রত্যেকেই তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান যমুনা গ্রুপের কর্ণধার অ্যাড. সালমা ইসলাম এমপি এবারও লড়ছেন ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসন থেকে। বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান আওয়ামী লীগ প্রার্থী সালমান এফ রহমানের কাছে। যেই জিতুক হাড্ডাহাড্ডি লাড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন ভোটাররা।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে জাপার কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী সাইফুর রহমান ব্যাপক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। ভোররাত থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিরামহীনভাবে চলে তার প্রচারণা। আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী এবং তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছেন।

নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে জাপার প্রার্থী হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি আলমগীর শিকদার লোটন। সাবেক এই ছাত্রনেতাও ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে আলোচনায় এসেছেন। জাপার দুর্গখ্যাত রংপুর জেলার রংপুর-২ আসনে আনিসুল ইসলাম মন্ডল, রংপুর-৪ আসনে সেলিম বেঙ্গল, রংপুর-৫ আসনে আনিসুর রহমান, রংপুর-৬ আসনে নূর আলম মিয়া যাদু, গাইবান্ধা-৩ আসনে মইনুর রাব্বী চৌধুরী ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিচ্ছেন।

প্রচারণা ও জনপ্রিয়তার মাধ্যমে আলোচনায় থাকা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে শেরপুর-১ আসনের মাহমুদুল হক মনি, জামালপুর-২ আসনে মোস্তফা আল মাহমুদ, টাঙ্গাইল-৫ আসনে মোজাম্মেল হক, কুমিল্লা-১ আসনে আমীর হোসেন, কুমিল্লা-৭ আসনে লুৎফর রহমান খোকন, জামালপুর-৫ আসনে জাকির হোসেন, সিলেট-৬ আসনে সেলিম উদ্দিন, সিলেট-২ আসনে সাবেক এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরী।

অন্যদিকে ক্ষোভ হতাশা নিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন অনেক প্রার্থী। ৩০ ডিসেম্বর বরিশাল-২ ও ৫ এবং গাজীপুর-১, ২ ও ৪ আসনের প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। জাতীয় পার্টির (জাপা) ঠিক কতজন প্রার্থী এখন নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছে তার কোনো উত্তর এখন কারো কাছেই নেই। কারণ প্রতিদিনেই নির্বাচনী মাঠ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে প্রার্থীরা।

বড় একটি গ্রুপ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তুতি নিলেই সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে তারা সরে এসেছেন। জাপা ২৯৪ আসনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দিলেও সিলেট-৪ আসনের প্রার্থী প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিইউ তাজ রহমান, কক্সবাজার-২ আসনের প্রার্থী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহমুদুল করিম, চাঁদপুর-৫ আসনে জাতীয় কৃষক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওমর ফারুক, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খুররম ভূঁইয়া, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জয়নাল আবেদীন এবং ফেনী-১ আসনের প্রার্থী ফজলুল করিম মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে বিরত থাকেন। নির্বাচন কমিশন বাছাই শেষে ২৭২ আসনে জাপার প্রার্থীদের বৈধ ঘোষণা করে। ৬ জন আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলে সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭৮-এ। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে (১৭ ডিসেম্বর) কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। শেষ পর্যন্ত ২৬৫ আসনে প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পান বলে জাপা সূত্র জানিয়েছে।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২৬ আসনে সমঝোতা করে জাতীয় পার্টি। যখন ওই ঘোষণা আসে তখন আর প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল না। ওই ঘোষণার পর থেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন ২৬ আসনের বাইরে থাকা সাধারণ প্রার্থীরা। ওই প্রার্থীরা মনে করছেন, তাদের অংশগ্রহণ করার বিষয়টি এখন শুধুমাত্র নির্বাচনে বৈধতা দেওয়ার প্রশ্নে। সে কারণে তারা নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে প্রচারণা চালাতে রাজি নন। তারা কয়েকদিন বনানীতে ধর্না দিয়ে এখন রণেভঙ্গ দিয়েছেন।

   

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৪ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃবৃন্দের অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে। জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না।

জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়। সে কারণে তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে। বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

;

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংহতি ছাত্রলীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরে করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বিবৃতে দলটি জানায়, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।

এতে আরও বলা হয়, নিরীহ-নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সাথে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাঁধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলো। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিলো।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। তাঁদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি-

আগামী সোমবার (৬ মে) সকাল এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে দলটি।

একইসাথে, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসাথে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

;

সরকার উৎখাতের দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না: মির্জা আব্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে , তখন এই সরকারকে লাথি দিয়ে ফেলে দিবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্রেফতার করে পৃথিবীর কোন আন্দোলন, কোন স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না এমন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই জনরোষের মুখে। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

তিনি বলেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সে নির্বাচন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। এখন একটি কাজ করতে পারেন রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন। নির্বাচনের কথা আপনাদের (সরকার) মুখে মানায় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কাদের সাহেব বললেন, জেলে কোন রাজবন্দী নেই। কি সুন্দর কথা বললেন কাদের সাহেব, আমার খুব হাসি পায়। কাদের সাহেব আপনি যখন ওয়ান-ইলেভেনে জেলে ছিলেন। আপনি কি চোর হয়ে সেদিন জেলে গিয়েছিলেন? না, রাজবন্দী হয়ে জেলে গিয়েছিলেন, আমি জানতে চাই। এক - এগারোর সময় আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী উনিও জেলে গিয়েছিলেন। উনি কি হয়ে জেলে গিয়েছিলেন? আমি জানতে চাই।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।

;