ঢাকার ৫ আসনে নৌকা ঝুঁকিতে



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকার ৫ আসনে নৌকা ঝুঁকিতে

ঢাকার ৫ আসনে নৌকা ঝুঁকিতে

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা জেলা ও মহানগরের ২০টি আসনের মধ্যে একটি আসন লাঙলকে ছেড়ে দিয়ে বাকি ১৯টি আসনে লড়াই করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি না থাকলেও ঢাকার ৫টি আসনে নৌকা জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বতন্ত্র।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছু আসনে সরকারি দলের প্রার্থীরা ফুরফুরে থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নৌকার নোঙর টেনে ধরছেন কোথাও কোথাও। সে সব আসনে রাত-দিন এক করে ভোটারদের ধারে ধারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। ভোট চাইছেন ভোটারদের। সে সব আসনের জনগণের মাঝেও একটু বেশি উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। তবে বাকি ১৪টি আসনেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা অনেকটাই চিন্তামুক্ত।

ঢাকার আসনগুলোর নির্বাচনী প্রচারণা ও প্রার্থীদের জনসম্পৃক্ততার দিকে তাকালে দেখা যায়, ঢাকা-৪, ঢাকা-৫, ঢাকা-১৪, ঢাকা-১৯ ও ঢাকা-২০ আসনে নৌকা পেয়েও কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রার্থীদের। নৌকার সমান তালে প্রচারণা চালাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।

এসব আসন বিশ্লেষণে দেখা যায়, নৌকার সঙ্গে লড়তে আটঘাট বেঁধেই নেমেছেন স্বতন্ত্ররা। নৌকাকে পাল্লা দিতে নৌকার কর্মীদের কাছে টানছেন তারা।অনেক ক্ষেত্রেই যেহেতু স্বতন্ত্ররা আওয়ামী লীগের নেতা, আবার কেন্দ্র থেকেও শিথিলতা আছে ফলে কর্মীরাও ভিড়ছেন স্বতন্ত্রদের কাছে।

রাজধানীর শ্যামপুর ও কদমতলি এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৪ আসন। আসনটি থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে নির্বাচন করছেন সানজিদা খানম। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য। এছাড়াও বর্তমানে সংরক্ষিত নারী আসনের একজন সংসদ সদস্য।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। এছাড়াও আওয়ামী লীগের দুই স্বতন্ত্রসহ মোট ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আসনটি থেকে। তবে তার মূল লড়াই হবে বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেনের সঙ্গে। আওলাদ প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব।

ঢাকা-৫ আসন থেকে নৌকা নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন হারুনর রশীদ মুন্না। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আছেন দলটির আরও দুই নেতা। ফলে ত্রিমুখী লড়াইয়ে পড়েছে নৌকার প্রার্থী। তিনজনেই স্থানীয়ভাবে পরিচিত। আছে প্রভাব ও জনপ্রিয়তাও ফলে এখানে পরাজয়ের নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে আঞ্চলিকতা।

আসনটি থেকে নৌকার মনোনয়ন চেয়েও পাননি মশিউর রহমান মোল্লা সজল এবং কামরুল হাসান রিপন। পরবর্তীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ান তারা। তাদের মধ্যে সজল ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ট্রাক প্রতীক নিয়ে লড়ছেন নির্বাচনে। অপর প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রিপন। তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ঈগল প্রতীক নিয়ে।

রাজধানীর মিরপুর, শাহআলী, দারুসসালাম, রূপনগরের একাংশ ও সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা ১৪ আসন। আসনটিতে ত্রিমুখী প্রচারে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন এখান থেকে। তাদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী মো. লুৎফর রহমান এবং সাবিনা আক্তার তুহিনকেই দেখা হচ্ছে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে।

মো. লুৎফর রহমান লড়ছেন কেটলি প্রতীকে। তিনি প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও গাবতলী এলাকার বাসিন্দা। তাছাড়াও তিনি একজন সিআইপি ও ধনাঢ্য ব্যক্তি। এটি তার নিজস্ব এলাকা হওয়ায় আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের সমর্থনে জমিয়ে তুলেছেন নির্বাচনী মাঠ। অন্যদিকে সংরক্ষিত আসনের বর্তমান এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন, তিনি নির্বাচন করছেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে।

নৌকার প্রার্থী মাইনুল হোসেন খান নিখিল যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। সে হিসেবে সর্বমহলে তারও একটি সমর্থকগোষ্টি রয়েছে। তাই ত্রিমুখী এই লড়াইয়ে টিকে থাকতে এলাকার অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে নিয়মিত গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও পথসভার মাধ্যমে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তারা।

সবচেয়ে বেশি ভোট ঢাকা-১৪ আসনে পড়বে জানিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আক্তার তুহিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ প্রচারণা অনেক ভাল চলছে।

তিনি বলেন, এটা আমার এলাকা, এই এলাকায় আমি অনেক দিন ধরে কাজ করি। আসলাম ভাইয়ের মতো লোকের সঙ্গে আমি এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। আমি এই এলাকার প্রতিটা ঘরে আমার লোক তৈরি করেছি। এটা আমার তৈরি করা মাঠ। এই মাঠে কেউ এসে আমার একজন নেতাকর্মীকেও কেউ নিতে পারে নাই। তখন আমার পদ ছিলো না। এখন আমি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।

ঢাকা জেলার সাভার ও আশুলিয়া নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৯ আসন। এ আসনের নৌকার মাঝি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে আসনটি থেকে লড়ছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ। সাধারণ ভোটার ও নেতাকর্মীদের অনেকেই মনে করছেন এই হ্যাভিওয়েট দুই প্রার্থীর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে।

এছাড়াও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামও আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। ট্রাক প্রতীক নিয়ে আশুলিয়া এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা করে যাচ্ছেন তিনি। তাই এই ত্রিমুখী প্রচারণা আগাম জানান দিচ্ছে ভোটের মাঠের তীব্র লড়াইয়ের।

আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ পুনরায় নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা-২০ আসনে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলার শাখার সভাপতি। এর আগে, ২০১৮ সালের নির্বাচনেও আসনটি থেকে সংসদে সদস্য নির্বাচিত হন। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন।

আসনটি থেকে এম এ মালেক লড়বেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে, অন্যদিকে মোহাদ্দেছ হোসেন কাঁচি প্রতীকে। তিনজনই আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় নির্বাচনে বিজয়ী হতে প্রার্থীদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।

   

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাসায় ফিরছেন খালেদা

বাসায় ফিরছেন খালেদা

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে। গতকাল এবং আজ তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।

এর আগে গতকাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে। 

;

বিএনপি শ্রমিকদের বন্দুকের জোরে জিম্মি করে রেখেছিল: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককেও হত্যা করেছে তারা।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে বন্দুকের জোরে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে মন্তব্য করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনো দিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেনি।

তিনি বলেন, তারা আদমজী জুট মিলসহ বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। শ্রমজীবী মানুষসহ সকল মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সর্বদা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ লাখ ২৩ হাজার ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল।

তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাট-তন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল।

;

সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আররের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

;

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বাড্ডা থানার উদ্যোগে উত্তর বাড্ডা এলাকায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, তারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের স্বজনরা।

তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয়স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো আছি জেলে আসা-যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি।

দেশে ভয়াবহ দুর্বিষহ অবস্থা চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ এক মাসের মতো দেশে খরা চলছে, অগ্নিপ্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি।

পক্ষান্তরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপণ, সেচব্যবস্থাসহ যেসব কল্যাণমূলক কাজ করেছিল সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। রিজভী আরও বলেন, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সবকিছুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হক, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএমএ আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

;